scorecardresearch
 

Noboborsho 1428: আসছে নববর্ষ! জেনে নিন এই উৎসবের দিনক্ষণ, গুরুত্ব

সৌর বর্ষপঞ্জি অনুসরণ করে, বৈশাখ (Baisakh) মাসকে বছরের প্রথম মাস হিসাবে বিবেচনা করে, তাদের নতুন বছরটি এই মাসের প্রথম দিনেই উদযাপিত হয়। যদিও দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বিভিন্ন নামে ও আলাদা রীতিতে নববর্ষ (Noboborsho) উদযাপিত করে।

Advertisement
নববর্ষ ১৪২৮ নববর্ষ ১৪২৮
হাইলাইটস
  • বাঙালিদের একটি গুরুত্বপূর্ণ উৎসব হল নববর্ষ।
  • সব বাঙালিরাই মুখিয়ে থাকেন এই উৎসবের দিকে।
  • মিষ্টিমুখ,কোলাকুলি, হালখাতা,আড্ডা,নতুন জামায় সকলে আহ্বান জানান নতুন বছরের।

বাঙালির বারো মাসে তের পার্বণ। তাঁর মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ একটি উৎসব হল নববর্ষ (Noboborsho)। কথায় বলে 'মর্নিং শোজ দ্য ডে'। তাই বছরের এই প্রথম দিনটা বিশেষ ভাবে উদযাপন করেন সকলে। যে অঞ্চলগুলি সৌর বর্ষপঞ্জি অনুসরণ করে, বৈশাখ (Baisakh) মাসকে বছরের প্রথম মাস হিসাবে বিবেচনা করে, তাদের নতুন বছরটি এই মাসের প্রথম দিনেই উদযাপিত হয়। যদিও দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বিভিন্ন নামে ও আলাদা রীতিতে নববর্ষ উদযাপিত করে।

উত্তর ও মধ্য ভারতে নতুন বছর বৈশাখী, আসামে রঙ্গালি বিহু, তামিলনাড়ুতে তামিল পুঠান্ডু, কেরালায় বিশু, ওড়িশায় বিশুব সংক্রান্তি এবং পশ্চিমবাংলায় পয়লা বৈশাখ নামে পরিচিত নববর্ষ উৎসব। 

Subho Noboborsho 1428 sweets

বাঙালি ব্যবসায়ীরা নতুন আর্থিক বছরের সূচনা করেন এদিন লক্ষ্মী-গণেশ পুজো ও হালখাতার মাধ্যমে। খাওয়া দাওয়া, আড্ডা, মিষ্টিমুখ, নতুন জামাকাপড় পরা এই সবের মাধ্যমে নতুন বছরকে বরণ করে নেন বাঙালিরা।   

নববর্ষের তারিখ 

গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডার অনুসারে, বাংলা নববর্ষ সাধারণত ১৪ বা ১৫ এপ্রিল পড়ে। বাংলা সৌর ক্যালেন্ডারের প্রথম মাস বৈশাখের প্রথম দিনটিকে নববর্ষ, পহেলা বৈশাখ এবং পাহেলা বৈশাখের মতো বিভিন্ন নামে ভারতের অংশ ডাকা হয়। এই বছর ১৪২৮-এ পা দেব আমরা। ১৫ এপ্রিল,বৃহস্পতিবার পড়েছে ১ লা বৈশাখ। সুতরাং চৈত্র সংক্রান্তি পালিত হবে তার আগের দিন অর্থাৎ ১৪ এপ্রিল। 

বিশ্বব্যাপী বাঙালিরা নববর্ষের দিন একে অপরকে শুভেচ্ছা জানান। কোলাকুলি, পরস্পরকে আলিঙ্গন করার প্রথা বাংলা ভাষীদের যুগ যুগ ধরে। যদিও গত বছর থেকে অতিমারীর জন্য সমস্ত সারতে হবে ভার্চুয়াল মাধ্যমেই। 

Subho Noboborsho 1428 হালখাতা

হালখাতা কী?

Advertisement

বাংলা বছরের প্রথম দিনে দোকানপাটের হিসাব আনুষ্ঠানিকভাবে হালনাগাদ করার প্রক্রিয়াকে হালখাতা  বলে। আসলে খদ্দেরদের বিনীতভাবে পাওনা শোধ করার কথা স্মরণ করিয়ে দেওয়া হয় এদিন। দোকানে পুজোর পাশাপাশি এই বিশেষ দিনে দোকানে আসার নিমন্ত্রণ জানানো হয়। হালখাতা উপলক্ষে নববর্ষের দিন ব্যবসায়ীরা তাদের খদ্দেরদের মিস্টিমুখ করান। সঙ্গে নতুন বছরের ক্যালেন্ডার তুলে দেন তাঁদের হাতে।

আরও পড়ুন: পুজোয় ফুল আবশ্যক! জানুন এর আসল মাহাত্ম্য 

বাঙালিদের সবচেয়ে বড় উৎসব দুর্গাপুজো হলেও। নববর্ষের আলাদা গুরুত্ব আছে। বর্তমানে এই বিশেষ দিন উপলক্ষে সেজে ওঠে সমস্ত শপিং মল থেকে পশ্চিম বাংলার রাস্তাঘাট। আর সকলে রাগ-অভিমান, দুঃখ -কষ্ট ভুলে গা ভাসান উৎসবের আনন্দে। 

Advertisement