সব মানুষ সমান নন। হাতের পাঁচটা আঙুল যেমন এক হয় না, ঠিক তেমনই। এর মধ্যেই সমমনের বা সমমতের মানুষের মধ্যে কয়েকটি গুণ মেলে। তাঁরা বাকিদের থেকে আলাদা হন। কিছু লক্ষণ দেখলেই বলা যায় সেই মানুষ মেধাবী-বুদ্ধিমান না নির্বোধ। আসলে অভ্যাসই বলে দেয় তিনি জিনিয়াস কিনা। বুদ্ধিমান ব্য়ক্তিদের থাকে কয়েকটি বিশেষ অভ্যাস। দেখে নিন তো।
রাত জাগা- বেশিরভাগ বুদ্ধিমান নারী-পুরুষ বেশি রাত পর্যন্ত জেগে থাকেন। রাতে তাঁরা পড়েন। বা কোনও বিষয় নিয়ে চিন্তা করেন। ইতিহাসও বলছে,বেশিরভাগ প্রতিভাবান ও বুদ্ধিমান মানুষের অনিদ্রার সমস্যা রয়েছে। বুদ্ধিমান ব্যক্তিরা আত্মজীবনীতে উল্লেখ করেছেন, তাঁদের ঘুমের সমস্যা রয়েছে। রাত জেগে কাটান তাঁরা। বিজ্ঞান, খেলাধুলা, ব্যবসা, রাজনীতি বা শিল্পকলার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের কম ঘুমোনোর অভ্যাস আছে। কিছু করার আবেগ তাঁদের ঘুমোতে দেয় না। বিদ্যুতের আবিষ্কারক নিকোলা টেসলা দিনে মাত্র ২ থেকে ৩ ঘণ্টা ঘুমোতেন। লিওনার্দো দ্য ভিঞ্চি দিনে ঘুমোতেন মাত্র ৩ ঘণ্টা।
সাধারণ কথা ভুলে যাওয়া- তালা, চাবি বা ছোট খাটো জিনিস কখন, কোথায় রেখেছেন ভুলে বুদ্ধিমান বা জিনিয়াস ব্যক্তিরা। অনেক বুদ্ধিমান মানুষেরই ভুলে যাওয়ার অভ্যাস। ফরগেটিং নামের প্রবন্ধে বলা হয়েছে, অসাধারণ বুদ্ধিমত্তার মানুষের ছোট ছোট জিনিস মনে থাকে না। সমস্ত কিছুতে নজর দিতে পারেন না তাঁরা। এমনকি আইনস্টাইনের স্মৃতিশক্তিই ভালো ছিল না। তারিখ ও ফোন নম্বরও মনে রাখতে পারতেন না।
ঘুমানোর আগে চিন্তা- ঘুমানোর আগে চিন্তা করার অভ্যাস রয়েছে? এটাও কিন্তু জিনিয়াস হওয়ার লক্ষণ। আজ কত দূর কাজ হল, কাল কী হবে- এসব সাতপাঁচ ঘুমোনোর আগে ভাবেন জিনিয়াসরা। সাধারণ মানুষ বিছানায় পড়ার সঙ্গে সঙ্গে ঘুমিয়ে পড়েন সেখানে প্রতিভাবানদের মন ছুটতে থাকে। তাঁরা পরেরদিনের চিন্তা করতে থাকেন।
নিজের সঙ্গে কথা বলা- নিজের সঙ্গে কথা বললে মস্তিষ্ক ভালোভাবে কাজ করে। মনস্তাত্ত্বিকরা বলছেন,মনের মধ্যে হারিয়ে যাওয়া আইডিয়ার তল পেতে নিজের সঙ্গে কথা বলা দরকার। বুদ্ধিমানরা নিজের সঙ্গে কথা বলেন।
নতুনের প্রতি ঝোঁক- জিনিয়াসরা নতুন জিনিস নিয়ে বেশি ভাবেন না। তাঁরা নতুন জিনিস খুঁজতে থাকেন। অন্যদের থেকে নতুন জিনিস খোঁজার টান তাঁদের বেশি।
আরও পড়ুন- শরীরে কমছে হরমোন, জানুন এই ১০ লক্ষণে, বয়স থাকতে এই সব খান