কিছু শিশু খুব জেদি প্রকৃতির হয়। কখনও কখনও শিশুরা পাবলিক প্লেসেও জেদ করতে শুরু করে। এরকম পরিস্থিতিতে সন্তানদের সামলানো বাবা-মায়ের পক্ষে খুবই কঠিন হয়ে পড়ে। আপনার সন্তানও যদি খুব জেদি প্রকৃতির হয়। তাহলে কিছু সহজ প্যারেন্টিং টিপসের সাহায্যে সন্তানদের একগুঁয়ে হওয়ার অভ্যাস থেকে মুক্তি পেতে পারেন।
বাড়িতে, বাবা-মায়েরা প্রায়শই শিশুদের সঙ্গে সহজে আচরণ করে। কিন্তু বাজারে খেলনা বা খাবারের জিনিস দেখে শিশুরা উত্তেজিত হয়ে পড়ে। একই সঙ্গে অপমানের ভয়ে অভিভাবকরাও তাদের সন্তানদের হঠকারিতার কাছে নতি স্বীকার করে। কিছু প্যারেন্টিং টিপস অনুসরণ করে বাচ্চাদের একগুঁয়ে হওয়া থেকে বিরত রাখতে পারেন।
ভালোবেসে বোঝান
শিশুদের একগুঁয়ে হতে দেখে কিছু বাবা-মা প্রায়ই মেজাজ হারিয়ে ফেলেন এবং তাদের জেদ ছেড়ে দিতে বাধ্য করেন। কিন্তু বাবা-মায়ের এই মনোভাব দেখে সন্তানও অনড় হয়ে যায়। অতএব, শিশুরা যখন জোর দেয় এবং তাদের সঙ্গে প্রেমের সঙ্গে আচরণ করার চেষ্টা করে তখন ধৈর্য ধরুন।
জেনে নিন জেদের পিছনের কারণ
অনেক সময় বাচ্চারা বাজারে ছোট ছোট জিনিস কেনার কথা বলে। কিন্তু তাড়াহুড়ো করে অভিভাবকরা তাদের সন্তানদের দাবি উপেক্ষা করে। যার কারণে শিশুদের একগুঁয়ে হওয়া ছাড়া আর কোনও উপায় থাকে না এবং ধীরে ধীরে একগুঁয়ে হওয়া শিশুদের স্বভাব হয়ে যায়। এমতাবস্থায় বাচ্চাদের সঙ্গে বাইরে যাওয়ার সময় তাদের কথা এড়িয়ে যাবেন না এবং তাদের ক্ষোভ বোঝার চেষ্টা করুন।
স্মার্টনেস মোকাবিলা
বাচ্চাদের জোর করে বকাঝকা করে চুপ করে রাখার চেয়ে অন্য কিছু দিয়ে প্রলুব্ধ করা ভালো। উদাহরণস্বরূপ, যদি শিশু একটি দামী খেলনা কেনার জন্য পীড়াপীড়ি করে। তাই আপনি তাকে কোথাও বাইরে যেতে বা তার পছন্দের জিনিস খাওয়ার জন্য একটি শর্ত সেট করতে পারেন। এটির সাথে, শিশু অবিলম্বে তার জেদ ছেড়ে দেবে এবং আপনি যা বলবেন তাতে সহজেই সম্মত হবে।
শিশুদের পছন্দের খাবার খাওয়ান
অনেক সময় ক্ষুধার কারণে শিশুরা খিটখিটে আচরণ শুরু করে এবং শুধুমাত্র একটি জিনিসের জন্য জেদ করে। এমন অবস্থায় বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় শিশুদের পছন্দের খাবার সঙ্গে রাখুন। এতে বাচ্চাদের পেট ভরা থাকবে এবং মেজাজও ভালো থাকবে। এমন পরিস্থিতিতে শিশুরা অপ্রয়োজনীয় জিনিস কেনার জন্য জোর করবে না।