কথাতেই আছে বাঙালির বারো মাসে তেরো পার্বন। এই বৈশাখ থেকে চৈত্র মাস পর্যন্ত চলা পার্বণগুলির মধ্যে কিন্তু বাঙালির জামাইষষ্ঠী অন্যতম। বছরের এই একটিবারই জামাইকে ডেকে আদর করে, বসিয়ে খাওয়ানোর সুযোগ পেয়ে থাকেন। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে জামাইষষ্ঠীর অনেক পরিবর্তন ঘটলেও বাঙালি বাড়িতে আজও কিছু রীতি মেনে চলা হয়। শ্বশুড়বাড়িতে জামাই পা রাখামাত্রই শুরু হয়ে যায় জামাই আদর। তবে হালফিলের জামাইষষ্ঠীতে এসেছে অনেক বদল। এখন অনেকেই বাড়িতে জামাইষষ্ঠী পালন না করে হোটেল-রেস্তোরাঁয় এই পার্বন পালন করে থাকেন। আসুন জেনে নিই আধুনিক যুগের জামাইদের পাতে জামাইষষ্ঠীর দিন কোন কোন খাবার দিতে পারেন।
আগেকার দিনে বড় কাঁসর থালায় জামাইকে আম, জাম, কাঁঠাল, কলা, লিচু দেওয়ার রেওয়াজ ছিল। এখনও সেই রেওয়াজ রয়েছে, তবে গোটা ফলের বদলে এখন কিছু ফল কেটে দেওয়া হয়। সঙ্গে লুচি মাস্ট। আর লুচির সঙ্গে জামাই বাবাজির পছন্দের খাবার।
আরও পড়ুন: কব্জি ডুবিয়ে খান জামাইষষ্ঠীর ভোজ, খাওয়ার আগে মানুন এই ৫ টিপস
দুপুরের মেনুতে ক্লাসিক জামাইষষ্ঠীর থালি ঠিক কেমন হতে পারে আসুন দেখে নেওয়া যাক, যা দেখলে জামাইও আর লোভও সামলাতে পারবেন না।
১) গন্ধরাজ লেবুর সরবৎ
২) দেরাদুন চালের ভাত
৩) স্যালাড
৪) সোনা মুগ ডাল
৫) পাঁচ পদের ভাজা
৬) তপসে মাছ ভাজা অথবা ফিসফ্রাই
৭) ভেটকি পাতুড়ি
৮) বাসন্তী পোলাও
৯) গলদা চিংড়ির মালাইকারি
১০) কচি পাঁঠার ঝোল
১১) চাঁটনি
১২) পাঁপড়
১৩) মিষ্টি দই
১৪) মিষ্টি
বর্তমান সময়ে এই মেনুর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে আইসক্রিম। তবে আজকের যুগে এইসব কিছু না করে শাশুড়িরা জামাইয়ের পছন্দকেই বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়। তাই প্রায়শই দেখা যায়, পঞ্চব্যাঞ্জনের বদলে জামাইয়ের পছন্দের মটন বিরিয়ানি আর চিকেন চাপ দিয়েই সেরে ফেলা হচ্ছে মধ্যাহ্নের ভুরিভোজ। মাছ ও মাংসের রেজালাও এই গরমে বেশ আরাম দেয়। গরমে দই দিয়ে তৈরি করা এই পদগুলি আজকের ছিমছাম জামাইদের জন্য বেশ ভালো।
আরও পড়ুন: জামাইয়ের ডায়াবেটিস? 'বাবা-জীবনকে' খুশি করতে স্পেশাল মেনু রইল
রাতে কিন্তু না খাইয়ে ছাড়বেন না জামাইকে। তাই তখন রান্না করতে ইচ্ছে না করলে কোনও রেস্তোরাঁয় যেতে পারেন অথবা বাড়িতেই অর্ডার করতে পারেন ইতালিয়ান বা মেক্সিকান খাবার। শেষে একটাই কথা বলা, পকেটে মোটা টাকা থাকলে যেমন ইচ্ছে জামাই আদর করা যায়।