
Hormonal Imbalance: হরমোন শরীরের সকল কাজে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। কিন্তু ব্যস্ত জীবনে মানসিক সমস্যার জেরে হরমোনের ভারসাম্যহীনতা দেখা দেয়। এ ছাড়া পরিস্থিতি ও পরিবেশও হরমোনকে প্রভাবিত করে, যার ফলে মেজাজ পরিবর্তনের মতো সমস্যা হয়। আধুনিক বিজ্ঞানে ৫০টিরও বেশি ধরণের হরমোন শনাক্ত করা হয়েছে, যা শরীরের বিভিন্ন কাজে প্রয়োজন হয়। এই হরমোনের মাত্রা বেড়ে গেলে বা কমে গেলে হরমোনের ভারসাম্যহীনতার লক্ষণ দেখা দিতে শুরু করে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে হরমোনের এই ভারসাম্যহীনতা অনেক স্বাস্থ্য সমস্যার দিকে নিয়ে যায়। জেনে নিন হরমোনের ভারসাম্যহীনতার লক্ষণগুলো কী কী।
হরমোনের সমস্যা
কিশোর অবস্থায় শরীরে হরমোনের ভারসাম্যহীনতার কারণে মুখে ব্রণ দেখা দেয়। এটি এই সমস্যার প্রথম লক্ষণ। এর সঙ্গে বিরক্তি, খারাপ মেজাজ, মনোযোগ দিতে অক্ষমতা এবং ক্লান্তির মতো লক্ষণগুলি দেখা যায়। হরমোনের ভারসাম্যহীনতা উপেক্ষা করলে মহিলাদের পলিসিস্টিক ওভারি সিনড্রোম ডিসঅর্ডার এবং অন্যান্য রোগ হতে পারে। মেনোপজের সময় মহিলাদের দ্রুত ওজন হ্রাস বা বৃদ্ধির সমস্যা দেখা দেয়। এর সঙ্গে হৃদস্পন্দন ধীর, ক্লান্তি, অতিরিক্ত ঘাম, থাইরয়েড গ্রন্থিতে সমস্যা, কোলেস্টেরল বৃদ্ধির মতো উপসর্গও দেখা যায়। এই লক্ষণগুলির সঙ্গে উদ্বেগ এবং বিষন্নতাও গ্রাস করে।
শরীরে হরমোনের ভারসাম্যহীনতার কারণে প্রতিটি মানুষকে বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। এই ভারসাম্যহীনতা শরীরের বিপাক প্রক্রিয়াকেও প্রভাবিত করতে পারে এবং হাইপোথাইরয়েডিজম হতে পারে। এ ছাড়া ডায়াবেটিসও হতে পারে। শরীরে হরমোনের ভারসাম্যহীনতার জেরে স্থূলতা দেখা দেয়। কারণ শরীরে বিপাকীয় গতি কমে যায় এবং চর্বি জমতে শুরু করে। যার কারণে ওজন বৃদ্ধি পায়। এতে স্থূলতার সমস্যা তৈরি হয়।
চিকিৎসকদের পরামর্শ
এই লক্ষণগুলি কারোর হলে শুরুতেই চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত। সঠিক খাদ্যাভ্যাস এবং জীবনযাত্রার পরিবর্তনের মাধ্যমে এই সমস্যা অনেকাংশে নিরাময় করা যায়। এছাড়াও, সুগন্ধি থেরাপি, স্নান থেরাপি, গান গাওয়া, সঙ্গীত শোনা, আকাশের দিকে তাকানো, সমুদ্র বা নদীর ধারে বসাও হরমোনের ভারসাম্যহীনতার সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে সাহায্য করে। বেশি করে সবুজ শাকসবজি ও ফলমূল খেতে হবে। প্রতিদিন সুষম খাদ্য গ্রহণ করলে হরমোনের সমস্যা দূর হয়। এমন কোনও সমস্যায় ভুগলে প্রথমেই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের কাছে যাওয়া উচিত।