মশলা ছাড়া তরি-তরকারি রান্নার কথা ভাবাই যায় না। অসুখ-বিসুখ হলেও পাতলা ঝোলে জিরে বাটা দেওয়া হয়। ফলে মশলা ছাড়া ভারতীয়রা ভাবতেই পারে না। খাবারের স্বাদ ও গন্ধ বাড়ায় মশলা। কিন্তু যে মশলা রান্নায় ব্যবহার করছেন সেটা কি আদৌ খাঁটি? বেশিরভাগই মানুষই মশলা কিনে আনার পর খাঁটি না ভেজাল সেটা দেখেন না। এর ফল কিন্তু মারাত্মক হতে পারে। কালোবাজারির কারণে বাজারে বিকোচ্ছে ভেজাল মশলা। প্রায়শই এই ভেজাল মশলা খাবারের স্বাদ ও গন্ধে প্রভাব ফেলে। এমনকি ভেজাল রাসায়নিক খেলে ক্যান্সার পর্যন্ত হতে পারে। ভেজাল মশলা চিনতে এক গ্লাস জলই কাফি!
খাঁটি মধু চিনবেন কীভাবে? ১ গ্লাস জলে ১ চা চামচ মধু মিশিয়ে নিন। নাড়িয়ে নিন ভালো করে। খাঁটি মধু জলের নীচে গ্লাসের নীচে জমে যাবে। মধুতে চিনি বা রাসায়নিক থাকলে জলে মিশে যাবে।
খাঁটি গোলমরিচ চিনবেন কীভাবে? গোলমরিচ স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। খাঁটি ও নকল গোলমরিচ শনাক্ত করতে হলে এক গ্লাস জলে ১ চা চামচ কালো গোলমরিচ মিশিয়ে নিন। খাঁটি গোলমরিচ জলে স্থির থাকবে। আর ভেজাল হলে উপরে ভেসে উঠবে।
খাঁটি লবঙ্গ চেনার উপায়- শীতে লবঙ্গ সর্দি-কাশি থেকে রক্ষা করে। কিন্তু ভেজাল লবঙ্গ খেয়ে কোনও লাভ নেই। লবঙ্গ এক গ্লাস জলে থিতু হয়। ভেজাল লবঙ্গ জলের উপরে ভেসে থাকে।
খাঁটি হিং চেনার পদ্ধতি- হিঙের বিশুদ্ধতা শনাক্ত করতে জলের পরিবর্তে আগুন লাগবে। একটি স্টিলের চামচে সামান্য হিং রেখে আঁচ দিন। খাঁটি হিং হলে আগুনের শিখা কর্পূরের মতো হবে। কিন্তু ভেজাল হিং পুড়বে না।
খাঁটি নারকেল তেল চেনার উপায়- খাঁটি এবং ভেজাল নারকেল তেলের মধ্যে পার্থক্য করতে হলে আগে ঠান্ডা করুন। খাঁটি নারকেল তেল হলে রেফ্রিজারেটরের ভিতরে সম্পূর্ণভাবে শক্ত হয়ে যায়। ভেজাল নারকেল তেল হলে রাসায়নিক আলাদা হয়ে যাবে। চর্বি ভাসবে।
আরও পড়ুন- দুধে সমস্যা? একই রকম ভিটামিন ও খনিজ থাকে এই ১০ খাবারে