শীতকাল মানেই নলেন গুড়ের রসগোল্লা, সন্দেশ, পিঠেপুলি। ঠান্ডায় কাঁপতে কাঁপতে সাত সকালে গুড়-রুটিও বাঙালির অত্যন্ত প্রিয়। গুড়ের পায়েসের কথাও বা ভুললে কীভাবে চলবে!গুড়ের বিবিধগুণও রয়েছে। শরীরকে গরম রাখতে সাহায্য করে। ঠান্ডায় গুড় চিনির বিকল্প হিসেবে ব্যবহার করার পরামর্শ দেন পুষ্টিবিদরা। গুড়ে রয়েছে আয়রন, ভিটামিনের মতো পুষ্টিগুণ। তাই শীতকালে প্রচুর গুড় বিকোয়। বর্তমানে বাজারে বাড়ছে ভেজাল গুড়। তাই গুড় কেনার আগে দেখে নিতে হবে ভেজাল না আসল।
গুড় স্বাস্থ্যের জন্য দারুণ উপকারী। ক্যালসিয়াম, পটাসিয়াম, ফসফরাস, আয়রন, জিঙ্ক, প্রোটিন এবং ভিটামিন বি-এর মতো পুষ্টি উপাদান পাওয়া যায়। শীতকালে গুড় শরীরকে গরম রাখে। শীতকালে গুড়ের চা পান করলে বিভিন্ন রোগের ঝুঁকি কমে। ওজন কমানোর কথা ভেবে থাকলে ডায়েটে চিনির পরিবর্তে রাখুন গুড়। গুড় থেকে বাংলায় মিষ্টিও তৈরি হয়। রয়েছে পিঠে-পায়েস। আজকাল বাজার ছেয়ে গিয়েছে ভেজাল গুড়ে। তাই নকল গুড় থেকে সাবধান! পেটে গোলমাল থেকে নানাবিধ সমস্যা হতে পারে নকল গুড় খেলে।
গুড়ের রং- আসল গুড়ের রং দেখলেই বুঝতে পারবেন। গাঢ় বাদামী রঙের গুড়ই কিনুন। ভেজাল গুড় হালকা হলুদ বা কিছুটা লাল রঙের হয়। আজকাল গুড়কে হালকা বাদামী করার জন্য নানা ধরনের রাসায়নিক মেশানো হয়। সেই সঙ্গে চকচকে করার জন্য রাসায়নিক পলিশিংও করা হয়। তবে আসল গুড়ের মতো গাঢ় বাদামি রং হয় না। তাই হালকা বাদামি রঙের গুড় কিনবেন না।
স্বাদ- গুড় কেনার আগে টেস্ট করে দেখুন। যদি গুড়ের স্বাদ কিছুটা নোনতা বা তেতো মনে হয়,তাহলে বুঝবেন সেই গুড় খাঁটি নয়। আসল গুড়ের স্বাদ মিষ্টি হয়। মিষ্টি ছাড়া অন্য স্বাদ হলেই সেই গুড় ভেজাল।
জল দিয়ে পরীক্ষা- ভেজাল গুড়কে মিষ্টি করতে তাতে চিনির স্ফটিক ব্যবহার করা হয়। সেটা ধরতে গুড়কে জলে ফেলুন। যদি ভাসতে থাকে তবে বুঝবেন তা আসল গুড়। গুড় জলে ডুবে গেলে বুঝতে হবে এতে ভেজাল উপাদান রয়েছে।
আরও পড়ুন- ওষুধ ছাড়াই বাগে আসবে ইউরিক অ্যাসিড, পাতে রাখুন এই ৫ খাবার