মধু (Honey) অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল, অ্যান্টি-ফাঙ্গাল সহ অনেক গুণে সমৃদ্ধ। মধু ওষুধের মতো কাজ করে। আদা ও মধুর খাওয়া হলে তা কাশি নিরাময় করে। এছাড়া এটি পরিপাকতন্ত্রের উন্নতিতেও কাজ করে। ডায়াবেটিস রোগীদের (Diabetic Patients) মিষ্টি খেতে নিষেধ করেন চিকিৎসকরা। মধুও তো খুব মিষ্টি। এমতাবস্থায় মধু কি ডায়াবেটিস রোগীর ক্ষতি করতে পারে? সুগার থাকলে কি মধু খাওয়া যায়? চলুন জেনে নিই।
মধুতে কী পাওয়া যায়?
মধুতে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল ছাড়াও প্রচুর পরিমাণে আয়রন পাওয়া যায়। মধুতে রয়েছে ভিটামিন সি, ফোলেট, ম্যাগনেসিয়াম, পটাশিয়াম এবং ক্যালসিয়াম। এছাড়া এটি অনেক রোগের ওষুধ হিসেবেও কাজ করে।
আরও পড়ুন: Mosquito Bite: কিছু মানুষদের মশা বেশি কামড়ায় কেন ? গবেষণায় জানা গেল আসল কারণ
সুগার থাকলে কি মধু খাওয়া উচিত?
যাদের টাইপ ২ ডায়াবেটিস আছে, তাঁদের খুব সাবধানে কার্বোহাইড্রেট এবং চিনি খাওয়া উচিত। তাঁদের খুব ভেবেচিন্তে মিষ্টি খাওয়া উচিত। মধুও খুব সীমিত পরিমাণে খাওয়া উচিত। কারণ এটি শরীরে প্রদাহরোধী এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে।
তাহলে কি ডায়াবেটিস রোগীরা এটা খেতে পারবেন?
ডায়াবেটিস রোগীদের একটি বিষয় পরিষ্কার করা উচিত যে তারা যদি ডায়েটে মধু অন্তর্ভুক্ত করেন তবে অল্প পরিমাণে করতে হবে। মধু ডায়াবেটিস রোগীদের সুগার লেভেল বাড়াতে পারে। এই অবস্থা গুরুতর হতে পারে। আসলে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে না থাকলে মধু খাওয়া এড়িয়ে চলুন। আজকাল বাজারে মধু বিক্রি হচ্ছে। এতে সরাসরি চিনি মেশানো হয়। এই চিনি খুব দ্রুত রক্তে সুগারের মাত্রা বাড়াতে পারে। যাদের গর্ভাবস্থা এবং দুর্বল রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা আছে তাঁদের মধু খাওয়া উচিত নয়।