scorecardresearch
 

Darjeeling Wonderful Destination: এঁকেবেঁকে যাচ্ছে রঙ্গিত নদী-কেমন আছে সিকিম? দার্জিলিঙের এই গ্রাম থেকেই দেখা যায়...

Darjeeling Wonderful Destination: দার্জিলিংয়ের অপরূপ পাহাড়ি গ্রাম থেকে কাঞ্চনজঙ্ঘা দেখা যায় না। এটা একটা বিস্ময়। তার বদলে কী দেখবেন? দেখতে পাবেন রঙ্গিত নদীর একের পর এক বাঁক। নীচে নেমে যাচ্ছে চঞ্চলা তরুণীর বিনুনির মতো। সঙ্গে সিকিম পরিষ্কার দেখা যায়। সিকিমের গা বেয়ে দৌড়নো গাড়িগুলির যাতায়াত দেখতে পাবনে।

Advertisement
এঁকেবেঁকে যাচ্ছে রঙ্গিত নদী-কেমন আছে সিকিম? দার্জিলিঙের এই গ্রাম থেকেই দেখা যায়... এঁকেবেঁকে যাচ্ছে রঙ্গিত নদী-কেমন আছে সিকিম? দার্জিলিঙের এই গ্রাম থেকেই দেখা যায়...
হাইলাইটস
  • দার্জিলিংয়ের অপরূপ পাহাড়ি গ্রাম
  • এখান থেকে থেকে কাঞ্চনজঙ্ঘা দেখা যায় না
  • তার বদলে দেখুন রঙ্গিতের সর্পিল সব বাঁক

 Darjeeling Wonderful Destination: দার্জিলিং (Darjeeling) তো গিয়েছেনই, আমরা ধরেই নিচ্ছি। সঙ্গে কার্শিয়াং, কালিম্পং, মিরিকও ঘুরেছেন ধরে নিলাম। এমন বাঙালি নেই রাজ্যের এই চার দুর্দান্ত জায়গা ঘোরেনি এমন লোক পাওয়া দুষ্কর। গরম পড়লে প্রায় প্রত্যেক বাঙালিই এই চার শহরে (Hill station) ঘুরে আসেন। তবে এখন অনেক জায়গা রয়েছে, যেগুলি দার্জিলিংয়েই তবে ভিড় ভাট্টা এড়িয়ে এলাকার একটু বাইরে। তবে এগুলির আলাদা সৌন্দর্য ও বিশেষত্ব রয়েছে।

কিজম গ্রামে চলুন

আজ যে স্থানের খোঁজ দেওয়া হবে সেটি দার্জিলিংয়ের থেকে মাত্র ঘণ্টাখানেকের দূরে অবস্থিত। তবে দার্জিলিং শহরের মতো ভিড় এখানে নেই। আপনি যদি ছুটির দিনগুলো একটি শান্ত-নিরিবিলিতে কাটাতে চান, তাহলে এখানে চলে যেতেই পারেন। এই গ্রামের মধ্যে দিয়েই বয়ে যায় রঙ্গিত নদী। সবুজে ঘেরা এই গ্রামে একবার গেলেই আপনার মন ভালো হয়ে যাবে। সেই অপূর্ব সুন্দর গ্রামের নাম হল কিজম (Kizom)।

এঁকেবেঁকে যাচ্ছে রঙ্গিত নদী-কেমন আছে সিকিম? দার্জিলিঙের এই গ্রাম থেকেই দেখা যায়...

এখান থেকে কাঞ্চনজঙ্ঘা একটুও দেখা যায় না

কাঞ্চনজঙ্ঘার লোভে কিজম গ্রামে না যাওয়াই ভাল। খুব একটা পরিষ্কার ভিউ পাওয়া যায় না কিজমের কোলে বসে। তবে, আশেপাশের তুষারাবৃত শৃঙ্গগুলো ভালই চোখে পড়ে। কিজম গ্রামে বসে যা দেখা যায়, তা হল সিকিমকে। পশ্চিমবঙ্গের কোলে বসে এভাবে সিকিমকে দেখার মজা কিজম ছাড়া খুঁজে পাওয়া কঠিন। এমনকী কিজমে বসে সিকিমের রাস্তার গাড়ি চলাচলও চোখে পড়ে। আর এই সিকিম ও কিজমের মাঝ দিয়ে বয়ে গিয়েছে রঙ্গিত নদী। কিজম গ্রাম থেকে রঙ্গিতের প্রতি বাঁক দেখা দেয়। আর দেখা যায় জোরথাং, সিকিমের দারামদিনের মতো একাধিক পাহাড়ি গ্রাম।

গ্রামজুড়ে স্কোয়াশের চাষ। ঘন সবুজে ঢাকা গ্রাম। যদিও এই গ্রামের ঐতিহাসিক গুরুত্বও রয়েছে। গ্রামের মধ্যে রয়েছে একটি প্রাচীন গুম্ফা। নেজি মনেস্ট্রি। ১৭৬০ সালে তৈরি। এই কাঠের তৈরি গুম্ফা একসময় তেন্দুক রাজার প্রাসাদ ছিল। যদিও তিনি ছিলেন তিব্বতী, সিকিমের বাসিন্দা। ব্রিটিশদের কাছে তিনি রাজা উপাধি পেয়েছিলেন। তিব্বতী ধাঁচে পুরো গুম্ফা তৈরি কাঠ দিয়ে। ভিতরের কারুকার্য প্রাকৃতিক রং দিয়ে আঁকা। ঐতিহ্য আর সৌন্দর্যের সংমিশ্রণ এই নেজি মনেস্ট্রি। মনেস্ট্রির পাশেই রয়েছে নকশা ডুংগা। পাথরের গায়ে খোদাই করা বৌদ্ধের ছবি। এটাও মনেস্ট্রির সমসাময়িক। মনেস্ট্রির ছাড়াও এই গ্রামে রয়েছে একটি গির্জা, যা ১৮১৫ সালে তৈরি।

Advertisement
এঁকেবেঁকে যাচ্ছে রঙ্গিত নদী-কেমন আছে সিকিম?

কী কী দেখবেন?

দার্জিলিংয়ে এই গ্রামের অন্যতম আকর্ষণ হল নেজি মনেস্ট্রি নামের একটি প্রাচীন গুম্ফা। এটি ১৯৬০ সাল নাগাদ তৈরি হয়েছিল। শোনা যায়, এই কাঠের গুম্ফাটি নাকি তেন্দুক রাজার প্রাসাদ ছিল। ভেতরটা প্রাকৃতিক রঙ দিয়ে কারুকার্য করা। এছাড়াও তেন্দুক রাজার বংশধর অ্যান্ড্রুর তৈরি করা কার্মি ফার্ম হোমস্টেও এখানেই রয়েছে।

কীভাবে যাবেন?

কিজম থেকে দার্জিলিংয়ের দূরত্ব মাত্র ৩০ কিমি। আপনি যদি চান বিজনবাড়ি থেকে গাড়ি শেয়ার করে এখানে যেতে পারেন। এছাড়া শিলিগুড়ি অথবা দার্জিলিং থেকে আসলে আপনি প্রাইভেট গাড়ি পেয়ে যাবেন।

কোথায় থাকবেন?

কিজমে যেমন যাতায়াতের অসুবিধা নেই, তেমনই থাকা খাওয়ারও কোনও সমস্যা নেই। এখানে বিভিন্ন ধরণের হোমস্টে রয়েছে। খুব স্বল্প খরচে সেখানে থাকতে পারেন আপনি। জানা গিয়েছে, থাকা খাওয়া নিয়ে এই হোমস্টেগুলিতে দৈনিক মাথাপিছু ১২০০-১৫০০ টাকা লাগে।

 

Advertisement