সবজি হোক বা ফল, দু'ভাবেই পেঁপে খুবই পরিচিত। কাঁচা অবস্থায় এটিকে খাওয়া হয় সবজি রূপে। আর পাকা অবস্থায় এটি সুস্বাদু ফল। এর রয়েছে প্রচুর স্বাস্থ্যগুণও। পেঁপে এমনই একটি ফল, যা গ্রীষ্ম, বর্ষা বা শীত, যে কোনও ঋতুতেই খাওয়া যায়। এতে এমন অনেক পুষ্টি উপাদান রয়েছে, যা আমাদের বিভিন্ন রোগ থেকে রক্ষা করে। কিন্তু এটা হয়তো অনেকেই জানেন না যে শুধুমাত্র পেঁপেই নয়, এর ভিতরে থাকা কালো বীজও ভীষণ উপকারী (Papaya Seeds Benefits)। এগুলোর মধ্যে এমন অনেক পুষ্টি উপাদান রয়েছে, যার দ্বারা মানব দেহের বিভিন্ন উপকারে হয়। এই প্রতিবেদনে পেঁপের বীজের সেই সমস্ত গুণাবলী নিয়েই আলোচনা করা হল।
ওজন কমায়
বর্ধিত ওজন আজকাল অনেকের কাছেই খুব সমস্যার বিষয়। তবে পেঁপের বীজে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার পাওয়া যায়, যা স্থূলতা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। এই বীজ শরীরের চর্বি গলিয়ে দেহকে স্লিম এবং ট্রিম রাখতে সাহায্য করে। এছাড়া এতে যে পুষ্টি উপাদান রয়েছে তাতে মুখে ও শরীরের উজ্জ্বলতাও বজায় থাকে।
রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ
পেঁপের বীজ সর্দি, কাশি এবং জ্বরে অসাধারণ উপশম দেয়। তাছাড়া এটি খেলে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে এবং হার্টও ঠিকমতো কাজ করে। যাঁরা নিয়মিত পেঁপের বীজ খান, তাঁদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অন্যদের তুলনায় অনেকটাই বেশি থাকে এবং তাঁরা ছোটখাটো মরশুমি রোগেও সহজে আক্রান্ত হন না।
পিরিয়ডের ব্যথার উপকারী
পেঁপের বীজ পেট ফাঁপা কমাতে ব্যাপকভাবে সাহায্য করে। এর পাশাপাশি কোলেস্টেরলও নিয়ন্ত্রণে রাখে। পেঁপের বীজে প্রোটিওলাইটিক এনজাইম থাকে, যা অন্ত্রের সুস্থতার জন্য খুবই কার্যকরী বলে মনে করা হয়। পিরিয়ডের ব্যথায় ভোগা মহিলাদের জন্যও পেঁপের বীজ খুব উপকারী।
কীভাবে খাবেন পেঁপের বীজ?
পেঁপের বীজ খাওয়ার জন্য প্রথমে সেগুলিকে ভাল করে শুকিয়ে নিতে হবে। তারপর বীজগুলি পিষে গুঁড়ো করে নিন। এরপর আধা চা চামচ পেঁপের বীজের গুঁড়ো গরম জলের সঙ্গে মিশিয়ে পান করলে আশ্চর্যজনক উপকার পাওয়া যায়। তবে মনে রাখবেন, উপরোক্ত সমস্ত শারীরিক সমস্যার ক্ষেত্রে প্রয়োজনে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নেবেন।
আরও পড়ুন - মাত্র ৫ দিনের অপেক্ষা, শুক্র মীনে প্রবেশ করলেই ৫ রাশির 'স্বর্ণযুগ' শুরু