How To Stay Fit After 50: আমরা সবাই জানি যে বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে আমাদের শরীরে কিছু বদল আসে। আমরা চেয়েও সেই বদল আটকাতে পারি না। কিছু লোক বয়স বাড়ার পরেও ফিট এবং যুবক দেখতে লাগেন। কিন্তু অনেকে তা পারেন না। বয়স বাড়ার পরেও ফিট থাকার কারণ হল, নিজেকে গুরুত্ব দেওয়া এবং ভালো লাইফস্টাইল।
যদি আপনি ৫০-৫৫ বয়সী হন এবং তা পার করে ফেলেছেন, এমন হলে আপনাকে আজকে থেকে আপনার লাইফ স্টাইলে বদল আনতে হবে। এর সঙ্গেই বর্তমান বয়সের জন্য সমস্যা তৈরি করতে চলা ওই সমস্ত অভ্যাসও ছেড়ে দিতে হবে। যা আপনাকে এখনও পর্যন্ত ফলো করছে। কারণ বয়স বাড়ার সঙ্গে আপনার শরীরে সেগুলি সমস্যা তৈরি করতে পারে। এখানে আমরা আপনাকে ওই সময় ওই ৭ অভ্যাসের কথা বলব, যেটা আপনি যদি আজ থেকেই বদলানো শুরু করেন, তাহলে বয়স আপনার জন্য শুধুমাত্র একটা নম্বরে পরিণত হবে।
আরও পড়ুনঃ নিয়মিত দই খান অনেকেই, শীতকালে খাওয়া উচিত? বিশেষজ্ঞরা বলছেন...
১. অত্যধিক মদ্যপান (Drink Liquor)
৫০ বছর বয়সের পর সবচেয়ে জরুরি হলো মদ্যপান কমিয়ে দেওয়া। খাবারের চেয়ে মদের পচনের পদ্ধতি শরীরের মধ্যে অনেক বেশি জটিল এবং এটি শরীরে বিসরল ফ্যাট লিভার সমেত (শরীরের ভেতর অঙ্গে জমা হওয়া ফ্যাট) বাড়িয়ে দেয়। বয়স বাড়ার সঙ্গে বিসরল ফ্যাট ক্যান্সার, হাই কোলেস্ট্রল, স্ট্রোক, হৃদরোগ এবং ডায়াবেটিসের মতো ঘাতক রোগের কারণ হতে পারে। ভালো কথা হলো এটাই যে ফ্যাট খাওয়া দাওয়া শুধরে নিলে এটি কম করা সম্ভব এবং সুস্থ জীবন যাপন সম্ভব।
২. জোরে গান শোনা (Loud Music)
হেলথ এক্সপার্টরা মনে করেন যে ৫০ এর বেশি বয়সি লোকেদের জোরে গান শোনা বা উচ্চ স্বরে আওয়াজ এর সম্পর্কে থাকা বন্ধ করে দেওয়া উচিত। পঁচাশি ডেসিবেলের বেশি আওয়াজ যেখানে রয়েছে সেই জায়গা গুলি এড়িয়ে চলাই ভালো। যদি আপনার ঘরের আশপাশে খুব আওয়াজ এবং চিৎকার চেঁচামেচি থাকে তাহলে এয়ার প্লাগ এর ব্যবহার করতে শুরু করে দিন।
৩. সব জিনিসের জন্য হ্যাঁ বলা বন্ধ করুন (Learn To Say No)
পঞ্চাশের বেশি বয়সই লোকেদের সবকিছুর জন্য 'হ্যাঁ' বলা বন্ধ করে দিতে হবে। 'না' বলার অভ্যাস শুরু করতে হবে। উদাহরণের জন্য বলি যে, আপনার আশপাশের লোকেরা প্রত্যেকদিন আপনাকে কোনও কাজের জন্য ডেকে নিয়ে যান। তাতে আপনি না বলুন। যদি ইচ্ছা না থাকে আপনার সময় বাঁচিয়ে আপনি স্বাস্থ্যচর্চায় তা ব্যয় করুন। যদি কোনও কাজ না থাকে বন্ধু বান্ধবের সঙ্গে আড্ডা মারুন, শপিংমলে যান, সিনেমা দেখুন, গান শুনুন, আপনার পছন্দের বই পড়ুন, মেডিটেশন করুন। শরীর এবং মন নিয়ে সমস্ত সমস্যা দূর করতে সাহায্য করবে।
৪. বেশি সময় একা কাটানো কমান (Don't Stay Alone More)
বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে যদি আপনি স্বাস্থ্য ভাল রাখতে চান এবং খুশি থাকতে চান, তাহলে আপনার আশপাশের লোকেদের সঙ্গে হেলদি রিলেশনশিপ তৈরি করুন. ইমোশনাল সাপোর্ট, ডায়েট, এক্সারসাইজ এর মত শরীর ঠিক রাখতে সাহায্য করে। ভাল সম্পর্ক ডিপ্রেশন দূর করতে সাহায্য করে এবং একা থাকা ঘরে কুকুর বিড়ালের মত প্রাণীর সঙ্গে যদি ভালো লাগে তাহলে সময় কাটাতে পারেন।
৫. হাই ডেনসিটি এক্সারসাইজ (High Density Exercise)
এই বয়সের এই পর্যায়ে পৌঁছানোর পর আপনাকে এটা মেনে নিতে হবে যে আপনি এখন স্কাউট, কেটেলবেল জাম্পিং জ্যাক এর মত হাই ইনটেনসিটি ওয়ার্ক আউট করতে পারবেন না। এখন আপনাকে ঠিক করতে হবে যে এগুলি আপনি দ্রুত ছেড়ে দিতে হবে। আপনার বয়স অনুযায়ী জীবনশৈলীতে বদল করা অত্যন্ত জরুরি।
আরও পড়ুনঃ গরম পোশাক তো আছেই, শীতে শরীরের তাপ বাড়ায় এই ৫ খাবার
৬. বয়সকে আটকানোর চেষ্টা করবেন না (Don't Try To Stop Ages)
পৃথিবীতে মানুষ যুবক থাকতে চায় কিন্তু এটা সম্ভব নয়। আপনি কিছু পদ্ধতি অনুসরণ করে যুবকের মতো নিজেকে দেখাতে পারেন। কিন্তু বয়স আটকাতে পারবেন না। এ জন্য টিভিতে বিভিন্ন প্রোডাক্ট, যেগুলি যুবক এবং সুন্দর বানানোর দাবি করে, সেগুলি বা প্লাস্টিক সার্জারি থেকে দূরে থাকুন। এর জায়গায় পুষ্টি পদার্থ, খাদ্য, ফিটনেস এগুলির উপর নজর দিন। আপনার অবশিষ্ট জীবন ফিট অ্যান্ড ফাইন কাটবে।
৭. অস্টিওপোরোসিস এর ওপর মনোযোগ দিন (Concentrate On Osteoporosis)
বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে যে কোন ব্যক্তির অস্টিওপোরোসিসের সমস্যা তৈরি হয়। যদি আপনার বয়স ৫৫ বা ৬০ হয় তারপরেও হাড়ে ব্যথা যদি না হতে থাকে, তাহলে এর মানে এই নয় যে আপনার অস্টিওপোরোসিস নেই। অনেকের অস্টিওপোরোসিস এবং অস্টিও আর্থরাইটিস এর মধ্যে কনফিউশন তৈরি হয়। আসলে অস্টিওপোরোসিসে হাড়ের ডেনসিটি কম হতে শুরু করে এবং ধীরে ধীরে চলতে থাকে। এতে ব্যথা হয় না। কিন্তু এ খবর তখন পাওয়া যায়, যখন ফ্র্যাকচার হয়ে যায়। অস্টিওপোরোসিস এবং অস্টিওআর্থারাইটিস দুটি আলাদা রোগ এবং একজনের একসঙ্গে দুটিই হতে পারে। রোজকার ব্যায়াম অস্টিওপোরোসিসে পীড়িত রোগীদের নিরাময় করতে পারে।