শরীরের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশ মস্তিষ্ক। মাথাই মানুষের ভাবনাচিন্তাকে নিয়ন্ত্রণ করে। বোধবুদ্ধি তৈরি করে মস্তিষ্কই। ধারালো মস্তিষ্ক হলে সব সময় পরিস্থিতি থাকে নিয়ন্ত্রণে। জীবনে তুঙ্গ সাফল্য পাওয়া যায়। প্রখর স্মৃতিশক্তি মানুষকে অন্যদের থেকে আলাদা করে। মস্তিষ্ক সুস্থ থাকলেই স্মৃতিশক্তি ঠিক থাকে। বুদ্ধি শান দিতে দরকার ডায়েট। যা কম বয়স থেকেই শুরু করতে হবে। বড় বয়সেও খাওয়া যেতে পারে।
বর্তমান জীবনযাত্রায় প্রতিদিনই চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হয়। স্কুল-কলেজ হোক বা অফিস-আদালত- যা সামলানোর জন্য দরকার ক্ষুরধার মস্তিষ্ক। ডায়েটে এমন জিনিস রাখুন যা মানসিক চাপ কমায় এবং বুদ্ধি শাণিত করতে পারে। মস্তিষ্ককে তীক্ষ্ণ করতে এমন কিছু বিশেষ খাবার আছে যেগুলি খেলে স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি পায়, মস্তিষ্কের শক্তি বাড়াতেও সাহায্য করে। চলুন জেনে নেওয়া যাক কী কী খাবেন-
কুমড়োর বীজ- কুমড়ার বীজ ফেলে দেবেন না কারণ এগুলি সুপারফুড হিসেবে কাজ করে। কুমড়োর বীজ মস্তিষ্ককে তীক্ষ্ণ করতে খুবই সহায়ক। কুমড়োর বীজে নানা ধরনের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট পাওয়া যায় যা মস্তিষ্কের ফ্রি র্যাডিক্যাল দূর করে। ফ্রি র্যাডিক্যালের কারণে মস্তিষ্কের কোষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। মস্তিষ্কের কোষ ক্ষতিগ্রস্ত হতে শুরু করলে স্মৃতিশক্তি দুর্বল হয়ে পড়ে।
হলুদ- হলুদে কারকিউমিন যৌগ পাওয়া যায় যার মধ্যে প্রদাহরোধী গুণ থাকে। হলুদের নানা ঔষধি গুণ রয়েছে। কারকিউমিন রক্ত এবং মস্তিষ্কের মধ্যে বাধা কমায়। ফলে বুদ্ধি ক্ষুরধার হয়।
আরও পড়ুন- রাতভর এই ৪ জিনিস জলে ভিজিয়ে সকালে খান, ডায়াবেটিস থেকে মুক্তি
বাদাম- বাদাম সম্পর্কে সকলেই জানেন। বাদাম মস্তিষ্কের কার্যকারিতা বাড়ায়। বাদাম হার্টের স্বাস্থ্যের উন্নতি করে। একটি গবেষণায় দেখা গিয়েছে, নিয়মিত বাদাম খেলে প্রাপ্তবয়স্কদের স্মৃতিহ্রাসের ঝুঁকি হ্রাস করে। বাদামে উপস্থিত স্বাস্থ্যকর ফ্যাট, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং ভিটামিন ই-এর মতো পুষ্টিগুণ মস্তিষ্কে বার্ধক্যের প্রভাব কমায়।
ব্লুবেরি- এটি ঔষধি ফল। নানা ধরনের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে যা প্রদাহ কমায়। মস্তিষ্কের ক্ষমতা বাড়াতে এই ফল খুবই কার্যকরী। ব্লুবেরিতে অ্যান্থোসায়ানিন যৌগ পাওয়া যায় যা অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে ভরপুর। অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকায় অক্সিডেটিভ স্ট্রেস মস্তিষ্কে তৈরি হয় না। প্রদাহ কমায়। সেই সঙ্গে কমে মস্তিষ্কে বার্ধক্যের প্রভাব।
ডার্ক চকোলেট- ডার্ক চকোলেটে ক্যাফেইন এবং অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট রয়েছে যা মস্তিষ্কের কার্যকারিতা সক্রিয় করে। তবে দুধ দিয়ে তৈরি চকোলেটে এই সুবিধা নেই। চকোলেটের ফ্ল্যাভোনয়েড মস্তিষ্কের সেই অংশগুলিকে সক্রিয় করে যা শেখার এবং স্মৃতির সঙ্গে সম্পর্কিত।