Relationship Tips: আপনার সঙ্গে সম্পর্ক আর রাখতে চায় না পার্টনার, এই ৫ ব্যবহারে বুঝুন

যে কোনও সম্পর্কে চড়াই-উৎরাই থাকা খুবই স্বাভাবিক বিষয়। তবে একটা হেলদি সম্পর্ক যদি চান তবে খেয়াল রাখবেন আপনার সঙ্গী যেন সবসময় খুশি থাকে। যদি দেখেন আপনার সঙ্গী কোনও কারণে আনন্দে নেই তাহলে দেখুন এর পিছনে কী কারণ রয়েছে। অনেক সময়ই দেখা যায় যে ব্যক্তি সম্পর্কে ভাল না থেকেও ভাল থাকার নাটক করে থাকেন। এই ধরনের সম্পর্ক বেশিদূর পর্যন্ত যেতে পারে না, মাঝখানেই ভেঙে যায়। এই ধরনের অসুখী সম্পর্কে সারাক্ষণ ঝগড়া হয়ে থাকে। এই ধরনের টক্সিন সম্পর্ক মন ও শরীর দুটোর ওপরই খারাপ প্রভাব ফেলে। তাই কিছু লক্ষণের সম্পর্কে এখনই জেনে নিন যেটা থেকে বুঝতে পারবেন যে আপনার সঙ্গী মোটেও খুশি নন এই সম্পর্কে।   

কথাবার্তা কম হওয়া
যে কোনও সম্পর্কে যোগাযোগ ও কথাবার্তা কম হওয়া খুবই খারাপ লক্ষণ। যদি আপনার পার্টনার একা থাকার চেষ্টা করেন, নিজের কোনও কথা প্রকাশ করতে না চান অথবা কথাবার্তা বলতে চান না তাহলে এটা বুঝে যান যে আপনার পার্টনার খুশি নয় এই সম্পর্কে। তাই এটা খুব দরকার যে আপনি আপনার সঙ্গীর সঙ্গ খোলা মনে কথা বলুন আর তাঁর ভাবনাগুলোকে বোঝার চেষ্টা করুন। 

ইমোশনাল দুরত্ব
যে কোনও সম্পর্কে ইমোশনাল বন্ডিং থাকা খুব জরুরি। কিন্তু যদি আপনি অনুভব করেন যে আপনার সঙ্গী ইমোশনালি আপনার থেকে দুরত্ব বজায় রাখছে তাহলে এটা সঙ্কেত যে সে আপনার থেকে খুশি নয়। এরকম পরিস্থিতিতে আপনার উচিত পার্টনারের সঙ্গে আবেগপূর্ণ সম্পর্ক মজবুত করা। একে-অপরের সঙ্গে সময় কাটান এবং একে-অপরের জীবন সম্পর্কে আগ্রহ প্রকাশ করুন। 

রুটিন ও অভ্যাসের পরিবর্তন
যদি আপনি আপনার সঙ্গীর দৈনন্দিন রুটিন ও স্বভাবে পরিবর্তন দেখে থাকেন তাহলে বুঝে যান যে আপনার সঙ্গী একোরেই খুশি নন। রকম দেখলেই আপনি আপনার সঙ্গীর সঙ্গে কথা বলুন এবং এই আচরণ বদল হওয়ার কারণ জিজ্ঞাসা করুন।  

খিটখিট বা টেনশনে থাকা
যদি দেখেন আপনার সঙ্গী ছোট ছোট কথায় রেগে যাচ্ছেন, খিটখিট করছেন তাহলে বুঝে যান যে সে আপনার সঙ্গে সম্পর্কে খুশি নয়। তাই ঝগড়া করার বদলে তাঁর এই অবস্থাকে বুঝুন এবং তা ঠিক করার বিষয়ে ভাবুন। তাঁর এই টেনশন ও রাগের কারণ জানুন। 

ভবিষ্যতের পরিকল্পনা না করা
যদি সঙ্গী আপনার সঙ্গে তাঁর ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা না করে থাকেন তাহলে বুঝে যান যে সঙ্গী আপনার সঙ্গে এই সম্পর্কে খুশি নন। সেটা জানার জন্য আপনি নিজে খোলামেলা ভাবে ভবিষ্যতের প্ল্যানিং করুন। একে-অপরের ইচ্ছাগুলোকে বোঝা এবং ভবিষ্যতের বিষয়ে দুজনের একই ভাবনা সম্পর্ককে আরও মজবুত বানাবে।