সম্পর্কে নানা ধাপ থাকে। এমনও একটা ধাপ আসে যখন দু'জন চাইলেও সম্পর্ক মেরামতি করা যায় না। কিছুতেই প্রিয় মানুষকে খুশি করে ওঠা সম্ভব হয় না। শত চেষ্টাও বিফলে যায়। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দেখা যায়, আপনার প্রতি তাঁর বিশ্বাস কমছে। আর সেটা হয়তো আপনার ভুলের জন্য নয়। অনেক ক্ষেত্রে কিছু না করলেও ভরসা জায়গা হারিয়ে ফেলেন।সেক্ষেত্রে দায়ী হয় আপনার পার্টনারের অতিরিক্ত 'পজেসিভনেস'। ফলে সম্পর্ক গভীর হওয়ার আগেই জেনে নিন আপনার পার্টনার কতখানি পজেসিভ?
১। বন্ধুদের সঙ্গে মেলামেশায় বাধা- বন্ধুদের সঙ্গে কথা বলছেন। অথচ তাঁর পছন্দ হচ্ছে না। বন্ধুদের সঙ্গে সপ্তাহে একটা দিন আড্ডাও ভাল লাগছে না আপনার প্রিয়জনের। মহিলা সহকর্মীর সঙ্গে হেসে কথা বলছেন, তাও না-পসন্দ। সকলের থেকে বিচ্ছিন্ন করে দেওয়ার চেষ্টা করেন। তাহলে বুঝে নিন আপনার পার্টনার ওভার পজেসিভ।
২। নজরদারি- আপনার দেখা হলেই পার্টনার হাত থেকে মোবাইল কেড়ে নেন! তার পর ম্যাসেঞ্জার ও হোয়াটসঅ্যাপে ঘাঁটাঘাঁটি করতে শুরু করেন। অথবা আপনার ফেসবুকের পাসওয়ার্ড চেয়ে নিয়েছেন পার্টনার? হোয়াটসঅ্যাপ, ম্যাসেঞ্জারে কার সঙ্গে কথা বলছেন সে সব কিছুতেই নজরদারি চালাচ্ছেন তিনি। তাহলে বুঝে নিন ভয়ঙ্কর পজেসিভ পার্টনার জুটিয়েছেন।
৩। নিরাপত্তা নিয়ে চিন্তিত- আপনার নিরাপত্তা নিয়ে চিন্তিত থাকেন। কোথাও একা ছাড়তে চান না। তাহলে তো কথাই নেই! আপনার পার্টনার অতিরিক্ত নিয়ন্ত্রণ করতে চায়।
৪। নিজের অপছন্দের লোকের সঙ্গে মেলামেশায় বাধা- নিজের পার্টনারের অপছন্দের লোকের সঙ্গে আপনাকে মিশতে দেন না পার্টনার। দূরে রাখেন।
৫। সব ব্যাপারেই প্রশ্ন তোলা- ছোটখাট খুঁতও তুলে ধরেন পার্টনার। সবক্ষেত্রেই আপনিই হন দোষী। সমালোচনা করেন পার্টনার। তাহলে বুঝতে নিতে হবে পার্টনার পজেসিভ।
৬। সব জানতে চাওয়া- আপনার ব্যাপারে সব কিছুই জানতে চান পার্টনার। কখন কী করছেন, কাকে কল করছেন সব কিছু নিয়েই কৌতূহলী। এমনকি কোনও খবর তাঁকে আগে না জানালে রুষ্ট হন। এমন পার্টনাররা কিন্তু পজেসিভ।
আরও পড়ুন- মমতার উপোস-টিপস, এই ডায়েটে কতক্ষণ, কীভাবে অভুক্ত থাকলে ওজন কমে?