Sikkim Restriction For Tourists: মঙ্গলবারে ভয়াবহ তুষার ধসে মৃত্যু হয়েছে দু'জন বাঙালি সহ ৭ পর্যটকের। জখম হয়েছেন বহু পর্যটক। অনেককে বরফের পুরো আস্তরণ সরিয়ে বের করে আনা হয়েছে। ঘটনার পর শুধুমাত্র পর্যটক বা স্থানীয় বাসিন্দারাই নয়, প্রশাসনও রীতিমতো আতঙ্কেিত। সে কারণে অনির্দিষ্টকালের জন্য স্পর্শকাতর এলাকাগুলিতে পারমিট দেওয়া বন্ধ করে দিয়েছে সিকিম সরকার। বুধবার পর্যন্ত কোনও জায়গাতেই যেতে দেওয়া হয়নি, তবে বৃহস্পতিবার বেশ কিছু জায়গা যাতায়াতের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছে। তবে সিকিমে পর্যটকদের সবচেয়ে বড় আকর্ষণ ছাঙ্গু লেক, বাবা মন্দির, নাথুলা এ দিনও খোলা হয়নি। কবে খুলবে এখনো পর্যন্ত তার কোনও আভাস নেই। সিকিম সরকারের তরফে জানানো হয়েছে পরিস্থিতি অনুকূল না হলে এবং আবহাওয়া সুনিশ্চিত আশ্বাস না পাওয়া গেলে ওই এলাকাগুলো আপাতত খোলা হবে না। তবে অনেকগুলি রাস্তা খুলে যাওয়াতে কিছুটা স্বস্তি ফিরেছে সব মহলে। পর্যটকদের নামিয়ে আনার প্রক্রিয়া বৃহস্পতিবারও চলেছে। অনেককেই গ্যাংটক এবং গ্যাংটক থেকে শিলিগুড়ি আনা হয়েছে।
আরও পড়ুনঃ ২০২৩-এই শিলিগুড়ি-ঢাকা বিমান চালু? বড় ইঙ্গিত দিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী
বৈঠকে মুখ্য়মন্ত্রী
বুধবার তুষার ধসের কারণ এবং পরিস্থিতি খতিয়ে দেখার জন্য সিকিমের মুখ্যমন্ত্রী প্রেম সিং গোলে (তামাং) একটি উচ্চপর্যায়ে বৈঠক ডেকেছিলেন। সেখানেই এই বিষয়গুলি পরিষ্কার জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। সরকারের তরফ থেকে কোনও রকম ঝুঁকি নেওয়া হবে না বলে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। জানানো হয়েছে, পর্যটন জরুরি। তবে তার চেয়ে জরুরি মানুষের জীবন। এলাকাগুলিতে পরিস্থিতি অনুকূল না হলে যাতায়াতের অনুমতি দেওয়া হবে না।
পাশাপাশি বিভিন্ন ধসপ্রবণ এবং স্পর্শকাতর এলাকাগুলিতে সতর্কতামূলক হোর্ডিং এবং পোস্টার লাগিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সিকিমের পর্যটনমন্ত্রী বিএস পন্থ সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন যে, সরকারি তরফে আটকে পড়া পর্যটকদের ফেরাতে এবং চিকিৎসা সংক্রান্ত সমস্ত রকম সর্বোচ্চ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধান শুরু?
জানা গিয়েছে যে ১৩ মাইল পর্যন্ত অনুমতি থাকার পরও কিভাবে ১৫ মাইলে পর্যটকরা চলে গেলেন, এ বিষয়টি নিয়ে সতর্ক সিকিম সরকার। বরফে জমাটবাঁধা জলপ্রপাতের উপর কীভাবে তাঁরা উঠলেন, এমন নানা প্রশ্ন উঠছে। এরপরে তদন্ত কমিটি গঠন ঝুঁকিপূর্ণ। এলাকা চিহ্নিত করা, জলপ্রপাতগুলিতে যাতে পর্যটকরা যেতে না পারেন, নিরাপদ দূরত্বের বাইরে পর্যটকদের অ্যাক্সেস বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
আতঙ্ক জাঁকিয়ে বসেছে
মঙ্গলবার আচমকা তুষার ধসের কবলে পড়েন বহু পর্যটক। তার মধ্যে শিশু, মহিলা সহ ৭ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। অনেকে চাপা পড়ে থাকলেও তাঁদের উদ্ধার করা হয়েছে। বুধবার নতুন করে উদ্ধারকাজ শুরু হলেও আর কোনও মৃতদেহ মেলেনি বা কেউ নিখোঁজ রয়েছে বলে খবর পাওয়া যায়নি। এদিকে সিকিমে বড় দুর্ঘটনার পর খানিকটা আতঙ্ক রয়েছে পর্যটকদের মধ্যেও. পাশাপাশি পারমিট বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বহু বুকিং বাতিল করা হচ্ছে। অনেকেই এক মাস, দু'মাস পরে বুকিং থাকলেও, ঘনঘন খোঁজ নিচ্ছেন পরিস্থিতি কেমন রয়েছে তা জানার জন্য। ছাঙ্গু, আছেন লাচুং এর পরিবর্তে অন্য কোনও জায়গায় যাওয়া যায় কি না তা নিয়ে খোঁজ নিচ্ছেন। তবে বৃহস্পতিবার লাচুং-নাচেনে যাওয়ার রাস্তা খুলে দেওয়া হয়েছে।