আম (Mango) ভারতের পরিচয় ও সংস্কৃতির অংশ। এই মিষ্টি, রসালো গ্রীষ্মকালীন ফল পছন্দ করেন না এমন কোনও ভারতীয় কমই থাকবেন। ভারতে আমের দেড় হাজার জাত পাওয়া যায়। তবে, সুগারের রোগীদের (Diabetic Patient) একটাই প্রশ্ন আজকাল, তা হল চিনি দিয়ে আম খাওয়া নিরাপদ কি না? আম খেলে কি সুগার লেভেলে প্রভাব পড়বে?
ডায়াবেটিসে আম খাওয়া কি ভাল (Is it good to eat mangoes in diabetes)?
কেউ কেউ বলেন আমে প্রাকৃতিক চিনি থাকে, কেউ কেউ এমনও বলেন যে আম ব্লাড সুগার একেবারেই বাড়ায় না। অন্যদিকে, কিছু লোক আপনাকে বলতে পারেন যে আম ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য বিষ। কিন্তু আসল সত্যটা ঠিক কী? আম সহ অন্যান্য ফলগুলি অল্প পরিমাণে ডায়াবেটিস রোগীরা খেতে পারেন। যদি রক্তে সুগার খুব বেশি থাকে, তাহলে কার্বোহাইড্রেট-সমৃদ্ধ খাবার যেমন ফলমূল এড়িয়ে চলাই ভাল।
আরও পড়ুন: দাঁড়িয়ে না বসে, কীভাবে প্রস্রাব করলে 'বিপদ' আসে না পুরুষদের?
ডায়াবেটিস রোগীদের প্রতিদিন প্রায় ১৫০-২০০ গ্রাম কার্বোহাইড্রেট খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়, যার মধ্যে সর্বাধিক ৩০ গ্রাম ফল থেকে পাওয়া যেতে পারে। আপনি যদি কম কার্বোহাইড্রেটযুক্ত ফল (যেমন স্ট্রবেরি) খান, তবে আপনি অনেকটা খেতে পারেন। আমের ক্ষেত্রে ১০০ গ্রামে ১৫ গ্রাম কার্বোহাইড্রেট থাকে। তাই অর্ধেক বা ছোট আকারের আম খাওয়ার সুপারিশ করা হয়। প্রতিদিন এই পরিমাণে আম নিরাপদে খাওয়া যেতে পারে। আপনি যদি আম খেতে চান, তাহলে আপনাকে অন্যান্য ফল খাওয়া ছাড়তে হবে।
ব্লাড সুগারের উপর কোন খাবারের প্রভাব গ্লাইসেমিক ইনডেক্স র্যাঙ্কের মাধ্যমে জানা যায়। এটি ০ থেকে ১০০ এর স্কেলে পরিমাপ করা হয়। ৫৫-এর কম র্যাঙ্কের যে কোনও খাবারকে এই স্কেলে শর্করার পরিমাণ কম বলে মনে করা হয়। এই খাবারগুলোকে ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য উপযুক্ত বলে বিবেচনা করা হয়। আমের জিআই র্যাঙ্ক ৫১, যার মানে ডায়াবেটিস রোগীরাও এটি খেতে পারেন।
আম খাওয়ার জন্য দিনের সেরা সময় কখন (best time of the day to eat mangoes)?
সকালের ভারী খাবারের মাঝে আম খাওয়া সবচেয়ে ভাল। সকালের ব্রেকফাস্ট এবং দুপুরের খাবারের মধ্যে বা দুপুরের খাবার এবং রাতের খাবারের মধ্যে।