দুধকে (Milk) ক্যালসিয়াম, ভিটামিন ডি এবং পটাসিয়ামের অন্যতম স্বাস্থ্যকর উৎস হিসাবে বিবেচনা করা হয় এবং এর প্রচুর উপকারিতা রয়েছে। যদিও বেশিরভাগ লোকেরা গরম দুধ (Hot Milk) খেতে করতে পছন্দ করেন, কেউ কেউ আবার দুধ ঠান্ডা (Cold Milk) করেই খান। গরম দুধ তাপের সংস্পর্শে আসে এবং রাসায়নিক এবং পুষ্টিগতভাবে পরিবর্তিত হতে পারে বা নাও পারে, যেখানে ঠান্ডা দুধে সমস্ত পুষ্টি অক্ষত থাকে। আপনি কি কখনও ভেবে দেখেছেন যে এই দুটির মধ্যে কী পার্থক্য থাকতে পারে? তারা কি পুষ্টির দিক থেকে একে অপরের থেকে আলাদা? একটি কি অন্যের চেয়ে স্বাস্থ্যকর?
গরম বা ঠান্ডা দুধ আবহাওয়া এবং সময়ের উপর নির্ভর করে। গ্রীষ্মকালে দিনের বেলা ঠান্ডা দুধ খাওয়া ভাল। কারণ এটি শরীরকে ঠান্ডা করে। যেখানে শীতকালে একজনকে অবশ্যই ঠান্ডা দুধ এড়িয়ে চলতে হবে। এবং এর পরিবর্তে শরীরকে উষ্ণ রাখার জন্য গরম হলুদ দুধ খেতে হবে। ভুল সময়ে এবং অনুপযুক্ত জলবায়ু পরিস্থিতিতে দুধ খাওয়ার ফলে শ্লেষ্মা হতে পারে এবং বিভিন্ন স্বাস্থ্য সমস্যা হতে পারে। দুই ধরনের দুধেই সমানভাবে পুষ্টিকর উপাদান রয়েছে। তাদের উপকারিতা নির্ভর করে আবহাওয়ার অবস্থার উপর।
আরও পড়ুন:Side Effects Of Milk Tea: দুধ চা খাওয়া ভাল না খারাপ? অজান্তেই বিরাট ক্ষতি করছেন না তে!
গরম দুধ কতটা উপকারী (How Is Hot Milk Beneficial?)?
গরম দুধের অন্যতম প্রধান সুবিধা হল এটি সহজে হজমযোগ্য। ডায়রিয়া ও হজমের সমস্যগুলির প্রতিরোধ করে। গরম বা উষ্ণ দুধ খেলে ভাল ঘুম হয়। কারণ এতে ট্রিপটোফ্যান নামক অ্যামিনো অ্যাসিড থাকে, যা ঘুম প্ররোচিতকারী রাসায়নিক সেরোটোনিন এবং মেলাটোনিন তৈরি করে, যা আপনাকে ভাল ঘুমোতে সাহায্য করতে পারে।
ঠান্ডা দুধ কীভাবে উপকারী (How Is Cold Milk Beneficial?)?
ঠান্ডা দুধ আশ্চর্যজনকভাবে একটি উপকারী ওষুধ। এটি খেলে অ্যাসিডিটি হয় না। উচ্চ পরিমাণে ক্যালসিয়াম অ্যাসিড গঠন প্রতিরোধ করতে পারে এবং উৎপাদিত অতিরিক্ত অ্যাসিড শোষণ করে, এর লক্ষণগুলি আরও কমিয়ে দেয়। এটি ইলেক্ট্রোলাইট দিয়ে পরিপূর্ণ, যা আপনার শরীরকে ডিহাইড্রেশনের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাহায্য করতে পারে। সকালে ঠান্ডা দুধ খেলে করলে সারাদিন হাইড্রেট থাকা যায়। তবে এটি হজমের সমস্যাকে বাড়িয়ে তুলতে পারে।