সম্পর্কের ক্ষেত্রে একেক বয়সে নারী-পুরুষের পছন্দ বদলাতে থাকে। অন্তত প্রবণতা সেকথাই বলে। এই সংক্রান্ত অধিকাংশ সমীক্ষা বলছে, মধ্যবয়সে নারীদের সম্পর্কে জড়ানোর ক্ষেত্রে তাদের প্রথম পছন্দ হন কম বয়সি পুরুষরা। প্রতিটা বাঁকে বদলাতে থাকে জীবন। আর সেই জীবনের এই মধ্যগগনে এসে নারীরা খোঁজেন এমন কাউকে যিনি অভিজ্ঞতায় নয়, তাকে সমৃদ্ধ করবে উচ্ছ্বাস আর উন্মাদনায়। সঙ্গীর হাত ধরে আরও এক বার ফিরে যাওয়া যাবে ফেলে আসা মুহূর্তের আছে। একটি সাম্প্রতিক গবেষণায় আরও বেশ কয়েকটি কারণ উঠে এসেছে। এমন কিছু অদ্ভুত কারণ যে কারণে মহিলাদের মধ্যে অপেক্ষাকৃত কম বয়সিদের প্রতি আকর্ষণ বেশি বলেই দাবি এই সমীক্ষায়।
আকর্ষণীয় দেহসৌষ্ঠব
অল্পবয়সি পুরুষদের শরীরী আকর্ষণ এর অন্যতম কারণ বলে দাবি এই নতুন সমীক্ষায়। এখানে দেখা গিয়েছে মহিলারা এই বয়সে এসে পুরুষদের পেশিবহুলতা, সুদৃঢ় ব্যক্তিত্ব ইত্যাদির প্রতি আকৃষ্ট হন বেশি। শারীরিক ঘনিষ্ঠতার ক্ষেত্রেও বয়সে বড় নারীদের প্রথম পছন্দ কম বয়সিরা।
ভরপুর উদ্দীপনা ও উন্মাদনা
দুই অসম বয়সি মানুষ যখন শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হচ্ছেন, অভিজ্ঞ সঙ্গীর সামনে স্বাভাবিকভাবেই নিজেকে প্রমাণ করার একটা অকপট চেষ্টা থাকে। সেটা প্রতিফলিত হয় অল্পবয়সির উদ্দীপনায়। আর সমীক্ষা বলছে, সেই উন্মাদনাতেই বাঁধা পড়েন মধ্যবয়সী নারী।
নতুন অভিজ্ঞতা শেখা ও শেখানোও যায়
জীবনে অপেক্ষাকৃত বেশি অভিজ্ঞ হওয়ার কারণে, ছোট সঙ্গীকে সম্পর্কের উত্থান-পতন সম্পর্কে শেখানো যেতে পারে। এমনকি শারীরিক আনন্দের জন্য বিভিন্ন শিল্প-কৌশল শেখার সুযোগ রয়েছে। এটি বেশিরভাগ মহিলাই পছন্দ করেন।
মহিলাদের আত্মবিশ্বাসকে আরও বাড়িয়ে দেয়
নিজের থেকে কম বয়সি পুরুষদের সঙ্গে সম্পর্কের ফলে নারীরা অনেক বেশি আত্মবিশ্বাসী হয়ে ওঠেন। সে সম্পর্ক প্রেমের হোক বা শরীরী। নিজের সঞ্চিত অভিজ্ঞতার দ্বারা আরেকজন মানুষকে সমৃদ্ধ করতে পাড়ার তৃপ্তি আনন্দ দেয় বৈকি।