মানব শরীরের বেশিরভাগ অংশই তৈরি জল দিয়ে। সেজন্য শরীরে জলের দরকার। জল শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। জল কম থাকলে ডিহাইড্রেশন হতে পারে। মানুষ অজ্ঞান হতে পারেন। নিয়মিত বিরতিতে জল খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। তবে মনে রাখতে হবে যে জল বা অন্য কোনও তরল অতিরিক্ত গ্রহণ উপকারের পরিবর্তে স্বাস্থ্যের ক্ষতি করতে পারে। সেজন্য সতর্ক থাকা জরুরি।
জল শরীরের জন্য দরকারি। তবে জল কম খেলেও যেমন স্বাস্থ্যের জন্য বিপদ ডেকে আনে তেমন বেশি খাওয়াও অনুচিত। তাহলে কী করবেন? পুষ্টিবিদরা বলছেন, অতিরিক্ত জল পান বিপজ্জনক হতে পারে।
কেন তৃষ্ণার্ত লাগে?
চিকিৎসকরা বলছেন, মানব মস্তিষ্কে একটি থ্রাস্ট সেন্টার রয়েছে, যা শরীরে জলের পরিমাণ কমে যাওয়ার ইঙ্গিত দেয়। পেপটাইডের নিঃসরণ থ্রাস্ট সেন্টারকে সংকেত দেয় যে এখন জল পান করতে হবে।
কারও কারও বেশি জল খাওয়ার অভ্যাস থাকে
তৃষ্ণা পেলে জল পান করা স্বাভাবিক। কিন্তু তৃষ্ণা না পেলেও জল খাওয়ার অভ্যাসকে সাইকোজেনিক পলিডিপসিয়া বলা হয়। এটি শরীরে তরলের মাত্রা বাড়ায় যা স্বাস্থ্যের জন্য ভালো নয়।
বেশি জল খেলে কী ফল হবে?
যাঁরা প্রচুর জল খান, তাঁদের শরীরে সোডিয়ামের মাত্রা কমতে থাকে। এমন অবস্থায় কোষে জলের পরিমাণ বেড়ে যায়। একে হাইপোনাট্রেমিয়া বলা হয়। তা মস্তিষ্কের ক্ষতি করে।
আরও পড়ুন- শরীরে এই ৪ সমস্যা থাকলে পেঁপে বিষের সমান! একদম খাবেন না
হাইপোনাট্রেমিয়ার লক্ষণ
- মাথা ব্যথা
- ক্লান্তি
- শক্তির অভাব
- বমি বমি ভাব
- বমি
- কম রক্তচাপ
- পেশীর ব্যথা
- অস্থিরতা
- রাগ হাওয়া
একজন ব্যক্তি কোমাতেও চলে যেতে পারেন।
দিনে কত জল পান করতে হবে?
চিকিৎসকরা বলছেন,দিনে ৮ থেকে ১০ গ্লাস জল পান করাই যথেষ্ট। এর বেশি জল খাওয়া আপনার শরীরের জন্য ঠিক নয়। তাই জল খাওয়ার সময় এই বিষয়টি মাথায় রাখা জরুরি। অতিরিক্ত জল এড়িয়ে চলা দরকার।