শীত আসছে। অনেকেই লেপ-কম্বল বের করতে শুরু করে দিয়েছেন। কিন্তু দীর্ঘদিন আলমারিতে রাখার পর লেপ কম্বলে ধুলো-ময়লা ও কখনও কখনও দুর্গন্ধ থাকে। তাছাড়া এই ধুলো থেকে হাঁপানি, অ্যালার্জির সমস্যাও হতে পারে। ফলে শীত জাঁকিয়ে পড়ার আগেই লেপ-কম্বল পরিষ্কার করে নেওয়াটা খুবই জরুরি। বাড়িতে সহজ পদ্ধতিতে কীভাবে এই কাজ করা যায়? এই প্রতিবেদনে তারই ব্যাখ্যা করা হল।
প্রথমে লেপ বা কম্বলটি খোলা জায়গায় নিয়ে যান। কোনো মৃদু রোদ বা বাতাস চলাচল করে এমন জায়গা হলে ভাল হয়। সেখানে শক্তভাবে ঝাড়ুন। একটি লাঠির সাহায্যে লেপ বা কম্বলের দু’পাশে ধীরে ধীরে আঘাত করুন। এতে ভেতরের ধুলো ও ময়লা বেরিয়ে আসবে। মনে রাখবেন, খুব বেশি জোরে আঘাত করবেন না, এতে ফাইবার বা সুতো নষ্ট হতে পারে।
যাদের বাড়িতে ভ্যাকুয়াম ক্লিনার আছে, তাঁরা সহজেই কম সময়ে ভালোভাবে পরিষ্কার করতে পারবেন। ভ্যাকুয়াম ক্লিনারের সাহায্যে লেপ ও কম্বলের ওপরে ধীরে ধীরে ক্লিনিং করলে ময়লা ও ধুলো দ্রুত উঠে আসবে। তবে সেটিংস অবশ্যই মৃদুতে রাখতে হবে, যাতে লেপের ফাইবার বা কাপড়ের ক্ষতি না হয়।
অনেক সময় পুরনো লেপ ও কম্বলে গন্ধ এসে যায়। এই গন্ধ দূর করতে পারেন বেকিং সোডা দিয়ে। লেপ বা কম্বলের ওপরে সামান্য বেকিং সোডা ছড়িয়ে দিন, তারপর কিছুক্ষণ রেখে দিন। ৩০ মিনিট পর একটি ব্রাশ দিয়ে আলতোভাবে ঘষে পরিষ্কার করুন। এতে দুর্গন্ধ দূর হয়ে যাবে এবং তাজা অনুভূতি আসবে।
লেপ ও কম্বল পরিষ্কার করার পর রোদে শুকিয়ে নেওয়া জরুরি। এতে জীবাণু ও ছত্রাক ধ্বংস হয় এবং তাজা অনুভূতি ফেরে। তবে খুব বেশি রোদে শুকাবেন না, এতে কাপড়ের রং হালকা হতে পারে। মৃদু রোদ বা ছায়াযুক্ত স্থানে শুকাতে দিন।
যদি কোনো স্থানে দাগ লেগে থাকে, তাহলে সেটি স্পট ক্লিনিং করতে পারেন। একটি নরম কাপড়ে সামান্য জল বা হালকা ডিটারজেন্ট মিশিয়ে সেই দাগের উপর আলতোভাবে ঘষে নিন। পরে শুকনো কাপড় দিয়ে মুছে নিন।
এই সহজ পদ্ধতিগুলো অনুসরণ করলেই বাড়িতে পুরনো লেপ ও কম্বল পরিষ্কার করা সম্ভব। নিয়মিত যত্ন করে রাখলে লেপ-কম্বল বহু বছর চলে। তাই এবার শীতের শুরুতেই আপনার বাড়ির লেপ ও কম্বল ঝকঝকে, তাজা ও জীবাণুমুক্ত করে ফেলুন।