Kalimpong Tourist Rule Changed: দার্জিলিংয়ের (Darjeeling) পর এবার কালিম্পং (Kalimpong), নো স্মোকিং জোন (No Smoking Zone) হিসেবে ঘোষণা করা হল দার্জিলিংয়ের (Darjeeling) দোসর এবং রবীন্দ্রনাথের (Rabindranath Tagore) প্রিয় এই শৈলশহরকে (Hill Ciry)। শনিবার ২৬ মার্চ থেকেই চালু করা হয়েছে এই নিয়ম। ফলে যাঁরা রবিবার থেকে কালিম্পংয়ে যাবেন, তাঁদের সতর্ক থাকতে হবে। অসতর্ক হলেই কিংবা পুরনো অভ্যাসে ধূমপান করলেই মোটা টাকা গচ্চা দিতে হবে।
আরও পড়ুনঃ নতুন করে বরফে ঢাকল সিকিম, বন্ধ ছাঙ্গু লেক, নাথুলা; দার্জিলিংয়ের কী অবস্থা ?
দার্জিলিং পুরসভার (Darjeeling Municipality) তরফ থেকে গত বছর ২০২২-এ ম্যাল সহ জনবহুল সমস্ত এলাকাকে "নো স্মোকিং" জোন হিসেবে ঘোষণা করেছিল পুরসভা। ক্ষমতায় আসার পর হামরো পার্টি (Humro Party) তা চালু করেছিল। তা এখনও বলবৎ রয়েছে। নতুন করে নিয়মে কোনও বদল হয়নি। তার মধ্য়েই এবার একই পথে হাঁটলো কালিম্পংও। স্বাস্থ্য় দফতরের তরফে এই নয়া সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
কোথায় কোথায় ধূমপান করলেই জরিমানা?
এবার আরও এক পাহাড়ি শহর কালিম্পংও (Kalimpong) চিহ্নিত হল "নো স্মোকিং" জোন হিসেবে। কালিম্পংয়ের ব্যস্ততম ডম্বরচক (Dambarchawok), থানাদাঁড়া(Thanadara), ১০ মাইল (10 Mile)এবং ইণ্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক (Industrial Park) এলাকায় ধূমপান সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ জারি করা হয়েছে। শহরে শনিবারই (Saturday) সংশ্লিষ্ট এলাকাগুলিতে পোস্টার, ফেস্টুন টাঙিয়ে দেওয়া হয়েছে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে। জেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ দফতরের তরফে ব্যানার টাঙানো হয়েছে।
কালিম্পংয়ে বাড়ছে পর্যটকের সংখ্যা। গাড়ির ভিড়ও বাড়ছে। দার্জিলিংয়ের চেয়ে কালিম্পংয়ের রাস্তা কম। তাই দূষণ নিয়ন্ত্রণ করতেই এই উদ্যোগ জানানো হয়েছে। পুরসভা ও স্বাস্থ্য দফতরের মূলত শহরে দূষণ কমাতেই শহরের প্রধান ব্যস্ততম জায়গাগুলিকে এর আওতাভুক্ত করলো স্বাস্থ্য দপ্তর। শহরের চার জায়গাকে চিহ্নিত করে পড়ল ফেস্টুন, ব্যানার। কালিম্পংয়ের সদা ব্যস্ত জনবহুল চার এলাকাকেই প্রাথমিকভাবে বেছে নিয়েছে জেলা স্বাস্থ্য দপ্তর।
নিয়ম ভাঙলে স্পটফাইন
স্বাস্থ্যদফতরের তরফে জানানো হয়েছে, কালিম্পংয়ে পর্যটকদের সংখ্যা উত্তরোত্তর বাড়ছে। প্রকাশ্যে ধূমপান চলছে রাস্তায়। এতে দূষণের পরিমাণ বাড়ছে। ধূমপানে স্বাস্থ্য ও পরিবেশ দুইই ক্ষতি হচ্ছে। তাই তা বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। নিয়ম ভাঙলেই ২০০ টাকা আর্থিক জরিমানা। পুলিশ ও পুরকর্মীদের সাহায্য নেওয়া হবে নজরদারিতে। একেবারে স্পট ফাইন করবে প্রশাসনিক কর্তারা। সাদা পোশাকে পুলিশ ও প্রশাসনিক কর্তাদের টহলদারি থাকবে বলে জেলা স্বাস্থ্য দপ্তর সূত্রে জানানো হয়েছে।