রাজ্যে কমবেশি বৃষ্টি চলছে। তবে পুরোপুরি বর্ষা আসতে অবশ্য এখনও কিছুটা দেরি। আর এই বর্ষায় আবহাওয়া যত বেশি মনোরম, রোগের ঝুঁকিও তত বেশি। বর্ষাকালে আমাদের শরীরে অ্যালার্জি, ইনফেকশন এবং হজমজনিত সমস্যা হয়। তাই সেসব এড়াতে আমাদের শরীরে কিছু বিশেষ পুষ্টির প্রয়োজন হয়। সেই সমস্ত পুষ্টিগুণ শুধুমাত্র নির্দিষ্ট ধরণের মৌসুমী কিছু ফলের মধ্যেই পাওয়া যায়। বর্ষায় শরীরের উপকার করে এমন কিছু বিশেষ ফলের বিষয়ে জেনে নিন।
জাম - বর্ষায় জাম সুগার লেবেল নিয়ন্ত্রণ করে। জামে ক্যালোরি কম এবং আয়রন, ফোলেট, পটাসিয়াম এবং ভিটামিনে সমৃদ্ধ। বর্ষাকালে জাম খেলে শরীরে অনেক উপকার হয়।
আলু বোখারা - এই ফল শরীরে আয়রন সরবরাহ করে। এছাড়াও এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন-সি, যা হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বাড়িয়ে রক্তাল্পতা থেকে রক্ষা করে।
চেরি - চেরিতে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হিসেবে মেলাটোনিন থাকে, যা আমাদের কোষের সিস্টেমকে ফ্রি র্যাডিক্যালের ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করে। হৃদরোগ এড়াতেও চেরিকে খুবই উপকারী। এগুলো শরীরে কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায় এবং এর ক্যান্সার বিরোধী গুণও রয়েছে।
পীচ - ভিটামিন-এ, ভিটামিন-বি, ভিটামিন-সি এবং ক্যারোটিন সমৃদ্ধ পীচ আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে খুবই কার্যকরী। এটি আমাদের চোখ এবং ত্বকের জন্যও খুব উপকারী। এতে ফাইবার বেশি থাকায় ওজন কমাতেও সাহায্য করে।
নাশপাতি - ভিটামিন সমৃদ্ধ নাশপাতিও শরীরের জন্য দারুণ উপকারী। এর পুষ্টিগুণ শরীরকে সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করার শক্তি দেয়। বর্ষাকালে আর্দ্রতা বৃদ্ধি পায়। ফলে অসুস্থ হওয়ার ঝুঁকিও বেড়ে যায়। এই পরিস্থিতিতে নাশপাতি শরীরের জন্য খুবই উপকারী।
লিচু - লিচু একটি সুস্বাদু ফল। এতে ভিটামিন-সি, ভিটামিন-বি, পটাসিয়াম এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের সঙ্গে ফাইবারও থাকে। লিচু আমাদের শরীরে অ্যান্টি-বডি এবং ইমিউন সিস্টেমকে শক্তিশালী করতে সাহায্য করে। এছাড়া শরীরকে ঠান্ডা এবং ফ্লু থেকেও রক্ষা করে।
ডালিম - ডালিম শরীরকে অনেক ধরনের সংক্রমণ, যেমন ঠান্ডা লাগা, ফ্লু ইত্যাদি থেকে রক্ষা করে। এর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বর্ষায় শরীরকে সংক্রমণ থেকে বাঁচাতে কার্যকরী। গবেষণায় দেখা গিয়েছে ডালিম পাচনতন্ত্র এবং কোলন ক্যান্সার কোষের প্রদাহ কমায়। ফলের নির্যাস ক্যান্সারের কোষকে ছড়াতে বাধা দেয়।
আপেল - প্রতিদিন একটি আপেল আপনাকে ডাক্তারের থেকে দূরে রাখবে। চিকিৎসাকরাও বলেন, প্রতিদিন সকালে একটি আপেল খেলে সমস্ত রোগ দূরে থাকে। এটি ইমিউন সিস্টেমকে শক্তিশালী করে এবং শরীর থেকে জ্বালা এবং প্রদাহ কমায়। আপেলে পেকটিন, ফাইবার, ভিটামিন সি এবং কে পাওয়া যায়।
কলা - কলায় প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে যা হজমশক্তি বাড়ায়। আপনি যদি প্রতিদিন কলা খান তাহলে আপনার হজমশক্তি ভাল হবে। আমাদের শরীরের হিমোগ্লোবিন এবং ইনসুলিন তৈরির জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন B6 প্রয়োজন। কলায় এইসব পুষ্টি উপাদান থাকে।
পেঁপে - পেঁপেতে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে। এছাড়াও এটি ভিটামিন সি এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে ভরপুর। এই বৈশিষ্ট্যগুলির কারণে, এটি কোলেস্টেরলও নিয়ন্ত্রণ করে। এছাড়া পেঁপে আপনার শরীরের প্রয়োজনীয় ভিটামিন সি-এর চাহিদা পূরণ করে। তাই আপনি যদি প্রতিদিন কিছু পরিমাণে পেঁপে খান, তাহলে অসুস্থ হওয়ার সম্ভাবনা অনেকটাই কমে যাবে।
আরও পড়ুন - GTA-র সঙ্গেই ভোট শিলিগুড়ি মহকুমা পরিষদের, শুক্রবার বিজ্ঞপ্তি