Powerless Heating: সাধারণ জলেই খাবার হবে গরম, আইআইটি দিল্লির নয়া আবিষ্কার

কম খরচে গরম করার পদ্ধতি আবিষ্কার করেছেন আইআইটি দিল্লির গবেষকরা। যে কোনও জায়গায় সাধারণ জল দিয়েই খাবার গরম করা যায়। বিদ্যুৎ বা অন্য কোনও জ্বালানির দরকার পড়ে না।  এই প্রযুক্তি প্রত্যন্ত অঞ্চলে বিশেষ করে উত্তর পূর্ব ভারতে সহায়ক হবে। সেই সব এলাকায় খাবার গরম করা বেশ কষ্টসাধ্য।

Advertisement
সাধারণ জলেই খাবার হবে গরম, আইআইটি দিল্লির নয়া আবিষ্কারআইআইটি দিল্লির হিটিং পদ্ধতি।
হাইলাইটস
  • কম খরচে গরম করার পদ্ধতি আবিষ্কার করেছেন আইআইটি দিল্লির গবেষকরা।
  • যে কোনও জায়গায় সাধারণ জল দিয়েই খাবার গরম করা যায়।

কর্পোরেট অফিস হোক বা চাষের জমি- প্রায় সকলেই খাবার সঙ্গে করে নিয়ে কাজে যান। জল বা খাবার গরম করার জন্য বিদ্যুৎ বা কাঠের কয়লা লাগে। অফিসে থাকলে সহজেই খাবার গরম করা যায়। কিন্তু বাইরে থাকলে কি তা সম্ভব হয়? এই সমস্যার সমাধান করেছে আইআইটি দিল্লির একদল গবেষক। তাঁরা এমন একটি গরম করার প্রক্রিয়া তৈরি করেছেন যাতে জলকে জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার করা যাবে। কীভাবে কাজ করবে এই পদ্ধতি?

কম খরচে গরম করার পদ্ধতি আবিষ্কার করেছেন আইআইটি দিল্লির গবেষকরা। যে কোনও জায়গায় সাধারণ জল দিয়েই খাবার গরম করা যায়। বিদ্যুৎ বা অন্য কোনও জ্বালানির দরকার পড়ে না।  এই প্রযুক্তি প্রত্যন্ত অঞ্চলে বিশেষ করে উত্তর পূর্ব ভারতে সহায়ক হবে। সেই সব এলাকায় খাবার গরম করা বেশ কষ্টসাধ্য।

ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি (IIT) দিল্লির ডিজাইন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক সুমের সিং ও গবেষকরা এই পদ্ধতির আবিষ্কার করেছেন। একে বলা হচ্ছে 'শক্তিহীন গরম করার প্রযুক্তি'। গরম করার উপাদানগুলি হল পরিবেশ বান্ধব খনিজ এবং লবণের মিশ্রণ যা এক্সোথার্মিক শক্তি উৎপন্ন করে। জলের সংস্পর্শে এলে তাপ উৎপন্ন করে এই প্রযুক্তি। এ কারণে এটি কোনও খাবার বা পানীয়ের তাপমাত্রা ৬০ থেকে ৭০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে গরম করা যায়। এই হিটারের ওজন মাত্র ৫০ গ্রাম। যা সহজেই যে কোনও জায়গায় নিয়ে যাওয়া যেতে পারে। আর এই খনিজ প্রকৃতির কোনও ক্ষতি করে না। বরং মাটির উর্বরতা বাড়ায়। 

এই প্রযুক্তির মাধ্যমে সহজেই জল দিয়ে খাবার গরম করা যাবে। শুধু তাই নয় নুডলসও তৈরি করতে পারেন। চা, কফি ইত্যাদি পানীয় গরমও করা যায়।  গবেষক দলকে সাহায্য করেছে নর্থ ইস্ট সেন্টার ফর টেকনোলজি অ্যাপ্লিকেশন অ্যান্ড রিচ-নেক্টার (NECTAR),  বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিভাগ। উত্তর-পূর্ব অঞ্চলের সামরিক কর্মী, পর্যটক এবং চাকরিজীবীদের জন্য দারুণ কাজে আসবে। এই অ-বৈদ্যুতিক গরম করার প্রযুক্তির উদ্দেশ্যে বনের কাঠ পোড়ানোর প্রয়োজনীয়তা দূর করা। যা দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে একটি বড় সমস্যা। এটি বাজারে আনার জন্য উদ্যোগ নিয়েছে একটি সংস্থা। 

Advertisement

আরও পড়ুন- কালো-সাদা-লাল! কোন রং পছন্দ? জানুন আপনি কেমন মানুষ

POST A COMMENT
Advertisement