আম (Mango) বিভিন্ন জাতের পাওয়া যায়, যার মধ্যে রয়েছে আলফোনসো, আম্রপালি, হিমসাগর, ল্যাংড়া ইত্যাদি। তবে পাকা আম বাজারে আসতে আরও কিছুদিন সময় লাগবে। এখন পাওয়া যাবে অঢেল কাঁচা আম। আপনি কি জানেন যে কাঁচা আমের (Raw Mango) পুষ্টিগুণ সম্পর্কে। গরমকালে কাঁচা আম খেলে আপনি নানা উপকার পাবেন। শরীর ঠান্ডা থাকবে কাঁচা আম খেলে। এছাড়াও অনেক মারাত্মক রোগ থেকে বাঁচতেও পারবেন।
কাঁচা আম শরীরে জল সরবরাহে সাহায্য করে, যা আমাদের হজমের জন্য অপরিহার্য। কাঁচা আম নিয়মিত খেলে পেট সংক্রান্ত সমস্যাও দূর হয়। কাঁচা আম ভিটামিন এ, সি এবং ই ছাড়াও ক্যালসিয়াম, ফসফরাস এবং ফাইবারের মতো পুষ্টি উপাদানে ভরপুর।
আরও পড়ুন: Cholesterol Control Tips: গরমকালে প্রচুর মেলে, এই ফল কাঁচা খেলেই হুড়মুড়িয়ে কমবে সুগার-কোলেস্টেরল
কাঁচা আম খাওয়ার ৫টি উপকারিতা
কম চিনির পরিমাণ
অন্যান্য তাজা ফলের তুলনায়, কাঁচা আমে প্রচুর পরিমাণে প্রাকৃতিক চিনি থাকে না। প্রকৃতপক্ষে, এটি ডায়াবেটিসের মতো বিপাকীয় ব্যাধিযুক্ত ব্যক্তিদের রক্তে সুগারের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে বা কমাতে সহায়তা করে।
স্বাস্থ্যকর হার্ট
ম্যাগনেসিয়াম এবং পটাসিয়াম, আমে পাওয়া দুটি উপাদান রক্ত প্রবাহ ঠিক রাখে এবং হার্ট সুস্থ রাখে । এই ভিটামিন এবং খনিজগুলি রক্তনালী শিথিল করতে সাহায্য করে, যা রক্তচাপ কমায়। ম্যাঙ্গিফেরিন, একটি শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা হার্টের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী।
হজম প্রক্রিয়া সহজ করে
কাঁচা আমের মধ্যে অ্যামাইলেস নামক হজমকারী এনজাইম রয়েছে, যা বড় খাদ্য অণুগুলিকে ভেঙে ফেলতে সাহায্য করে। যাতে তারা আরও সহজে শোষিত হতে পারে। এগুলি জটিল কার্বোহাইড্রেটকে মল্টোজ এবং গ্লুকোজের মতো শর্করাতে রূপান্তরিত করে।
কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ করে
শরীরকে সুস্থ রাখতে ডিটক্সিফিকেশন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কাঁচা আমের মধ্যে থাকা প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান শরীরের ডিটক্সিফিকেশন প্রক্রিয়ায় সাহায্য করে। উপরন্তু, এটি খারাপ কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে, লিভারের কার্যকারিতা উন্নত করে এবং স্বাস্থ্য সমস্যা থেকে রক্ষা করে।
ওজন কমাতে সাহায্য করে
কাঁচা আমে কম ক্যালোরি থাকে, যা ক্যালোরি যোগ না করেই সেবনের উপযোগী করে তোলে। এই গ্রীষ্মকালীন ফলটি একটি চমৎকার খাবার। কারণ এতে চর্বি, কোলেস্টেরল এবং চিনি কম থাকে।
ভিটামিন সি, কে, এ, বি৬ এবং ফোলেট সহ কাঁচা আমে অন্তর্ভুক্ত অসংখ্য অত্যাবশ্যক ভিটামিনের প্রচুর থেরাপিউটিক সুবিধা রয়েছে। আয়ুর্বেদে প্রায়শই কাঁচা আম খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয় হজমের সমস্যা নিরাময়, দৃষ্টি শক্তি উন্নত করা এবং ওজন কমানোর জন্য।