
Rantac-Zinetac Banned: গ্যাসের সমস্যাতে ভুগলেই জিনট্যাক (Zinetac), র্যানট্যাকের (Rantac) মতো ওষুধ খাওয়ার চল রয়েছে বহুদিন ধরে। পাড়ার ওষুধের দোকানেও এই মেডিসিনগুলির দেখা মেলে। কিন্তু মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তরফে প্রয়োজনীয় ওষুধের একটি তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। আর সেই তালিকাতে মোট ২৬টি ওষুধ। এই বাতিল তালিকায় রয়েছে জিনট্যাক(Zinetac), র্যানট্যাক (Rantac)মতো ওষুধগুলি।
কেন নিষিদ্ধ
ব়্যান্টিডাইন এই ওষুধে এন-নাইট্রোসোডিমেথাইলামাইন (N-Nitrosodimethylamine) নামের একটি উপাদান আছে। যা থেকে ক্যানসারের আশঙ্কা রয়েছে। চিকিৎসকদের একাংশ জানিয়েছেন, দীর্ঘদিন ধরেই ব়্যান্টিডাইন নিয়ে আলোচনা চলছে। বিশ্বের বিভিন্ন জায়গায় এই ওষুধ নিষিদ্ধ হয়েছে। আমাদের দেশের বা রাজ্যের চিকিৎসকরাও এই ওষুধ আর প্রেসক্রিপশনে লেখেন না। তবে খোলা বাজারে এই ওষুধগুলো বিক্রি হত। ভারত এখন পদক্ষেপ নিলেও, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আগেই এই ওষুধগুলিতে ক্যানসারের আশঙ্কা খুঁজে পেয়েছিল। ২০১৯ সালে এই আশঙ্কার কথা জানানো হয়েছিল।
বিভিন্ন দেশে পদক্ষেপ
ক্যান্সার সম্পর্কিত উদ্বেগের জন্য গোটা বিশ্বেই Ranitidine নিয়ে তদন্ত চলছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রক ভারতের ড্রাগ কন্ট্রোলার জেনারেল এবং অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অফ মেডিকেল সায়েন্সেস (AIIMS) এর সঙ্গে এই ওষুধের স্টক থেকে লবণ (সূত্র) পর্যায়ক্রমে বের করার বিষয়ে বিশদ আলোচনা করেছে। ২০১৯ সাল থেকে এ নিয়ে তদন্ত চলেছে। ড্রাগ নিয়ন্ত্রকেরা রেনিটিডিনযুক্ত ওষুধের নমুনায় অতিরিক্ত মাত্রায় ক্যান্সার সৃষ্টিকারী ব্যাধি N-Nitrosodimethylamine খুঁজে পেয়েছেন। এর জেরেই কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছে কেন্দ্র।