দিন কয়েক ধরে বৃষ্টিপাত। মেঘলা আকাশ। আনাচে-কানাচে জমছে জল। এই জমা জলই মশার আঁতুরঘর। মশার কামড়ে ম্যালেরিয়া, ডেঙ্গির মতো অসুখও বাংলায় দাপট দেখায়। মশার কয়েল বা ধূপ সারাক্ষণ জ্বালিয়ে রাখাও ঠিক নয়। এতে শরীরের ক্ষতি হয়। আবার মশা যে চলে যাবে তার গ্যারান্টিও নেই। কয়েল শেষ হলেই চলে আসে মশা। রাত ও ভোরের দিকে মশা বেশি সমস্যা তৈরি করে। বিশেষজ্ঞরা তাই মশারি টাঙিয়ে শুতে বলেন। মশা থেকে গাছ লাগিয়ে নিষ্কৃতি পেতে পারেন। বাড়িতে লাগান ৫টি গাছ। মশা ধারেকাছে ঘেঁষবে না। আয়ুর্বেদিক বিশেষজ্ঞরা পরামর্শ দিচ্ছেন, এই গাছগুলি লাগালে দূরে থাকে মশা। চলুন জেনে নিই এই গাছগুলির কথা-
গাঁদা- হলুদ-কমলা গাঁদা ফুলের গাছ ঘরের সৌন্দর্য বাড়ায়। গাঁদা ফুল কাজে লাগে পুজোয়। ঘর সাজাতেও গাঁদা ফুলের মালা ব্যবহৃত হয়। গাঁদা ফুল মশা তাড়াতেও ওস্তাদ। এই গাছে থাকে পাইরেথ্রাম নামক একটি যৌগ। যা পোকামাকড় তাড়ানোর কাজেও ব্যবহৃত হয়। এজন্য বাড়ির দরজা-জানালার কাছে গাঁদা গাছ লাগান যাতে মশা ঘরে ঢুকতে না পারে। বারান্দাতেও রাখতে পারেন গাঁদা গাছ।
পুদিনা- পুদিনার গন্ধ একেবারেই সহ্য করতে পারে না মশা। এ কারণেই এই গাছ প্রাকৃতিক কীটনাশক হিসাবে কাজ করে। মশা তাড়াতে বা মারতে কার্যকর। পুদিনা গাছের কিছু পাতা কেটে ছোট ছোট টুকরো করে ঘরে ছিটিয়ে রাখলে মশা পালিয়ে যায়। এছাড়া বাড়ির চারপাশে পুদিনা গাছ রাখলেও মশা আশেপাশে ঘেঁষে না।
আরও পড়ুন- গরমের ৪ রসালো ফল দ্রুত বাড়ায় ওজন, খেলেই মুটিয়ে যাবেন
তুলসী- প্রতিটি হিন্দুর বাড়িতেই মেলে তুলসী গাছ। তুলসী গাছকে পুজো করা হয়। তুলসী গাছের আয়ুর্বেদিক গুরুত্বও রয়েছে। তুলসী পাতা সর্দিকাশি থেকে শরীরকে মুক্তি দেয়। তুলসী গাছ মশা তাড়াতেও কার্যকর। বাড়ির বাইরে যত বেশি সম্ভব তুলসী গাছ রাখুন।
ল্যাভেন্ডার- বহু মানুষ ল্যাভেন্ডারের গন্ধ পছন্দ করেন। তবে মশাদের কাছে এটা মোটেও সুগন্ধী নয়। বরং এই গন্ধ থেকে পালায়। মশা তাড়াতে হলে ঘরে রাখুন ল্যাভেন্ডার। এর গন্ধেই পালাবে মশা।
রোজমেরি- ঘরের সৌন্দর্য বাড়ায় রোজ মেরি। মশা তাড়াতে এই গাছটি ঘরে লাগাতে পারেন। ঘরে রোজমেরি লাগালে মশা ঘুরে বেড়ায় না। বাড়ির জানালা এবং দরজায় লাগান রোজমেরি।