
Hormonal Imbalance : শরীরের হরমোন সংক্রান্ত সমস্যা বোঝা সবার পক্ষে সম্ভব নয়। কিন্তু শরীরে ঘটতে থাকা পরিবর্তনগুলো যদি গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করা হয়, তাহলে তা সহজেই শনাক্ত করা যায়। চিকিৎসকরা বলছেন, শরীরে দেখা কিছু লক্ষণ হরমোনের ভারসাম্যহীনতার কথা বলে। হরমোন হল সেই রাসায়নিক যা বিভিন্ন কাজের জন্য সরাসরি রক্তের মাধ্যমে শরীরের অঙ্গ ও টিস্যুতে বহন করে। ঘুম, বিপাক, মেজাজ এবং প্রজনন চক্র নিয়ন্ত্রণে হরমোন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। গর্ভাবস্থা, পিরিয়ড বা মেনোপজের আগে জীবনের বিভিন্ন ধাপ পর্যন্ত শরীরে হরমোনের মাত্রা ভিন্ন হতে পারে। কিছু ওষুধ, চিকিৎসা বা স্বাস্থ্য সমস্যাও শরীরের হরমোনকে প্রভাবিত করতে পারে।
হরমোনের বিভিন্ন লক্ষণ
মেজাজের পরিবর্তন, ঘুমের ধরণে পরিবর্তন (অনিদ্রা), স্মৃতিশক্তির সমস্যা, সারাক্ষণ ক্লান্ত বোধ করা, মাথাব্যথা বা হজমের সমস্যা হরমোনের ত্রুটির লক্ষণ হতে পারে। এছাড়াও, পেশী সম্পর্কিত সমস্যাগুলিও হরমোনের ব্যাঘাতের লক্ষণ হতে পারে।
মনোবিজ্ঞানী বিশেষজ্ঞ টিম গ্রে বলেন, হরমোনজনিত সমস্যা উপেক্ষা করা একটি বড় ভুল। এটি আপনার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমিয়ে দেয় এবং শরীরে কর্টিসলের মাত্রা বাড়াতে কাজ করে। অত্যধিক চাপ, দুর্বল ঘুম, প্রক্রিয়াজাত বা চিনিযুক্ত খাবার এই প্রদাহকে বাড়াতে পারে।
সজাগ থাকা প্রয়োজন
হরমোনের ভারসাম্যহীনতার কারণে ক্রমবর্ধমান প্রদাহ রোধ করতে, প্রাকৃতিক খাবার, পর্যাপ্ত ঘুম এবং খাওয়া এবং নিয়মিত ব্যায়ামের জন্য একটি সময়সূচী নির্ধারণ করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সূর্যোদয়ের পর নীল আলো সম্পূর্ণরূপে বন্ধ রাখুন। এতে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট মেলাটোনিন গঠনের দিকে নিয়ে যায়, যা শরীরে প্রদাহের মাত্রা হ্রাস করে। এছাড়াও আপনি ভাল ঘুম পেতে পারেন। মানসিক চাপমুক্ত থাকতে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে মেডিটেশন করুন। এছাড়াও, শরীরকে হাইড্রেট রাখতে প্রচুর জল খেতে থাকুন।