ত্রিফলার নাম প্রায় সকলেই শুনেছেন। শারীরিক বিবিধ সমস্যার ক্ষেত্রে ত্রিফলা চূর্ণ খুবই কার্যকরী। ত্রিফলা বহু শতাব্দী ধরে আয়ুর্বেদিক ও ভেষজ ওষুধ হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। আমলকি, হরিতকি এবং বহেরা, এই তিনটি ফল মিশিয়ে তৈরি করা হয় ত্রিফলা। আয়ুর্বেদ মতে, ত্রিফলা খেলে কোলেস্টেরল, ডায়াবেটিস এবং রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে। এছাড়া ত্রিফলা গুঁড়ো, ক্যাপসুল এবং লিকুইডভাবে বাজারেও পাওয়া যায়। তবে ত্রিফলা খাওয়ার সময় সতর্কতা অবলম্বন না করলে এর থেকে বেশকিছু ক্ষতিও হতে পারে।
কম রক্তে শর্করা থাকতে পারে
ত্রিফলায় রয়েছে অ্যান্টি-ডায়াবেটিক বৈশিষ্ট্য। যে সমস্ত রোগীরা আগে থেকেই ডায়াবেটিসের ওষুধ খাচ্ছেন, ত্রিফলা খাওয়ার ফলে তাঁদের হাইপোগ্লাইসেমিয়া হতে পারে, যা রক্তে শর্করাকে উল্লেখযোগ্যভাবে কমিয়ে দেয়। তাই আপনি যদি ডায়াবেটিক রোগী হন, তাহলে ত্রিফলা চূর্ণ খাওয়ার আগে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
ওষুধের প্রভাব কম হতে পারে
ত্রিফলা বিভিন্ন ধরনের ওষুধের প্রভাব কমাতে পারে, যার ফলে ক্ষতি হতে পারে লিভারের। তাই ওষুধের সঙ্গে ত্রিফলা খাওয়া এড়িয়ে চলতে হবে। এছাড়া ত্রিফলার ফলে মুডের উত্থানপতন, এনার্জির অভাব এবং ঘুমের সমস্যাও হতে পারে।
গর্ভাবস্থায় সমস্যা
গর্ভাবস্থায় ত্রিফলা চূর্ণ সেবন করলে অনেক সমস্যা হতে পারে। এমনকী হতে পারে গর্ভপাতও। তাই মহিলাদের ত্রিফলা চুর্ণ খাওয়ার আগে অবশ্যই চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করা উচিত। ত্রিফলা চূর্ণ খাওয়ার আগে এই বিষয়ে বিশেষজ্ঞের সঙ্গে পরামর্শ করে নেওয়া ভাল।
আরও পড়ুন - কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই দক্ষিণবঙ্গের ৩ জেলায় ঝেঁপে বৃষ্টি, পূর্বাভাস