৫০ বছরের পর অনেকেই বুড়িয়ে যেতে থাকেন। বহু পুরুষই কর্মক্ষমতা হারান। দাম্পত্য সুখ থেকেও বঞ্চিত হতে শুরু করেন। যৌবনশক্তি বাড়াতে অনেকেই তখন ওষুধ খেতে শুরু করেন। তাতে শরীরে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে। যা আরও বিপজ্জনক হয়ে ওঠে। অনেক ক্ষেত্রে ৫০-এর অনেক আগে থেকেই কমতে শুরু করে পুরুষের যৌবনশক্তি। ফলে এমন কিছু খাবার খাওয়া উচিত, যা শরীরে উদ্যম আরও বাড়াতে পারে। সেই সঙ্গে ধরে রাখবে যৌবনও। ওষুধের ব্যবহার না করে এই ৭ খাবার খেয়ে প্রাকৃতিকভাবেই বাড়াতে পারেন টেস্টোস্টেরন হরমোন। ফলে ৫০-এর পরেও যৌবনশক্তি থাকবে অটুট।
জীবনযাপনের পরিবর্তন করুন- টেস্টোস্টেরনের মাত্রা বাড়াতে স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন করুন। অ্যালকোহল এবং ধূমপান থেকে দূরে থাকুন। পর্যাপ্ত ঘুমোন, ব্যায়াম করুন। মানসিক চাপ থেকে দূরে থাকুন। মানসিক চাপ টেস্টোস্টেরনের মাত্রা কমিয়ে দেয়। তাই জীবনযাত্রাকে স্বাস্থ্যসম্মত করুন। সেই নিম্নোক্ত ৭টি খাবার খান-
১। রসুন- রসুন খেলে টেস্টোস্টেরনের পরিমাণ বেড়ে যায়। এর প্রধান উপাদান হল অ্যালিসিন। যা শরীরে উপস্থিত কর্টিসলের পরিমাণ কমায়। কর্টিসলের পরিমাণ কমে যাওয়ার কারণে টেস্টোস্টেরনের পরিমাণ বেড়ে যায়।
২। আঙুর- আঙুরের প্রধান উপাদান হল রেসভেরাট্রল। যা পুরুষদের লিবিডো বাড়ায়। যৌবনশক্তি বাড়াতে যা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এটি টেস্টোস্টেরনকেও উন্নত করে।
৩। পালং শাক- পালং শাকে প্রচুর পরিমাণে ম্যাগনেসিয়াম রয়েছে। যা বাড়ায় যৌবনশক্তি। এছাড়াও এটি অন্যান্য প্রোটিনকে টেসটোস্টেরনের সঙ্গে যুক্ত হতে বাধা দেয়। যে কারণে টেস্টোস্টেরনের পরিমাণ বেড়ে যায়।
৪। আদা- আদা পুরুষদের পৌরুষ ক্ষমতাও বাড়ায়। সমীক্ষা অনুসারে, যে পুরুষরা নিয়মিত আদা খান তারা তাঁদের টেস্টোস্টেরনের মাত্রা ১৭.৭% পর্যন্ত বাড়ে।
আরও পড়ুন- চোখের ফোলাভাব, ক্লান্তি কাটান জোড়া চামচে, এভাবে ঘরেই করুন স্পুন থেরাপি
৫। বেদানা- গবেষণা অনুসারে,ডালিম পুরুষদের পৌরুষ ক্ষমতাও বাড়ায়। ২৪ শতাংশ পর্যন্ত টেস্টোস্টেরনের মাত্রা বাড়াতে সাহায্য করতে পারে এই ফল।
৬। দুধ- খনিজ, ফ্যাট, প্রোটিন এবং ভিটামিন সমৃদ্ধ দুধ। পেশী তৈরির পাশাপাশি টেস্টোস্টেরনের স্তর ধরেরাখে।
৭। আখরোট- আখরোট শুক্রাণুর মান বাড়াতে সাহায্য করে। এই ফল স্পার্ম কাউন্ট বাড়ায়। সেই সঙ্গে শরীরে আনে জীবনীশক্তিও। নিয়মিত আখরোট খেলে ৫০-র পরেও থাকবেন চাঙ্গা।