
স্বাস্থ্যের দিক দিয়ে চিনিকে (Sugar) মানব শরীরের শত্রু বলে বিবেচনা করা হয়। কিন্তু অনেকের অজানা এটি নানাভাবে উপকারী। যদিও এটা একদমই সত্যি যে চিনি খেলে ওজন বাড়ে। তবে সুস্থ থাকার জন্যও চিনি প্রয়োজন। এর নিজস্ব কিছু গুণ রয়েছে যা, উপেক্ষা করা যায় না।
* তাৎক্ষণিক শক্তি জন্য
আপনার যদি তাৎক্ষণিক শক্তির প্রয়োজন হয়, তাহলে চিনির চেয়ে ভাল আর কিছুই নেই। রক্তে পৌঁছানোর পরে, চিনি গ্লুকোজে রূপান্তরিত হয়, যা চিনির সহজতম রূপ। এরপরে কোষগুলি গ্লুকোজ শোষণ করে এবং শক্তি প্রেরণ করে। আপনি জেনে অবাক হবেন যে, অনেক খেলোয়াড় অবিলম্বে ক্লান্তি দূর করতে তাঁদের সঙ্গে সুগার কিউব রাখেন।
* নিম্ন রক্তচাপ যাদের জন্য
যাদের নিম্ন রক্তচাপের সমস্যা রয়েছে, তাদের সঙ্গে চিনির কিউব রাখার পরামর্শ দেওয়া হয়। চিনি খেলে রক্তচাপ বাড়ে। ব্ল্যাক আউটের (চলাচল করার সময় চোখের সামনে অন্ধকার) সমস্যা থাকলে, চিনি সহায়ক।
আরও পড়ুন: কোন রক্তের গ্রুপে কী খাবেন, কী খাবেন না?
* মস্তিষ্কের জন্য
চিনি ছাড়া আমাদের মস্তিষ্ক কাজ করতে পারে না। মস্তিষ্কে চিনির সরবরাহ বন্ধ হয়ে গেলে ব্ল্যাক আউটের অবস্থা দেখা দেয়। সেক্ষেত্রে মনকে সচল রাখতে চিনি খুব জরুরি বললে ভুল হবে না।
* বিষণ্ণতা পরিত্রাণ পেতে
বিষণ্ণতা থেকে মুক্তি পেতেও চিনি খুবই সহায়ক। বিষণ্ণতায় ভুগলে, মেজাজ ঠিক রাখতে চকোলেট সঙ্গে রাখা , একথা হয়তো অনেকের জানা। এই সমস্যায় চিনিও দারুণ উপকারী। চিনি তাৎক্ষণিক দুঃখ- বিষণ্ণতা দূর করে।
আরও পড়ুন: জামাই আদরের বিশেষ পার্বণ! জানুন এবছরের জামাইষষ্ঠীর দিনক্ষণ
* সুগার থেরাপি
আপনি হয়তো জানেন না, কিন্তু ছোটখাটো আঘাতে চিনি লাগালে উপকার পাওয়া যায়। অত্যাধিক রক্তপাত বন্ধ করতে এটা কার্যকরী। এছাড়াও চিনি ত্বকের জন্য খুব ভাল স্ক্রাব। এটি ত্বকের মৃত কোষগুলিকে আলতো করে সরিয়ে দেয় এবং উজ্জ্বলতা আনে।