পেঁয়াজ কাটা খুবই কঠিন কাজ, তবে পেঁয়াজের কারণে হওয়া এই একটি অসুবিধা যদি ভুলে যান, তাহলে পেঁয়াজ স্বাস্থ্য ও সৌন্দর্যের ধন। পেঁয়াজে অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি বৈশিষ্ট্য পাওয়া যায়। এছাড়াও এতে অ্যান্টি-অ্যালার্জিক, অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট এবং অ্যান্টি-কার্সিনোজেনিক বৈশিষ্ট্য রয়েছে। ভিটামিন এ, বি৬, বি-কমপ্লেক্স এবং সিও প্রচুর পরিমাণে পেঁয়াজে পাওয়া যায়।
পেঁয়াজে আয়রন, ফোলেট এবং পটাসিয়ামের মতো খনিজ উপাদানও রয়েছে পর্যাপ্ত পরিমাণে। পেঁয়াজ হল সালফিউরিক যৌগ এবং ফ্ল্যাভোনয়েডের ভান্ডার। কাঁচা পেঁয়াজ ব্যবহার করার অনেক উপায় আছে। কেউ এটি স্যালাদ আকারে খেতে পছন্দ করেন, কেউ এটি পিজ্জাতে পছন্দ করেন এবং কেউ এটি আচার হিসাবে পছন্দ করেন।
আরও পড়ুন-চিনিতে বিপদ, 'মিষ্টি'র স্বাদ পেতে কী খাওয়া যায়? রইল লিস্ট
পেঁয়াজ খাওয়ার উপকারিতা
১. কাঁচা পেঁয়াজ ব্যবহারে চুল লম্বা হয়। কাঁচা পেঁয়াজের রস মাথার ত্বকে লাগালে উপকার পাওয়া যায়।
২. পেঁয়াজের ব্যবহার ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণেও কাজ করে। এটি ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য খুবই উপকারী।৩. পেঁয়াজে এমন অনেক উপাদান পাওয়া যায় যা ক্যান্সার প্রতিরোধেও সহায়ক।
৪. কাঁচা পেঁয়াজ খেলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে। পেঁয়াজে এমন অনেক উপাদান রয়েছে যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।
৫. পেঁয়াজে উপস্থিত ভিটামিন সি এবং ক্যালসিয়াম মুখের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী।
মানুষের শরীরের যে ছটি রসের প্রয়োজন (নোনতা, মিষ্টি এবং টক), তার মধ্যে পেঁয়াজ ৩টি দিতে পারে। কিন্তু একটু বেশি ব্যবহার করলে মুখে গন্ধ, নিশ্বাসে গন্ধ থেকে যায়; ফলে মানুষের মধ্যে কথা বলার সময় অস্বস্তি বোধ হয়। এই গন্ধ তাড়ানোর জন্য পেঁয়াজকে চার ভাগ করে সারা রাত টক দইয়ে ভিজিয়ে রাখলে গন্ধ কমে এবং গুণ যোগ হয়ে এক অমূল্য খাদ্যদ্রব্যে পরিণত হবে।
পেঁয়াজ দিয়ে আপনি উপকার পেতে হলে কাঁচা খাওয়াই জরুরি, অথবা রস করে খেতে পারেন। আমরা সাধারণত রান্নায় যে পেঁয়াজ খাই, তা দিয়ে উপকার হলেও ঔষধি গুণের উপকার পাওয়া যাবে না। তাই প্রতিদিন পেঁয়াজসহ স্যালাদ খাওয়ার অভ্যাস করতে পারলে শরীর সুস্থতা থাকবে, কোনো রোগে আক্রান্ত থাকলে সেটাও নিরাময় হবে।