বর্তমান জীবনযাত্রায় স্বাস্থ্য ঠিক রাখাটা দরকার। বেশিরভাগ মানুষই স্বাস্থ্য সচেতন নন। ফলে ডায়াবেটিস, হার্টের সমস্যা তো আছেই। কিডনি বিকল হওয়ার সম্ভাবনাও রয়েছে। আর ডায়াবেটিস থাকলে তো কথাই নেই। বিরাট ক্ষতি হতে পারে কিডনির।কিডনি বিকলের মোকাবিলায় রক্তে শর্করার নিয়ন্ত্রণ করা দরকার।
ডায়াবেটিস কী ভাবে কিডনির ক্ষতি করে?
রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেলে ধীরে ধীরে তা কিডনিতে উপস্থিত রক্তনালিগুলিকে ক্ষতিগ্রস্ত করে। রক্তনালিগুলো দুর্বল হতে শুরু করলে কিডনি রক্ত পরিশ্রুত করতে পারে না। এর ফলে উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা শুরু হয়। এমনকি কিডনির ক্ষতিও হতে পারে।
কিডনি বাঁচাতে সুগারের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করুন
স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, কিডনি রোগে আক্রান্ত রোগীর জন্য সুগার নিয়ন্ত্রণে রাখা জরুরি। এজন্য তাঁদের জীবনযাত্রায় একাধিক পরিবর্তন দরকার। যেমন-
- খাবার-দাবারে নজর
- রাগ কমান
- চিন্তা বেশি করবেন না
- নিয়মিত শরীরচর্চা
- প্রতিদিন যোগব্যায়াম
ডায়াবেটিস ও কিডনির সমস্যা থাকলে এই খাবারগুলি থেকে দূরে থাকুন-
অ্যাভোকাডো- অ্যাভোকাডো স্বাস্থ্যকর হলেও উচ্চমাত্রায় পটাশিয়াম থাকে। তাই বেশিমাত্রায় খাবেন না।
কলা- কলায় থাকে পটাশিয়াম। নিয়ন্ত্রণ রেখে খান।
নুন- বেশি নুন খাবেন না। নুনে থাকে সোডিয়াম। এতে কিডনি বিকল হওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়।
ব্রাউন রাইস- ব্রাইন রাইসে থাকে ফসফরাস ও পটাশিমায়। যা কিডনির জন্য খারাপ। সাদা চালের ভাত ও ডালিয়া খেলে কোনও সমস্যা নেই।
ডেয়ারি পণ্য- দুধ, দই ও পনির থেকে দূরত্ব বজায় রাখুন। কারণ এতে ফসফরাস, পটাশিয়াম ও প্রোটিন বেশি থাকে। দুধে ফসফরাস থাকায় অতিরিক্ত খাওয়া এড়িয়ে চলুন। আর কিডনির সমস্যা থাকলে খাবেন না।
প্রসেসড মাংস- এই ধরনের মাংসে নুন বেশি পরিমাণে থাকে। এজন্য বেশি খাওয়া অনুচিত।
প্য়াকেজ খাবার- প্যাকেজ খাবার যেমন স্যুপ, তরিতরকারিতে থাকে সোডিয়াম। যা কিডনির জন্য ঘাতক।
এছাড়া আচার, শুকনো মাছ এবং নরম পানীয় নিয়ন্ত্রণ রেখে খাওয়াই শ্রেয়।
আরও পড়ুন- বর্ষায় ভুলেও খাবেন না এই ৮ খাবার, খেলেই পেট খারাপ