Weight Increasing: মোটা হতে শুরু করেছেন? এইসব লক্ষণ দেখলেই সতর্ক হোন

কিছু মানুষের ওজন খুব দ্রুত বাড়তে থাকে। এবং তা কমানো খুব কঠিন হয়ে পড়ে। ওজন বৃদ্ধির কারণে ডায়াবেটিস, কার্ডিওভাসকুলার রোগ ইত্যাদির মতো স্বাস্থ্য সংক্রান্ত অনেক সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। প্রায়শই লোকেরা বুঝতে পারে যে, তাদের ওজন খুব দ্রুত বাড়ছে। ওজন বৃদ্ধি আপনাকে বিরক্ত করতে পারে যখন এটি আপনার সামগ্রিক স্বাস্থ্যকে প্রভাবিত করতে শুরু করে। আজ আমরা আপনাকে এমন কিছু লক্ষণ সম্পর্কে বলতে যাচ্ছি, যা আপনাকে বুঝতে সাহায্য করবে যে আপনার ওজন কমানো দরকার।

দৈনন্দিন কাজ করতে অসুবিধা
আপনি যদি প্রতিদিনের গৃহস্থালির কাজ করতে ক্লান্ত বা অলস বোধ করেন, তবে এটি একটি লক্ষণ যে আপনার ওজন কমানো শুরু করা উচিত। শরীরে চর্বির পরিমাণ বৃদ্ধির কারণে প্রদাহের সমস্যায় পড়তে হয় যার কারণে আপনি সারাক্ষণ ক্লান্ত বোধ করেন।

খিদে বেড়ে যাওয়া
মিষ্টি খাওয়ার অত্যধিক ইচ্ছে এবং ক্ষুধা বৃদ্ধি ওজন বৃদ্ধির লক্ষণ হতে পারে। যখন আপনার ওজন বেড়ে যায়, তখন আপনি চাপ এবং বিষণ্ণ বোধ করতে শুরু করেন, যার কারণে আপনি খুব ক্ষুধার্ত বোধ করেন। যখন আপনি মানসিক চাপে থাকেন এবং বিষণ্ণ থাকেন, তখন অ্যাড্রিনাল গ্রন্থি থেকে কর্টিসল নামক হরমোন নিঃসৃত হয় যা আপনার ক্ষুধা বাড়ায়।

সুগার-কোলেস্টেরল বৃদ্ধি
আপনার রক্তে শর্করা বা রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা বেড়ে গেলে তা ওজন বৃদ্ধির স্পষ্ট লক্ষণ। আমেরিকান হার্ট অ্যাশোসিয়েশনের গবেষকদের দ্বারা পরিচালিত একটি গবেষণায় পরামর্শ দেওয়া হয়েছে যে পেটের চারপাশে ওজন বৃদ্ধির কারণে উচ্চ রক্তচাপের সমস্যার সম্মুখীন হতে পারে।

কোমরের আকার বৃদ্ধি
আপনার জিন্স যদি আগের মতো আপনার জন্য মানানসই না হয় বা জিন্স পরার সময় আপনার শ্বাস আটকে রাখতে হয়, তাহলে এটি আপনার ওজন বেড়ে যাওয়ার লক্ষণ। সাধারণত, শরীরে প্রথমে চর্বি জমতে শুরু করে আপনার পেট এবং নিতম্বে। কয়েকজন গবেষক বলছেন, সারাদিন বসে থাকা মানুষদের কোমরে চর্বি জমে সমস্যায় পড়তে হয়।

জয়েন্টে ব্যথা 
হাঁটতে বা কোনো কাজ করার সময় আপনি যদি জয়েন্টে ব্যথা অনুভব করেন, তাহলে আপনার ওজন কমানো শুরু করা গুরুত্বপূর্ণ। শরীরে চর্বির পরিমাণ বেড়ে যাওয়ায় জয়েন্টগুলোতে চাপ পড়তে থাকে। যার কারণে যন্ত্রণা ও জ্বালা পোহাতে হয়।

নাক ডাকা
যদি নাক ডাকার সমস্যায় পড়তে হয় এবং রাতে ভালো ঘুম না হয়, তাহলে তা স্লিপ অ্যাপনিয়া নির্দেশ করে। এটি এমন একটি অবস্থা যেখানে অনিয়মিত শ্বাস-প্রশ্বাসের কারণে আপনাকে অনিদ্রার সমস্যায় পড়তে হয়। যাদের ওজন অনেক বেশি তাদের এই সমস্যার সম্মুখীন হতে হয় সবচেয়ে বেশি। কারণ যখন শরীর ঘাড়ের চারপাশে চর্বি জমা করে, তখন এটি শ্বাসনালীকে প্রসারিত করতে পারে এবং শ্বাস-প্রশ্বাসে বাধা সৃষ্টি করতে পারে।

স্ট্রেচ মার্কস
শরীরে চর্বি বৃদ্ধির কারণে আপনার ত্বকের নিচের টিস্যু প্রসারিত হয়। কিছু লোক ওজন বৃদ্ধির কারণে স্ট্রেচ মার্ক পায় আবার কিছু লোকের নমনীয় ত্বক থাকে যা স্ট্রেচ মার্ক হতে দেয় না।

আরও পড়ুন-শীতে সুরক্ষা দিয়েছে, এবার গরমেও বাঁচাবে একই মশলা, খাওয়া ছাড়বেন না