scorecardresearch
 

Uric Acid Control Tips: শরীরে ইউরিক অ্যাসিড তৈরি করে এই ৭ ফল, হতে পারে কিডনির ক্ষতি

শুধু পিউরিন নয়, ফ্রুক্টোজও ইউরিক অ্যাসিড বাড়িয়ে দেয়। প্রতিদিন যে সব খাবার খাওয়া হয় তার মধ্যে রয়েছে ফ্রুক্টোজ। এমন কিছু ফল রয়েছে যাতে প্রচুর পরিমাণে ফ্রুক্টোজ থাকে। এই জাতীয় ফলগুলি অতিরিক্ত খাবেন না। তা শরীরে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা বাড়িয়ে দিতে পারে।

Advertisement
Uric Acid: ইউরিক অ্যাসিড বাড়িয়ে দেয় ৫ ফল। Uric Acid: ইউরিক অ্যাসিড বাড়িয়ে দেয় ৫ ফল।
হাইলাইটস
  • ইউরিক অ্যাসিড বাড়িয়ে দেয় ফল।
  • এড়িয়ে চলুন এই ৭ ফল।

অনেকেই ভুগছেন গাঁটের ব্যথা, বাত বা কিডনিতে পাথরের সমস্যায়। এর জন্য দায়ী খাওয়াদাওয়ায় বেনিয়ম, কর্মব্যস্ত জীবনযাপন। ফলে রক্তে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা বাড়ছে। ইউরিক অ্যাসিড হল রক্তে থাকা দূষিত পদার্থ। পিউরিন ভেঙে শরীরে তৈরি হয় ইউরিক অ্যাসিড। বেশিরভাগ খাবারেই থাকে পিউরিন। বেশিরভাগ ইউরিক অ্যাসিড রক্তে দ্রবীভূত হয়। কিডনির মাধ্যমে প্রস্রাবের সঙ্গে শরীরের বাইরে চলে যায়। শরীরে ইউরিক অ্যাসিডের পরিমাণ বেশি হয়ে গেলে তা গাঁটে গাঁটে ও কোষে ক্রিস্টাল বা পাথর আকারে জমতে শুরু করে। শুধু গাঁটের ব্যথাই নয়, কিডনিতে পাথর, হৃদরোগ, মূত্রনালীর রোগ এবং কিডনির বিবিধ রোগের ঝুঁকি বেড়ে যায়। 

শুধু পিউরিন নয়, ফ্রুক্টোজও ইউরিক অ্যাসিড বাড়িয়ে দেয়। প্রতিদিন যে সব খাবার খাওয়া হয় তার মধ্যে রয়েছে ফ্রুক্টোজ। এমন কিছু ফল রয়েছে যাতে প্রচুর পরিমাণে ফ্রুক্টোজ থাকে। এই জাতীয় ফলগুলি অতিরিক্ত খাবেন না। তা শরীরে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা বাড়িয়ে দিতে পারে। সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন (CDC) বলছে,ফ্রুক্টোজ সমৃদ্ধ খাবার বেশি খেলে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা বাড়তে পারে। এটি এক ধরনের শর্করা যা প্রাকৃতিকভাবে বিভিন্ন  ফল, সবজি এবং পানীয়তে পাওয়া যায়। NCBI রিপোর্ট অনুসারে, ফ্রুক্টোজ ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। আর তা থাকে ফলে। সেজন্য নির্দিষ্ট কয়েকটি খাবার এড়িয়ে চলা উচিত। 

কিশমিশ- কিশমিশ ফাইবার সমৃদ্ধ। মাত্র ৩০ গ্রাম কিশমিশে থাকে ৯.৯ গ্রাম ফ্রুক্টোজ। ফলে বুঝতেই পারছেন ইউরিক অ্যাসিডের সমস্যা থাকলে কিশমিশ এড়িয়ে চলাই শ্রেয়।

কাঁঠাল- পাকা কাঁঠাল ফল হিসেবে খাওয়া হয়। আবার এঁচোড়ের তরকারি সুস্বাদু। মাংসের মতো রাঁধা হয় বাংলায়। এই কাঁঠালও শরীরের জন্য ক্ষতিকর। Myfooddata-এর রিপোর্ট অনুযায়ী,১ কাপ কাঁঠালে ১৫.২ গ্রাম ফ্রুক্টোজ থাকে।

Advertisement

আঙুর- ভিটামিন সি এবং ফাইবার সমৃদ্ধ আঙুর। আঙুর ফ্রুক্টোজের দুর্দান্ত উৎস। লাল বা সবুজ আঙুরের একটি কাপে থাকে ১২.৩ গ্রাম ফ্রুক্টোজ। এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রেসভেরাট্রল এবং কোয়ারসেটিন। ফলে ইউরিক অ্যাসিডের সমস্যা থাকলে আঙুর কম খান। 

আপেল- একটি আপেল থাকে ১২.৫ গ্রাম ফ্রুক্টোজ। আপেলে থাকে ফাইবার, পলিফেনল এবং পটাশিয়ামের মতো পুষ্টিগুণ। গাঁটের ব্যথা থাকলে এড়িয়ে চলুন। আপেল বাড়িয়ে দেয় ইউরিক অ্যাসিড। তাই আপেল ভেবেচিন্তে খান। 

নাশপাতি- নাশপাতি এমন একটি ফল যাতে থাকে ৫ গ্রাম ফাইবার। যা দৈনিক চাহিদার ২০ শতাংশ। ইউরিক অ্যাসিডের সমস্যা থাকলে নাশপাতি খাওয়া এড়িয়ে চলুন। এতে থাকে ১১.৪ গ্রাম ফ্রুক্টোজ।

ব্লুবেরি- ব্লুবেরিতে থাকে ফাইবার এবং ভিটামিন সি। এতে ফ্রুক্টোজের পরিমাণও বেশি। এক কাপ ব্লুবেরিতে ৭.৪ গ্রাম ফ্রুক্টোজ থাকে। যা ইউরিক অ্যাসিডের সমস্যা থাকলে বিপজ্জনক।

কলা- কলা পটাশিয়াম, ভিটামিন সি এবং ফাইবারের একটি উত্তম উৎস। এতে প্রচুর পরিমাণে ফ্রুক্টোজ রয়েছে। কলায় প্রায় ৫.৭ গ্রাম ফ্রুক্টোজ থাকে। যা আর্থ্রাইটিস রোগীদের জন্য ক্ষতিকর।

.আরও পড়ুন- ডায়াবেটিস, ওজনবৃদ্ধি থেকে ক্যানসারও জব্দ হয় ত্রিফলায়, খালি এভাবে খান

Advertisement