বর্তমানে অনেকেই স্লিপ ডিস্কের সমস্যায় ভুগছেন। মেরুদণ্ডে এই সমস্যা দেখা দেয়। মনে রাখতে হবে মেরুদণ্ড দেহের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি অংশ। এটি মানুষের দৈনন্দিন জীবনে শারীরিক কার্যকলাপে সাহায্য করে। তাই মেরুদণ্ডে কোনও সমস্যা হলে জীবন কঠিন হয়ে দাঁড়ায়। এক্ষেত্রে মেরুদণ্ডের কোনও অংশ যদি নিজের স্থান থেকে সামান্যতমও নড়ে যায় বা সরে যায়, তাহলে সেই অবস্থাকে বলা হয় স্লিপ ডিস্ক (Slip Disc)। যাঁরা শরীরের মুভমেন্টের দিকে খেয়াল রাখেন না, তাঁদের এই সমস্যা হতে পারে।
স্লিপ ডিস্ক বিপজ্জনক
মেরুদণ্ডের হাড়ের প্রতিটি চাকতির দুটি অংশ থাকে যার ভেতরের অংশ নরম এবং বাইরের অংশ শক্ত। সাধারণত আঘাত এবং দুর্বলতার কারণে, ডিস্কের ভিতরের অংশটি বাইরের বলয় থেকে বেরিয়ে আসে। এটি স্লিপড, হার্নিয়েটেড বা প্রল্যাপসড ডিস্ক নামে পরিচিত। এই অবস্থায় শরীরের পেছনের অংশে প্রচণ্ড ব্যথা ও অস্বস্তি শুরু হয়। এমনকী বাড়াবাড়ি হয়ে গেলে রোগীর শয্যাশায়ী হওয়ারও আশঙ্কা থাকে।
স্লিপড ডিস্কের কারণে স্নায়ু সংকুচিত হলে সেই অংশটি অসাড়ও হয়ে যেতে পারে। এই সমস্যা প্রাথমিক পর্যায়ে থাকলে ফিজিওথেরাপি ও ওষুধের সাহায্যে নিরাময় করা যায়, তবে গুরুতর ক্ষেত্রে অস্ত্রোপচারের প্রয়োজন হয়।
স্লিপ ডিস্কের কারণ (Slip Disc Causes)
১. বার্ধক্যজনিত কারণে
২. ভারী জিনিস তোলার কারণে
৩. ভুল উপায়ে ভারী ব্যায়াম করা
৪. হাড়ের দুর্বলতা
৫. অতিরিক্ত শারীরিক কার্যকলাপ
৬. অত্যধিক ওজন বৃদ্ধি
কিভাবে স্লিপড ডিস্ক এড়ানো যায় (How To Avoid Slip Disc)
নিজের ক্ষমতার চেয়ে বেশি ওজন কখনওই তুলবেন না।
ওজন খুব বেশি কখনওই বাড়তে দেবেন না।
অফিসে একটানা ৮-১০ ঘণ্টা কাজের সময় সঠিকভাবে বসার অভ্যাস করুন।
কাজের সময় মাঝে মধ্যে চেয়ার থেকে উঠে একটু হাঁটুন।
প্রশিক্ষক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ ছাড়া ব্যায়াম করবেন না।
এখানে সার্বিকভাবে স্লিপ ডিস্ক হওয়ার কারণ ও তা থেকে এড়ানোর উপায় আলোচনা করা হল। তবে প্রয়োজনে অবশ্যই চিকিৎসকের সঙ্গে আলোচনা করুন এবং তাঁর পরামর্শ অনুয়ায়ী চলুন।
আরও পড়ুন - সোনার পায়ে চলন শনিদেবের, ফেব্রুয়ারিতে বিপুল ধনযোগ ৩ রাশির