scorecardresearch
 

Uric Acid Control Tips: হু হু করে কমবে ইউরিক অ্যাসিড, রোজ সকালে বেটে খান এই দুই ভেষজ বড়ি

কিডনি শরীর থেকে ইউরিক অ্যাসিড অপসারণ করতে অক্ষম হলে তা অস্থিসন্ধিতে স্ফটিক আকারে জমা হতে শুরু করে। যার ফলে হাইপারইউরিসেমিয়া নামক অবস্থার সৃষ্টি হয়। যা গাঁটে ব্যথার কারণ। একাধিক গবেষণায় দেখা গিয়েছে, উচ্চ ইউরিক অ্যাসিড টাইপ ২ ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ এবং ফ্যাটি লিভারের মতো সমস্যার ঝুঁকি বাড়ায়। তাই সঠিক সময়ে চিকিৎসা না করানো হলে ইউরিক অ্যাসিড হাড়, অস্থিসন্ধি এবং কোষের ক্ষতি করতে পারে। শুরুতেই এই সমস্যা নিয়ন্ত্রণ করা না গেলে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বাড়তে থাকে। 

Advertisement
uric Acid Home Remedies ইউরিক অ্যাসিডের ঘরোয়া প্রতিকার। uric Acid Home Remedies ইউরিক অ্যাসিডের ঘরোয়া প্রতিকার।
হাইলাইটস
  • অস্থিসন্ধিতে স্ফটিক আকারে জমা হতে শুরু করে ইউরিক অ্যাসিড।
  • সঠিক সময়ে চিকিৎসা না করানো হলে ইউরিক অ্যাসিড হাড়, অস্থিসন্ধি এবং কোষের ক্ষতি করতে পারে।

বর্তমান জীবনযাত্রায় যে অসুখগুলি শরীরে বাসা বাঁধছে তার মধ্যে অন্যতম ইউরিক অ্যাসিড। ইউরিক অ্যাসিড বাড়লে বিপজ্জনক অবস্থা হয়। ইউরিক অ্যাসিড হল শরীরে তৈরি একটি বিষাক্ত পদার্থ।যা সবার শরীরে তৈরি হয়। কিডনি ইউরিক অ্যাসিডকে ফিল্টার করে। সহজেই প্রস্রাবের মাধ্যমে শরীর থেকে বের করে দেয়। অতিরিক্ত ইউরিক অ্যাসিড থাকলে 
তা শরীরে জমা হয়। পিউরিন জাতীয় খাবার বেশি খেলে শরীরে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা বাড়তে থাকে। বেশি ইউরিক অ্যাসিড স্ফটিকের কারণে জমা হয় অস্থিসন্ধিতে। - হাতে-পায়ে ব্যথা, হাড়ে ব্যথা, হাড় ফুলে যাওয়ার মতো সমস্যা হয়। ফলে সময়ে নিয়ন্ত্রণ করতে হয় ইউরিক অ্যাসিড। হাতের কাছেই রয়েছে উপাদান। এক্ষেত্রে দু'টি ভেষজ ইউরিক অ্যাসিড নিয়ন্ত্রণে খুব কার্যকর। 

কিডনি শরীর থেকে ইউরিক অ্যাসিড অপসারণ করতে অক্ষম হলে তা অস্থিসন্ধিতে স্ফটিক আকারে জমা হতে শুরু করে। যার ফলে হাইপারইউরিসেমিয়া নামক অবস্থার সৃষ্টি হয়। যা গাঁটে ব্যথার কারণ। একাধিক গবেষণায় দেখা গিয়েছে, উচ্চ ইউরিক অ্যাসিড টাইপ ২ ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ এবং ফ্যাটি লিভারের মতো সমস্যার ঝুঁকি বাড়ায়। তাই সঠিক সময়ে চিকিৎসা না করানো হলে ইউরিক অ্যাসিড হাড়, অস্থিসন্ধি এবং কোষের ক্ষতি করতে পারে। শুরুতেই এই সমস্যা নিয়ন্ত্রণ করা না গেলে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বাড়তে থাকে। 

এইমসের প্রাক্তন উপদেষ্টা এবং সাওল হার্ট সেন্টারের প্রতিষ্ঠাতা ও ডায়রেক্টর বিমল ঝাঞ্জের মতে,দু'টি ভেষজ একসঙ্গে খেলে ইউরিক অ্যাসিড নিয়ন্ত্রণ করা যায়। নিম এবং হলুদ দুটি এমনই কার্যকরী ভেষজ যা একসঙ্গে খেলে ইউরিক অ্যাসিড সহজেই নিয়ন্ত্রণ করা যায়। ইউরিক অ্যাসিড নিয়ন্ত্রণে রাখতে কীভাবে হলুদ ও নিম একসঙ্গে খাওয়া যায় তা বিশেষজ্ঞদের কাছ থেকে জেনে নেওয়া যাক-

হলুদ কীভাবে ইউরিক অ্যাসিড নিয়ন্ত্রণ করে-

Advertisement

আয়ুর্বেদে হলুদের নানা গুণের উল্লেখ রয়েছে। এটি মহাষৌধি। নানা অসুখের প্রতিকার করে হলুদ। বিশেষজ্ঞদের মতে,দিনে ৮ গ্রাম হলুদ খেলে খুবই উপকারী। হলুদের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট গুণ উচ্চ ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রার কারণে হাড় এবং জয়েন্টের ব্যথা থেকে মুক্তি মেলে। হলুদে উপস্থিত কারকিউমিন নামক উপাদান অস্থিসন্ধির ব্যথা এবং ফোলাভাব কমায়। এতে অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি এবং অ্যান্টিবায়োটিক গুণ রয়েছে যা ব্যথা থেকে মুক্তি দেয়। হলুদ বেটে নিন। তার পর সেটি ট্যাবলেট আকারে খান।  

নিম কীভাবে ইউরিক অ্যাসিড নিয়ন্ত্রণ করে-

নিম একটি ঔষধি গুণে সমৃদ্ধ একটি ভেষজ। যাতে রয়েছে প্রদাহ বিরোধী গুণ। তা খেলে ফোলাভাব ও ব্যথা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। নিমের পাতা স্বাদে তেতো। কাঁচা নিম পাতা পিষে পেস্ট তৈরি করুন। ট্যাবলেট আকারে করে নিন। তার পর জলের সঙ্গে খান। হলুদ ও নিম খেলে লিভার সুস্থ থাকে। নিয়ন্ত্রণে থাকে ইউরিক অ্যাসিডও।

আরও পড়ুন- যৌন রোগ থেকে রক্তাল্পতা, জিভের রং দেখে বুঝে নিন কী কী অসুখের লক্ষণ

Advertisement