চিকিৎসক থেকে বিশেষজ্ঞ, সকলেই একটি বিষয় নিয়ে উদ্বিগ্ন। করোনার তৃতীয় ঢেউয়ে (Corona Third Wave) সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে শিশুরা। এ মুহূর্তে শিশুদের জন্য কোনও ভ্যাকসিন নেই। অদূর ভবিষ্যতে তা তৈরির সম্ভাবনাও ক্ষীণ। তাই রোজকার ডায়েটের মাধ্যমে শিশুর ইমিউনিটি (Immunity Booster Diet for Your Child) বাড়িয়েই তুলে তাকে সুরক্ষিত রাখা যেতে পারে। এমনটাই জানাচ্ছেন ক্লিনিকাল ডায়েটিশিয়ান রাখি চট্টোপাধ্যায়। রোজকার খাবারে কী কী পরিবর্তন আনতে হবে, কী যোগ করবেন, আর কী বিয়োগ করতে হবে, দেখে নিন কী বলছেন রাখি।
রাখি জানাচ্ছেন সদ্যোজাত শিশু থেকে ২-৩ বছরের বাচ্চাদের ক্ষেত্রে বেশি সতর্কতা প্রয়োজন বাবা-মা এবং বাড়ির বড়দের। কারণ এরা বাইরে গিয়ে সংক্রমাতি হতে পারে না। বড়দের মাধ্যমেই এঁদের দেহে সংক্রমণ হতে পারে। রাখির কথায়, 'বাইরে থেকে ফিরে প্রথমেই পোশাক এবং হাত-পা ধোয়ার দিকে নজর দিন। কোনও ভাবেই বাচ্চাদের কাছে যাবেন না। সব সময় মাস্ক পরে বাচ্চাকে কোলে নিন। কারণ আপনি নিজেও জানেন না আপনি নিজে সংক্রামিত কিনা। এই শিশুদের ক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ যেমন খাবার সেটা খাওয়াতে হবে। একটু বড় শিশুদের ফল, ডিম এবং প্রোটিনযুক্ত সুষম খাবার দিতে হবে।'
আরও পড়ুন: ডায়েটে ছোট ভুলে বড় সমস্যা হতে পারে, বলছেন পুষ্টিবিদ রাখি চট্টোপাধ্যায়
৪ বছর থেকে ১২ বছর পর্যন্ত বাচ্চাদের ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় সমস্যা হয় বাড়ির খাওয়ার খাওয়াতে। কারণ ওরা এখনকার দিনে জাঙ্কফুড খাওয়ায় অভ্যস্ত হয়ে উঠেছে। কিছু ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম নিশ্চয়ই রয়েছে। তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে কিন্তু এটাই দেখা যায়। রাখি বলছেন, 'জাঙ্কফুড কিন্তু বাচ্চাদের স্বাস্থ্যের সার্বিক ক্ষতি করে এবং ইমিউনিটি দুর্বল করে দেয়। এটা দেখার দায়িত্ব কিন্তু বড়দেরই। আপনারা শিশুদের বায়না কী ভাবে সামলাবেন সেটা আপনাদের ঠিক করতে হবে। বাড়িতেই পুষ্টিকর খাবার তৈরি করে দিতে হবে। যে সব বাচ্চারা ছোট থেকে জাঙ্কফুড যেমন চিপস, কোল্ডড্রিঙ্কস, বার্গার-পিৎজা ইত্যাদিতে অভ্যস্ত হয়ে গিয়েছে, তাদের সহজে বাড়ির খাবার রুচবে না এটাই স্বাভাবিক। এ ক্ষেত্রে বাচ্চাকে নানা রকম পুষ্টিকর রেসিপি সুস্বাদু করে খাওয়াতে হবে।'
আরও পড়ুন: চা চরিত: এই চা গুলি আপনার ইমিউনিটি শক্তিশালী করে তুলবে
রাখি আরও বলছেন, '১২ বছরের উর্ধ্বের বাচ্চা এবং কিশোরদের ক্ষেত্রে ডায়েটে প্রোটিন, ভিটামিন, ফাইবার এবং মিনারেল সমৃদ্ধ খাবার দিতে হবে। যেমন ড্রাইফ্রুট, ওটস, বিভিন্ন শাক-সবজি, ফল, প্রাণীজ প্রোটিন রাখতে হবে ডায়েটে। খাবার অবশ্যই সহজপাচ্য হতে হবে। শরীরকে হাইড্রেট রাখতে পরিমিত জল পান করতে হবে। প্রয়োজন হলে দিনে ১-২ বার লেবু, চিনি, নুন মিশিয়ে সরবত খাওয়াতে পারেন, গ্লুকোজ গুলে খাওযাতে পারেন। কোনও রকম প্রোটিন শেক বা সাপ্লিমেন্ট ব্যবহার করার আগে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।'