কৈলাস পর্বতকে শিবের আবাস বলে মনে করা হয়। শুধুমাত্র হিন্দু ধর্মের নয়, জৈন, বৌদ্ধ এবং শিখ ধর্মের মানুষদের জন্যও পবিত্র স্থান কৈলাস। শুধু তাই নয়, কৈলাস মানসরোবরের তীর্থযাত্রা ধর্মীয় এবং সাংস্কৃতিক দিক থেকেও গুরুত্বপূর্ণ। এই তীর্থযাত্রা পরিচালনা করে ভারত সরকার। কৈলাস মানসরোবর যাত্রা এত সহজ নয়। এর জন্য পুণ্যার্থীদের প্রয়োজনীয় শর্ত পূরণ করতে হয়। কৈলাস মানসরোবর যাত্রা করার ইচ্ছা থাকলে এ সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ নিয়মগুলি জানা জরুরি।
ধর্মীয় বিশ্বাস কী?
সনাতন ধর্মীয় বিশ্বাস অনুসারে, কৈলাসে বাস করেন শিব। এর উপরে স্বর্গ এবং নীচে নশ্বর পৃথিবী। শুধু তাই নয়, শিবপুরাণ, স্কন্দ পুরাণ, মৎস্য পুরাণ প্রভৃতি গ্রন্থে এ বিষয়ে একটি পৃথক অধ্যায় রয়েছে। যেখানে কৈলাস পর্বতের মহিমা বর্ণনা করা হয়েছে। কথিত আছে, এই স্থান থেকে পবিত্র গঙ্গা শিবের জটা থেকে প্রবাহিত হয়েছিল। প্রতি বছর কৈলাস মানসরোবরে তীর্থযাত্রা করতে যান বহু পুণ্যার্থী।
কৈলাস যাত্রার দায়িত্বে বিদেশ মন্ত্রক
কৈলাস তিব্বতে। সে কারণে বিদেশ মন্ত্রক এই সফরের আয়োজন করে। প্রতি বছর জুন থেকে সেপ্টেম্বর মাস যাত্রার সময়। এই যাত্রায় ২ থেকে ৩ সপ্তাহ সময় লাগে। কৈলাসে পৌঁছনোর দু'টি ভিন্ন পথ রয়েছে- প্রথমটি লিপুলেখ পাস (উত্তরাখণ্ড) এবং দ্বিতীয় নাথু লা পাস (সিকিম) দিয়ে। সমতল থেকে ১৯,৫০০ ফুট উঁচুতে উঠতে হয় পুণ্যার্থীদের। উত্তরাখণ্ড, দিল্লি এবং সিকিমের রাজ্য সরকার এবং ইন্দো-তিব্বত সীমান্ত পুলিশ (ITBP) সহযোগিতা করে।
আরও পড়ুন- ৫০-এর পরেও থাকবে অফুরান যৌবনশক্তি, খালি পাতে রাখুন সস্তার ৭ খাবার
কী কী যোগ্যতা লাগে?
কৈলাস মানসরোবর যাত্রার জন্য আবেদন করেন বহু পুণ্যার্থী। তবে সবাই যেতে পারেন না। কারণ কঠিন পথ। যে যে শর্ত আবশ্যিক তা হল-
১। তীর্থযাত্রীকে অবশ্যই ভারতীয় নাগরিক হতে হবে।
২। তীর্থযাত্রীর ভারতীয় পাসপোর্ট থাকতে হবে
৩। ৭০ বছরের বেশি বয়সী হলে চলে না।
৪। বডি মাস ইনডেক্স ২৫ বা তার কম।
৫। তীর্থযাত্রীদের শারীরিকভাবে ফিট হতে হয়।
আরও পড়ুন- ইউরিক অ্যাসিড-সুগার নিয়ন্ত্রণ করে লক্ষ্মীর প্রিয় ফুল, ঘরে আনে টাকাও
কৈলাস যাত্রায় ইচ্ছুক প্রত্যেক আবেদনকারীকে বিদেশ মন্ত্রকের কৈলাস মানসরোবর যাত্রা ওয়েবসাইটে একটি অনলাইন আবেদন পূরণ করতে হয়। আবেদনকারীকে রুটের জন্য বিকল্পগুলির মধ্যে একটি বেছে নিতে হবে। কম্পিউটারাইজড ড্রয়ের মাধ্যমে আবেদনকারীদের বাছাই করা হয়। নির্বাচিত আবেদনকারীদের ই-মেইল আইডি ও মোবাইল নম্বরে সূচিত করা যাত্রার বিষয়ে। দিল্লিতে যাত্রার আগে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দেখাতে হয়। সেখানেই মেলে চূড়ান্ত ছাড়পত্র।