scorecardresearch
 

Ladyfinger Diabetes Control: ডায়াবেটিস থেকে ওজন কমাতে ওস্তাদ ঢ্যাঁড়শ, কখন-কতখানি খেলে লাভ?

ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে খাদ্যতালিকায় গোটা শস্য, প্রোটিন, কম চর্বিযুক্ত দুগ্ধজাত খাবার, ফলমূল ও শাকসবজি রাখা উচিত। তা স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। ডায়াবেটিস রোগীরা রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণের জন্য প্রতি ঘণ্টায় অল্প অল্প খাবার খেতে থাকুন। কম গ্লাইসেমিক সূচকের খাবারই ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য যথাযথ। ফল এবং সবজি তো আছেই। তেমনই একটি সবজি ঢ্যাঁড়শ সুগার নিয়ন্ত্রণে অত্যন্ত কার্যকর। 

Advertisement
diabetes control tips diabetes control tips
হাইলাইটস
  • ডায়াবেটিসে কার্যকর ঢ্যাঁড়শ।
  • ঢ্যাঁড়শ নিয়ন্ত্রণে রাখে ডায়াবেটিস।

এখন ডায়াবেটিস রোগী ঘরে ঘরে। কম বয়সেই রক্তে বাড়ছে সুগারের মাত্রা। একবার ডায়াবেটিস হলে সহজে ছেড়ে যায় না। তাই ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখা জরুরি। আর যাঁদের এখনও সুগায় হয়নি তাঁদেরও দরকার সঠিক ডায়েট। যাতে ভবিষ্যতে ডায়াবেটিসের হাত থেকে বাঁচতে পারেন। ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে খাদ্যতালিকায় গোটা শস্য, প্রোটিন, কম চর্বিযুক্ত দুগ্ধজাত খাবার, ফলমূল ও শাকসবজি রাখা উচিত। তা স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। ডায়াবেটিস রোগীরা রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণের জন্য প্রতি ঘণ্টায় অল্প অল্প খাবার খেতে থাকুন। কম গ্লাইসেমিক সূচকের খাবারই ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য যথাযথ। ফল এবং সবজি তো আছেই। তেমনই একটি সবজি ঢ্যাঁড়শ সুগার নিয়ন্ত্রণে অত্যন্ত কার্যকর। 

ঢ্যাঁড়শ এমন একটি সবজি যা গরমকালে পাওয়া যায়। অনেকেই মনে করেন, ঢ্যাঁড়শ খেলে রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে যায়। তবে বিশেষজ্ঞদের মতে, ডায়াবেটিস রোগীরা ঢ্যাঁড়শ খেতে পারেন। তা স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। ঢ্যাঁড়শে থাকে প্রোটিন, কার্বোহাইড্রেট, ফাইবার, ক্যালসিয়াম, আয়রন, ম্যাগনেসিয়াম, ফসফরাস, পটাসিয়াম, সোডিয়াম, জিঙ্ক, ম্যাঙ্গানিজ এবং ভিটামিন সি। যা স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। চলুন বিশেষজ্ঞদের কাছ থেকে জেনে নেওয়া যাক কীভাবে ঢ্যাঁড়শ রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণ করে- 

আরও পড়ুন- গরমে এই ৪ ধরনের খাবার ভুলেও খাবেন না, বাড়ে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি

ঢ্যাঁড়শ কেন উপকারী? 

ডায়াবেটিসের রোগীরা রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণ করতে ঢ্যাঁড়শ অব্যর্থ দাওয়াই। ঢ্যাঁড়শের গ্লাইসেমিক ইনডেক্স কম যা ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য উপকারী। কম গ্লাইসেমিক সূচক যুক্ত খাবার হল কার্বোহাইড্রেট সমৃদ্ধ খাবারের র‌্যাঙ্কিং। কম গ্লাইসেমিক সূচক যুক্ত খাবার গ্রহণ করলে কার্বোহাইড্রেটগুলি গ্লুকোজে রূপান্তরিত হতে সময় নেয়। ফলে সুগার বাড়ে না। ঢ্যাঁড়শ অ্যান্টি-হাইপারগ্লাইসেমিক খাবার যা রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণে কার্যকর। 

আরও পড়ুন- হরমোনের প্রভাব মন-শরীরে, কী কী লক্ষণ, যে ৫ জিনিস খাবেন না

Advertisement

- ঢ্যাঁড়শ খেলে ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকে। ফাইবার সমৃদ্ধ ঢ্যাঁড়শ পেট ভরা রাখে। ফলে চট করে খিদে পায় না।ব্লাড সুগার সহজেই নিয়ন্ত্রণ করা যায়

- ডায়াবেটিক রোগীরা যদি ঢ্যাঁড়শ খেলে হাড় মজবুত থাকে। দৃষ্টিশক্তি শক্তিশালী হয়। ভিটামিন এ এবং ভিটামিন সি সমৃদ্ধ ঢ্যাঁড়শ দৃষ্টিশক্তি বাড়ায়। চোখকে সুস্থ রাখতে সহায়ক। 

- ঢ্যাঁড়শ খেলে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে। ডায়াবেটিস রোগীদের মধ্যে উচ্চ রক্তচাপ দেখা দেয়। 

- ঢ্যাঁড়শ খেলে শরীর পুষ্টি পায়। 

দিনে কতটা ঢ্যাঁড়শ খাবেন? 

ডায়াবেটিসে দিনে এক বাটি ঢ্যাঁড়শ খেলে স্বাস্থ্যের উপকার। ডায়াবেটিস রোগীরা ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণ করতে দুপুরে ও রাতের খাবারে ঢ্যাঁড়শ খেতে পারেন।
 

Advertisement