সনাতন সংস্কৃতিতে বিবাহ পবিত্র বন্ধন। বিবাহ মানে এখানে সাত জন্মের সম্পর্ক। স্বামী-স্ত্রী বিবাহ বন্ধনে সাত জন্মের জন্য আবদ্ধ হন। বিয়ে নিয়ে একটা আশঙ্কা সকলেরই থাকে। নারী-পুরুষ দুতরফেই ভাবনা থাকে, সুখে থাকতে পারব তো? চিন্তিত থাকেন অভিভাবকরাও। মা-বাবা চান তাঁর কন্যাসন্তান যেন সুখে থাকেন। শ্বশুরবাড়ির লোকজন ও স্বামীর ভালোবাসা পান মেয়ে। প্রত্যেক মা-বাবাই বিয়েতে মেয়েকে উপহার দেন। মেয়ে বাপের বাড়ি ছাড়ার আগে উপহার দেওয়া হয়। নিজেদের সামর্থ্য ও পারিবারিক ঐতিহ্য মেনে এই উপহার দেওয়া-নেওয়া চলে। কিন্তু জানেন কি মেয়ের বাপের বাড়ি ছাড়ার আগে এমন কিছু উপহার দিতে নেই যা অশুভ। কিছু জিনিস ভুল করেও দেবেন না।
বিয়ের পর বাপের বাড়ি ছেড়ে শ্বশুরবাড়ির উদ্দেশে যাত্রা করেন কন্যা। তখন তিনি কারও স্ত্রী। শ্বশুরবাড়িতে মেয়ে যাতে সুখে সংসার করেন সেই কামনাই করেন মা-বাবা। সেজন্য চেষ্টার ত্রুটি রাখেন না তাঁরা। সুপাত্রের হাতে মেয়েকে দেওয়ার পরও চিন্তায় থাকেন। কিন্তু মেয়ের বিয়ের উপাচারে কয়েকটি জিনিস মাথায় রাখাও দরকার। এই যেমন বাপের বাড়ি ছাড়ার সময় এমন কিছু দেওয়া উচিত নয়, যা অশুভ। তেমনই চার জিনিসের তালিকা দেওয়া হল
আচার- জ্যোতিষ মতে, কন্যা বিদায়ের সময় আচার দেওয়া উচিত নয়। এতে স্বামী-স্ত্রীর জীবনে নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। দুজনের সম্পর্ক বিষিয়ে যেতে পারে। আচারের স্বাদ টক। বিয়ের পর মেয়েকে কখনও আচার দেবেন না। দরকার হলে তাঁর শ্বশুরবাড়িতে গিয়ে আচার তৈরি করুন।
আরও পড়ুন- রাহুর নেক নজরে ৪ রাশি, দুর্গাপুজোর পর থেকে কেরিয়ার তুঙ্গে
ঝাঁটা- মা লক্ষ্মী ঝাঁটায় থাকেন। ঝাঁটা শুভ বলে মনে করা হয় বাস্তু শাস্ত্রে। কিন্তু বিয়ের সময় ঝাঁটা কন্যাকে দেওয়া উচিত নয়। মনে করা হয় যে কন্যা বিদায়ে ঝাঁটা দিলে তাঁর সব সুখ কেড়ে নেওয়া হয়। কন্যার সংসার কখনও সুখের থাকে না। তাঁর জীবন দুঃখে ভরে ওঠে।
সূঁচ বা ধারালো বস্তু- মেয়েকে দেখতে কখনও সূঁচ বা ধারালো বস্তু দেবেন না। লোকবিশ্বাস কন্যার বিয়েতে ধারালো বস্তু দেওয়া হলে সম্পর্কে মধুরতা থাকে না। স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক বিষিয়ে যেতে পারে।
আরও পড়ুন- এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহে লাকি ৫ রাশি, ভাগ্য়ের সঙ্গ; বাকিদের কেমন যাবে?
চালনি- বিয়ের পর মেয়েকে কখনও আটা, ময়দার চালনি দেওয়া উটিত নয়। বিয়ের সময় চালনি দিলে মেয়ের জীবন সুখের হয় না। মেয়েকে ছাঁকনিও দেওয়া হয় না। লোকবিশ্বাস, সংসারে আসে অশান্তি।