দাঁতের যত্ন না নিনে সমস্যা শুধু দাঁতে আঁটকে থাকে না। আরও অনেক রোগের ঝুঁকি বাড়ে। হার্ট কেয়ার ফাউন্ডেশন অফ ইন্ডিয়া (HCFI)- এর সভাপতি পদ্মশ্রী ডাঃ কে.কে. আগরওয়াল বলেন, বহু ভারতীয় মানুষ মুখের স্বাস্থ্যবিধির গুরুত্ব সম্পর্কে অবগত নয়। দাঁতের সমস্যা হলে হৃদরোগ সহ বিভিন্ন সম্পর্কিত জটিলতা সৃষ্টি হতে পারে। বর্তমান সময়ের শিশুরা অস্বাস্থ্যকর খাবারের অভ্যাসের কারণে দাঁত ক্ষয়ের মতো সমস্যায় ভুগছে।
তিনি বলেন, শুধুমাত্র ক্যালোরিযুক্ত খাবার যেমন বিস্কুট, চকোলেট এবং অন্যান্য প্রক্রিয়াজাত খাবারে চিনি ও লবণ উভয়ই বেশি থাকে। এর ফলে মুখের ভিতরে সমস্যা হতে পারে এবং অবশেষে খুব অল্প বয়সে দাঁত ও মাড়ির সমস্যা হতে পারে।
ডাঃ আগরওয়াল বলেন যে, মুখের ব্যাকটেরিয়া বর্জ্য পণ্য (বা অ্যাসিড) তৈরি করে যা দাঁতে ছোট গহ্বর ফেলে। এটি দাঁতের ক্ষয়ের প্রথম পর্যায়। এর জন্যে সঠিক সময়ে চিকিৎসা করা উচিত। অন্যথা অ্যাসিড দাঁতে প্রবেশ করে এবং ভিতর থেকে ধ্বংস করে।
চিকিৎসক আরও বলেন, অভিভাবকদের উচিত শিশুদের মধ্যে প্রথম থেকেই স্বাস্থ্যকর অভ্যাস গড়ে তোলা। তারা জাঙ্ক ফুড এবং প্রক্রিয়াজাত খাবার এড়িয়ে এবং কিছু জীবনধারা পরিবর্তন অনুশীলন করে শিশুদের জন্য একটি রোল মডেল হতে পারে।
দাঁতের যত্নের টিপস
* নিয়মিত ব্রাশ করলে, ব্যাকটেরিয়া প্রতিরোধে সাহায্য করে। যা দাঁতের ক্ষয় এবং অন্যান্য পেরিওডন্টাল রোগের কারণ হতে পারে।
* প্রতিদিন দাঁতের ফাঁকা স্থান পরিষ্কার করুন। কারণ যেখানে ব্রাশ পৌঁছাতে পারে না, এটি এমন জায়গা পরিষ্কার করতে সাহায্য করে ।
* চিনিযুক্ত এবং স্টার্চযুক্ত খাবার এড়িয়ে চলুন, কারণ এই জাতীয় খাবারে উপস্থিত চিনি লালার ব্যাকটেরিয়ার সঙ্গে বিক্রিয়া করে অ্যাসিড তৈরি করে যা দাঁতের ক্ষয় বাড়ায় এবং এনামেল ক্ষয় করে।
* জিভও ব্যাকটেরিয়া সংগ্রহ করে। তাই ব্রাশ করার পর জিভও পরিষ্কার করতে হয়।
* মাড়ি ফুলে গেলে বা রক্তপাত হলে ডেন্টিস্টের পরামর্শ নিন। দাঁত ও মাড়ির ব্যথা উপেক্ষা করবেন না।
* প্রতি ছয় মাসে আপনার দাঁত পরীক্ষা করান। বছরে অন্তত দু'বার দাঁত পরিষ্কার করান।