Snoring : ঘুম খুব শান্তির বিষয়। কিন্তু অনেক সময়েই দেখা যায় কারও কারও নাক ডাকার কারণে ঘুমে ব্যাঘাত ঘটে আশেপাশের মানুষের। অনেক সময় নাক ডাকার শব্দে কাঁচা ঘুমও ভেঙে যায় মানুষের। আর এই নাক ডাকার সমস্যা আজকের দিনে প্রায় ঘরে ঘরে শোনা যায়। এদিকে বাজারে আবার এমন কিছু সামগ্রীও আছে যা নাকে লাগিয়ে শুলে নাক ডাকা বন্ধ হয়ে যায়।
কেউ কেউ আবার নাক ডাকা নিয়ে একেবারেই চিন্তিত নন। এটিকে খুব সামান্য একটা বিষয় হিসেবেই মনে করেন। কিন্তু নাক ডাকা একটি গুরুতর অসুস্থতার লক্ষণ হতে পারে। তাই কারও যদি নাক ডাকার সমস্যা থাকে তাহলে এখনই সতর্ক হোন।
অনেক সময় অবস্ট্রাকটিভ স্লিপ অ্যাপনিয়ার (OSA) কারণে হতে পারে নাক ডাকা। এটা এমন এক ধরনের রোগ যাতে কিছুদিন আগেই সুরকার তথা সঙ্গীত শিল্পী বাপ্পি লাহিড়ীর মৃত্যু হয়েছে। তাই বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ, যদি কারও নাক ডাকার সমস্যা থাকে তাহলে তাঁর ঘুমের ধরনটি নজরে রাখা দরকার।
ইউএই-এর থুম্বে ইউনিভার্সিটি হাসপাতালের ইএনটি বিশেষজ্ঞ ডাঃ মিনু চেরিয়ান দুবাই-এর সংবাদপত্রকে জানান, ওএসএ বেশি ওজনযুক্ত ব্যক্তিদের দেহে প্রায়শই দেখা যায়, যা ঘুমের সময় উপরের শ্বাসনালীতে শ্বাস আটকে যাওয়ার কারণে হয়। যার জেরে কিছুক্ষণের জন্য শ্বাস আটকে যায়। যার জেরে নাক ডাকা শুরু হয়। তাছাড়া এর ফলে দমবন্ধ লাগা বা হাঁপানির সমস্যাও দেখা দিতে পারে। বিঘ্ন ঘটতে পারে ঘুমে। দিনের বেলায় ঘুম পেতে পারে ও ক্লান্ত লাগতে পারে। তাছাড়া কাজে মনোনিবেশও করা যায় না।
প্রতিদিন নাক ডাকা ও ঘুম ভাল না হলে রক্তে অক্সিজেনের পরিমান কমে যায়। তাছাড়া দীর্ঘ সময় শ্বাস আটকে থাকায় হাই ব্লাড প্রেসার, কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট এবং হার্ট সংক্রান্ত অন্যান্য সমস্যাও দেখা দিতে পারে। এছাড়াও হতে পারে মেমরি লস, সকালে মাথা যন্ত্রণা ও ডিপ্রেশনের মতো রোগ।
ডাঃ হার্দিক প্যাটেল, বিশেষজ্ঞ পালমোনোলজিস্ট, এনএমসি রয়্যাল হাসপাতাল ডিআইপি, (দুবাই) জানাচ্ছেন, অ্যাপনিয়া গ্রিক শব্দ 'অ্যাপনোস' থেকে এসেছে। যার অর্থ হল, শ্বাস না নেওয়া এবং শোওয়ার সময় শ্বাসনালী আটকে যাওয়া।
নাক ডাকার কারণ
সাইনস
বেশি ওজন
ক্লান্তি
ধূমপান
ডিপ্রেশন
প্রেগনেন্সি
মদ্যপান
ঠান্ডা লাগা বা অ্যালার্জি
চিৎ হয়ে শোওয়া
মুখ ও গলার গঠনকে প্রভাবিত করে এমন জেনেটিক বৈশিষ্ট্য
চিকিৎসা
নাক ডাকা কমাতে চিকিৎসকের সঙ্গে আলোচনা করা উচিত। বিষয়টি জানার জন্য চিকিৎসক বেশকিছু প্রশ্ন করতে পারেন, যার সঠিক উত্তর দিতে হবে।
আরও পড়ুন - Weight Loss : ডিমে হুড়মুড়িয়ে কমে ওজন, কখন খেতে হবে?