Apple Peel Benefits: আপেলে আছে ভিটামিন এ, ভিটামিন সি, পটাশিয়াম, ফাইবার, কার্বোহাইড্রেট। একটি মাঝারি আকারের আপেলে প্রায় ৯৫ ক্যালরি থাকে। আপেল যে স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী তা সকলেই জানেন। কিন্তু আপেল আপনার কতটা উপকারে আসবে, সেটা নির্ভর করে আপনি কীভাবে খাচ্ছেন তার ওপর।
এটা নির্ভর করে আপেলের খোসা ছাড়াচ্ছেন নাকি ছড়াচ্ছেন না। অনেকেই কীটনাশকের ভয়ে আপেলের খোসা খায় না। কিন্তু আপনি কি জানেন আপেলের খোসা কতটা উপকারী? একটি আপেলের খোসায় প্রায় ৪.৪ গ্রাম ফাইবার থাকে। আপেলের খোসায় দ্রবণীয় এবং অদ্রবণীয় ফাইবার পাওয়া যায়, যার মধ্যে ৭৭ শতাংশ অদ্রবণীয় ফাইবার রয়েছে।এ ছাড়া দ্রবণীয় ফাইবার রক্তে শর্করার মাত্রা স্বাভাবিক রাখে। শরীরে পুষ্টির শোষণকে স্থিতিশীল করে। এটি কোলেস্টেরল কমাতেও কার্যকর।
ভিটামিন - একটি আপেলের খোসায় ৮.৪ মিলিগ্রাম ভিটামিন-সি এবং ২৯.৪ মাইক্রোগ্রাম ভিটামিন-এ পাওয়া যায়। কিন্তু আপেলের খোসা ছাড়ালে মাত্র ৬.৪ মিলিগ্রাম ভিটামিন-সি এবং ১৮.৩ গ্রাম ভিটামিন-এ থাকে। পুরো আপেলের প্রায় অর্ধেক পরিমাণ ভিটামিন-সি থাকে এর খোসাতেই। তাই সব সময় খোসা সহ আপেল খান।
ক্যান্সার প্রতিরোধ করে- ২০০৭ সালে ‘কর্নেল ইউনিভার্সিটি’-এর একটি গবেষণার রিপোর্ট অনুযায়ী আপেলের খোসায় ট্রাইটারপেনয়েডস যৌগ পাওয়া যায়। এই যৌগগুলি ক্যান্সার সৃষ্টিকারী কোষগুলিকে ধ্বংস করে। 'আমেরিকান ইনস্টিটিউট ফর ক্যান্সার রিসার্চ'-এর মতে, আপেলে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে, যা ফুসফুসের ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়।
শ্বাসকষ্ট- একটি গবেষণার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যারা সপ্তাহে প্রায় ৫ বা তার বেশি আপেল খান, তাদের ফুসফুস বেশি কাজ করে। এর পাশাপাশি হাঁপানি হওয়ার সম্ভাবনাও অনেকটাই কমে যায়।
ওজন কমানো- যারা ওজন কমাতে চান, তাদের খোসাসহ আপেল খাওয়া উচিত। আসলে, আপেলের খোসায় ইউরসোলিক অ্যাসিড পাওয়া যায়। এটি পেশীতে উপস্থিত চর্বি বাড়ায়, যা ক্যালোরি কমিয়ে স্থূলতা কমাতে সহায়ক প্রমাণিত হয়।
আপেলের খোসার উপকারিতা- ইলিনয় বিশ্ববিদ্যালয়ের মতে, আপেলের খোসায় পটাসিয়াম, ক্যালসিয়াম, ফোলেট, আয়রন এবং ফসফরাস থাকে। হাড় মজবুত করার পাশাপাশি এই সমস্ত খনিজ শরীরের বিভিন্নভাবে উপকার করে।