
Immunity Booster : যাঁদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল, তাঁরা সহজেই বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে থাকেন। এমতাবস্থায় শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে খাবারের বিশেষ যত্ন নিতে হবে। বেশিরভাগই তারা যাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল, যা সাধারণত শিশু এবং বয়স্কদের মধ্যে দেখা যায়। আসুন জেনে নেই কোন খাবারগুলো শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে কাজ করে।
সাইট্রাস ফল- বেশিরভাগ রোগে চিকিৎসকরা রোগীকে সাইট্রাস ফল খাওয়ার পরামর্শ দেন। ভিটামিন সি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এবং সর্দি-কাশির বিরুদ্ধে লড়াই করতে শরীরকে শক্তিশালী করে। সাইট্রাস ফলের মধ্যে রয়েছে আঙ্গুর, কমলা, ট্যানজারিন, লেবু। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে এই ফলগুলো নিয়মিত খেতে হবে।
পাপরিকা - লাল ক্যাপসিকামে সাইট্রাস ফলের তুলনায় দ্বিগুণ ভিটামিন সি রয়েছে। এতে বিটা ক্যারোটিনও প্রচুর পরিমাণে পাওয়া যায়। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানো ছাড়াও, ভিটামিন সি স্বাস্থ্যকর ত্বক বজায় রাখতে সাহায্য করে। বিটা ক্যারোটিন আপনার চোখকে সুস্থ রাখে।
ব্রকলি- ব্রকলিতে ভিটামিন এ, সি এবং ই এর পাশাপাশি অন্যান্য অনেক অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং ফাইবার রয়েছে। ব্রকলি স্বাস্থ্যকর সবজির মধ্যে একটি। এটি প্রোটিন, ক্যালসিয়াম, কার্বোহাইড্রেট এবং অন্যান্য অনেক পুষ্টিতে সমৃদ্ধ।
আদা- আদার মধ্যে অনেক ধরনের অ্যান্টি-ভাইরাল উপাদান পাওয়া যায়। অতএব, এটি অবশ্যই আপনার খাবারে অন্তর্ভুক্ত করুন। মৌরি বা মধুর সাথে খেলে ভালো ফল পাওয়া যাবে। দিনে ৩-৪ বার আদা খেলে আপনার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ভালো থাকবে।
রসুন- রসুনে অনেক ধরনের অ্যান্টি-ভাইরাল উপাদানও পাওয়া যায়। স্যুপ বা সালাদ ছাড়াও কাঁচা খেতে পারেন। এক চামচ মধুর সাথে রসুন খাওয়া আপনার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে কাজ করে।
তুলসি- তুলসি খুবই উপকারী, এমন উপাদানে সমৃদ্ধ যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা উন্নত করে। প্রতিদিন সকালে এক চামচ তুলসী খেলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার উন্নতি ঘটে। এটি ৩-৪ কালো গোলমরিচ এবং এক চামচ মধুর সাথে খেলে আপনার শরীরকে রোগের বিরুদ্ধে লড়াই করার শক্তি দেয়।
পালং শাক- পালং শাকে শুধু ভিটামিন সি নয় অনেক অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং বিটা ক্যারোটিন রয়েছে যা আমাদের শরীরের সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করার ক্ষমতা বাড়ায়। ব্রকলির মতো পালং শাকও সমান স্বাস্থ্যকর। এটির পুষ্টি ধরে রাখতে এটি সম্পূর্ণরূপে রান্না করবেন না।
বাদাম- সর্দি-কাশি প্রতিরোধে শরীরে ভিটামিন ই থাকা খুবই জরুরি। ভিটামিন ই ইমিউন সিস্টেমকে সুস্থ রাখে। ভিটামিন ই এর পাশাপাশি বাদামে স্বাস্থ্যকর চর্বিও পাওয়া যায়। আধা কাপ বাদাম প্রতিদিন আপনার ভিটামিনের চাহিদা পূরণ করবে।
হলুদ- হলুদকে সবচেয়ে স্বাস্থ্যকর মসলা হিসেবে বিবেচনা করা হয়। হলুদে প্রদাহরোধী গুণ রয়েছে। হলুদে পাওয়া কারকিউমিন মাংসপেশিকে রক্ষা করে এবং শক্তিশালী করে।
পেঁপে- পেঁপে ভিটামিন সি-এরও ভালো উৎস। পেঁপেতে পেপেইন পাওয়া যায় যা হজমকারী এনজাইম। পেঁপেতে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম, ভিটামিন বি এবং ফোলেট রয়েছে যা আপনার পুরো শরীরের জন্য উপকারী।
মৌরি- স্টার মৌরি, যা খাবারের স্বাদ বাড়ায়, এটি অ্যান্টি-ভাইরাল ওষুধ হিসাবেও ব্যবহার করা যেতে পারে। এতে শিকিমিক অ্যাসিড রয়েছে, যা ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদেরও দেওয়া হয়।
বেরি – আঙুর, ব্লু বেরি, ক্র্যানবেরি, স্ট্রবেরি, কোকো, ডার্ক চকলেটের মতো খাদ্যদ্রব্য শুধুমাত্র অতিবেগুনি রশ্মি এবং ছত্রাকের সংক্রমণের বিরুদ্ধে কার্যকর নয়, তারা শরীরকে সব ধরনের ভাইরাস থেকেও রক্ষা করে।
নারকেল তেল- বাড়িতে রান্না করার সময় সরিষার তেলের পরিবর্তে নারকেল তেল ব্যবহার করা ভালো হবে। এতে লরিক অ্যাসিড এবং ক্যাপ্রিলিক অ্যাসিড রয়েছে যা আপনার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এবং ভাইরাল থেকে রক্ষা করে।
দই- চিকিৎসকরা বলছেন, প্রতিদিন দই খেলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে। দই মাংসপেশিকেও শিথিল করে।
গ্রিন টি- শরীর সুস্থ রাখতে সবুজ চা খুবই কার্যকরী। এটি শরীর থেকে বিষাক্ত উপাদান বের করে দেয়। এছাড়া এটি পরিপাকতন্ত্রকেও সুস্থ রাখে। প্রতিদিন গ্রিন টি পান করলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে।