সন্ধের টিফিনে শিঙাড়া খেতে কার না ভালো লাগে! দোলের দিন শিঙাড়া আরও দারুণ লাগে। অনেক বাড়িতেই সন্ধের অতিথিদের জন্য দেওয়া হয় শিঙাড়া। তবে শিঙাড়ার সবার খাওয়া উচিত নয়। কারণ শিঙাড়ার আলু খুবই বিপজ্জনক। বিষের সমান! ক্যান্সার পর্যন্ত হতে পারে। তাই শরীরে কয়েকটি সমস্যা থাকলে শিঙাড়া খাওয়া উচিত নয়।
বিকেল হলেই মুড়ির সঙ্গে চপ না হয় শিঙাড়া! সেই সঙ্গে চা। শিঙাড়া এমনিতেই মশলাদার এবং ভাজা খাবার। বেশি খাওয়া উচিত নয়। সীমিত পরিমাণেই খাওয়া উচিত। উৎসবের মধ্যে শিঙাড়ার মতো ভাজা খাওয়ার প্রবণতা বাড়ে। কিন্তু শরীরে কয়েকটি সমস্যা থাকলে শিঙাড়া একদম খাওয়া উচিত নয়।
শিঙাড়ার আলু কেন বিষাক্ত
আলুতে অ্যাক্রিলামাইড নামক একটি যৌগ থাকে। যা দীর্ঘ সময় ধরে উচ্চ তাপমাত্রায় ভাজা হলে বিষাক্ত হয়ে যায়। গবেষণা বলছে,এই যৌগটি একাধিক ক্যান্সারের কারণ হতে পারে।
কোলেস্টেরল- শিঙাড়া তেলেভাজা জাতীয় খাবার। এতে থাকে প্রচুর পরিমাণে ট্রান্স ফ্যাট। এই ফ্যাট কোলেস্টেরল বাড়িয়ে দেয়। তা রক্তপ্রবাহে বাধা তৈরি করে। তাই যাঁদের এলডিএল কোলেস্টেরল বেশি তাঁরা শিঙাড়া থেকে দূরে থাকুন।
ডায়াবেটিস- যাঁদের সুগার বেশি তাঁরাও এড়িয়ে চলুন শিঙাড়া। কারণ শিঙাড়া ও ভিতরে থাকা আলুর পুর বাড়ায় টাইপ ২ ডায়াবেটিস। সুগার থাকলে শিঙাড়া না খাওয়াই শ্রেয়।
আরও পড়ুন- টবেই লাগান ২ আয়ুর্বেদিক গাছ, সকালে পাতা খেলে হু হু করে কমবে সুগার
হার্টের রোগ-আপনার হার্টের স্বাস্থ্য ভালো না থাকলেও শিঙাড়া খাবেন না। হার্টি অ্যাটাকের সমস্যা থাকলে শিঙাড়া এড়িয়ে চলুন। শিঙাড়ায় থাকা কোলেস্টেরল, ফ্যাট হার্টের উপর চাপ বাড়ায়।
উচ্চ রক্তচাপ- উচ্চ রক্তচাপের কারণে হার্টের পাশাপাশি মস্তিষ্ক ও কিডনির ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা থাকে। NCBI-তে প্রকাশিত গবেষণা বলছে,শিঙাড়ার মতো বেশি ভাজা খাবার খেলে উচ্চ রক্তচাপ হয়।
আরও পড়ুন- হু হু করে কমবে ইউরিক অ্যাসিড, রোজ সকালে বেটে খান এই দুই ভেষজ বড়ি
অ্যাসিডিটি- শিঙাড়া প্রচণ্ড তেলে ভাজা হয়। ভিতরে আলুর পুরও ভেজে নেওয়া হয়। সেই সঙ্গে থাকে চড়া মশলা। ফলে যাঁদের অ্যাসিডির সমস্যা আছে তাঁদের শিঙাড়া এড়িয়ে চলাই শ্রেয়।
অর্শ- অর্শ থাকলে তেল-মশলাদার খাবার না খাওয়াই ভালো। আর আলুর মশলা অর্শের সমস্যা আরও বাড়িয়ে দিতে পারে। তাই এড়িয়ে চলুন শিঙাড়া।