গত ২ বছর ধরে করোনা অতিমারি গ্রাস করেছে গোটা বিশ্বকে। এই রোগের তিনটি ঢেউয়ে প্রাণ হারিয়েছেন লক্ষাধিক মানুষ। করোনাই বুঝিয়ে দিয়েছে শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা থাকা কতটা দরকার। আর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তুলতে তুলসীর জুড়ি নেই। আপনার পরিবারকে শুধু করোনা থেকে নয়, বিবিধ মারাত্মক রোগ থেকেও বাঁচাতে সক্ষম তুলসী। চলুন জেনে নেওয়া যাক তুলসীর সেই বিরল গুণগুলি কী কী-
পাচনতন্ত্রকে শক্তিশালী করে
খিদে কম লাগলে এবং হজম শক্তি দুর্বল হয়ে পড়লে তুলসী পাতা প্রচণ্ড কার্যকর। প্রতিদিন সকালে তুলসীর ৪-৫টি পাতা কুসুম গরম জলে ধুয়ে খান। এতে আপনার হজম শক্তির উন্নতি হবে। বাড়়বে খিদে এবং রক্ত পরিষ্কার হবে। এতে বাড়বে স্মৃতিশক্তিও।
কানের ব্যথায়
যাদের কানে প্রায়ই ব্যথা হয় বা কানের নীচের অংশে ফোলাভাব থাকে, তাঁদের জন্যও তুলসী চেয়ে কার্যকর ওষুধ আর হয় না। কানে ব্যথা হলে ৩-৪টি তুলসী পাতা সামান্য জলে দিয়ে গরম করুন। এরপর ওই জল ২ ফোঁটা কিছুক্ষণ পর কানে দিন। অল্প সময়ের মধ্যে কানের ব্যথা থেকে মুক্তি পাবেন। কানের পিছনে ফোলাভাব থাকলে এর তুলসী পাতা পিষে হালকা গরম জলে মিশিয়ে নিন। সেই মিশ্রণ ফোলা জায়গায় লাগিয়ে রাখুন। এতে ব্যথায় আরাম পাবেন।
ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণ দূর করে
শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে গেলেও তুলসী পাতা খাওয়া যেতে পারে। তুলসী পাতা খেলে ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণ, পেট ব্যথা, জ্বর, সর্দি, বমি-বমি ভাব, এমনকি হৃদরোগ থেকেও মুক্তি মেলে। তুলসীর ২ প্রকার- রাম তুলসী এবং অন্যটি শ্যাম তুলসী। রাম তুলসীর তুলনায় শ্যাম তুলসী ঔষধি গুণের দিক থেকে বেশি উপকারী বলে মনে করা হয়।
রাতকানা রোগের চিকিৎসায়
যাদের রাতে দৃষ্টিশক্তির সমস্যা আছে তাঁরাও তুলসী দিয়ে চিকিৎসা করতে পারেন। প্রতিদিন রাতে ২-৩ ফোঁটা তুলসীর রস চোখে দিলে আরাম পাওয়া যায়। এ ছাড়া তুলসীর রস নাকের রোগের চিকিৎসায়ও দারুণ উপকারী। তুলসী পিষে ঘ্রাণ নিলে নাকের সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
চুল মজবুত করতে কার্যকর
মানসিক চাপের কারণে যদি আপনার চুল পড়ে বা উকুন হয়, তাহলে তুলসী পাতা আপনার জন্য খুবই উপকারী হতে পারে। তুলসী পাতার রস বের করে চুলে লাগান। চুল আবার গজাতে শুরু করবে এবং উকুন থাকবে না। তুলসী পাতা খেলে মাইগ্রেন ও মাথাব্যথায় উপশম মেলে। কমে মানসিক।
আরও পড়ুন- ৭ আয়ুর্বেদিক ঘরোয়া টোটকায় সারান জন্ডিস, সুস্থ রাখে লিভারও