scorecardresearch
 

Common Mistakes When Reduce Fat: ওজন কমাতে জিম-ব্যায়াম করছেন, তবে এই সামান্য ভুল করলেই কিন্তু সব পণ্ডশ্রম

Common Mistakes When Reduce Fat: ওজন কমাতে জিম-ব্যায়াম করছেন, তবে এই সামান্য ভুল করলেই কিন্তু সব পণ্ডশ্রম। আমরা কখনও জেনে কখনও আবার না জেনেই এই ভুলগুলি করি। যা আমাদের কঠোর পরিশ্রমকে জলাঞ্জলি দেয়। আসুন জেনে নিই আর ঠিক করে নিই, আর এই ভুলগুলি করব না। কাজগুলি সাধারণ, কিন্তু মেনে চলা কঠিন।

Advertisement
ওজন কমাতে উদয়াস্ত খাটছেন? এই সাধারণ ভুলের জন্য পণ্ডশ্রম হচ্ছে না তো? ওজন কমাতে উদয়াস্ত খাটছেন? এই সাধারণ ভুলের জন্য পণ্ডশ্রম হচ্ছে না তো?
হাইলাইটস
  • ওজন কমাতে উদয়াস্ত খাটছেন?
  • এই সাধারণ ভুলের জন্য পণ্ডশ্রম হচ্ছে না তো?

Common Mistakes When Reduce Fat: শরীরে মেদ না জমাই ভাল। আমরা জানি। তবু কখনও কখনও মেদ অস্বাভাবিকরকম বেড়ে যায়। তা কমাতে আমরা প্রচুর পরিশ্রম করি। ওয়ার্কআউটে সময় ও অর্থ খরচ করি। তা সত্ত্বেও দেখি য়ে ওজন কিছুতেই কমছে না। না, মেদ কমে ছিপছিপে হচ্ছে! অথচ আপনি ভাবছেন ট্রেনার বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ মেনেই চলছি। তবু কেন এমন সমস্যা লেগে রয়েছে। খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন, নিয়মিত শরীরচর্চা, নিয়ম মেনে চলা থেকে শুরু করে এমন কোনো চেষ্টা নেই, যার ভেতর দিয়ে যেতে হয় না একজনকে। এত কিছু মেনে চলার পরও দেখা যায়, শরীরের মেদ কমার নামগন্ধ নেই, বরং বেড়েই চলেছে। মেদ কমানোর জন্য নিয়মিত পরিশ্রম, শরীরচর্চা সবকিছুই বৃথা হতে পারে সামান্য ভুলের কারণে। আসুন জেনে নিই কোন বিষয়গুলি আমাদের কঠোর পরিশ্রম বানচাল করতে পারে।

আরও পড়ুনঃ অল্প বয়সেই শরীরে বাসা বেঁধেছে সুগার? সুস্থ থাকুন এই ৬ সহজ উপায়ে

১. পর্যাপ্ত ঘুম না হওয়া

হেকটিক কাজের চাপে রাতে ঘুমোতে যেতে দেরি হয়। সকালে আবার তাড়াতাড়ি উঠে কাজের জন্য প্রস্তুতি। তাছাড়া নানা রকম সামাজিক, কাজ ও পারিপার্শ্বিক চাপে ঘুম হয় না। অনেকে আবার রাতের ঘুম দিনে ঘুমিয়ে পুষিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু রাতের ঘুম রাতেই ঘুমোতে হয়। দিনে তা পুষিয়ে নেওয়া যায় না। প্রত্যেকেরই রাতে ৭ থেকে ৯ ঘণ্টা টানা ঘুম প্রয়োজন। কিন্তু বেশির ভাগ ক্ষেত্রে দেখা যায়, কাজের চাপে সময়টা নেমে আসে ৫-৬ ঘণ্টায়। কখনও আরও কম। কম ঘুম শরীরের ক্ষুধানিয়ন্ত্রক হরমোনগুলোকে করে প্রভাবিত। যে কারণে হজমের গোলমাল দিয়ে শুরু হয়। পরিপাকে প্রভাব ফেলে। শরীরের কাজ করার শক্তি কমতে থাকে। এতে পরে যতই শরীরচর্চা করুন না কেন, কাজ হবে না।

Advertisement

২. খাবারের মাঝে জল খাওয়া

দিনের পর্যাপ্ত জল খাওয়া শরীরের পক্ষে উপকারী। হজম, পরিপাক, ত্বক, রক্তের ভারসাম্য থেকে বহু রোগ নিরাময় করে রোজ পর্য়াপ্ত জল। তবে এই জলই খাবার খাওয়ার মাঝখানে খেলে হিতে বিপরীত হয়। গলায় খাবার বেধে গেলে বা হিক্কা উঠলে সামান্য় জল খাওয়া যেতে পারে। অন্যথায় খাবারের মাঝখানে জল খাবেন না। খাওয়ার সময় জল খেলে মেদ কমে না। বরং পাকস্থলীর পরিপাককারী অ্যাসিডকে পাতলা করে দেয়। ফলে হজমপ্রক্রিয়া বাধা পায়। তাই খাবার খাওয়ার কিছুক্ষণ পর অন্তত ৩০ মিনিট আগে ও খাবার শেষে অন্তত ১৫ মিনিট পর জল খান।

৩. সকালের ব্রেকফাস্ট এড়িয়ে যাওয়া

অনেকের ধারণা রয়েছে সকালে হালকা খাবার খেলে বা খাবার না খেয়ে দুপুরে খাবার খেলে শরীর ভাল থাকবে। ওজন কম থাকবে। তা সম্পূর্ণ ভুল। সকালে ভারী প্রাতঃরাশ করা উচিত। সারা দিনে কাজের জন্য যে শক্তি, তা মূলত ব্রেকফাস্টের মধ্য দিয়েই আসে। কিন্তু প্রাতঃরাস স্কিপ করলে শরীর দুর্বল হতে শুরু করে। শরীরের কর্মক্ষমতা হ্রাস পেতে থাকে। দুপুরে ভারী-হালকা যাই খাওয়া হোক, তারপর আর তা সেভাবে কার্যকরী হতে পারে না। যাঁরা ওজন কমানোর জন্য ডায়েট করছেন, তাঁরা যদি ব্রেকফাস্ট না খান, তাহলে তাঁদের রক্তে চর্বির পরিমাণ বেড়ে যায়।

৪. সারা দিন ধরে অল্প অল্প খান

অনেকেই সকালে ভারী খাবার না খেয়ে, সারাদিন কমবেশি খান। এভাবে খাবার খেলে উল্টাো শরীরের মেদ বেড়ে যায়। প্রতিবার খাবার খাওয়ার পর শরীরে ইনসুলিনের মাত্রা বেড়ে যায়। আর সেটাই শরীরকে সংকেত দেয় চর্বি জমা করার। ফলে শরীর কিছুক্ষণ পরপর চর্বি সঞ্চয় করতে শুরু করে। বেশির ভাগ খাবারই শরীরে সঞ্চয় করার মতো পর্যাপ্ত চর্বি উৎপাদন করে না। ফলে শরীরে অতিরিক্ত মেদ জমে যায়। তাই ভারী প্রাতঃরাশের পর সারাদিন অল্প করে খেতে হবে।

 

Advertisement