scorecardresearch
 

White Tongue Signs: যৌন রোগ থেকে রক্তাল্পতা, জিভের রং দেখে বুঝে নিন কী কী অসুখের লক্ষণ

শরীরে কোনও ভিটামিনের ঘাটতি বা অসুখ থাকলে বলে দিতে পারে জিভ। শরীরে ভিটামিন বি-১২-এর ঘাটতি থাকলে প্রভাবিত হয় জিভের রং। খাবারের স্বাদ যেমন বোঝায় জিভ তেমন শরীরের ভাল-মন্দও বুঝতে সাহায্য করে জিভের রং।

Advertisement
Tongue Health জিভের স্বাস্থ্য। Tongue Health জিভের স্বাস্থ্য।
হাইলাইটস
  • জিভ দেখে চেনা যায় শরীরের অসুখ।
  • জিভে কোন কোন লক্ষণ দেখে চিনবেন।

স্বাস্থ্যের ইঙ্গিত দেয় জিভ। এজন্য ডাক্তারখানায় গেলে চিকিৎসকরা জিভ পরীক্ষা করেন। শরীরে কোনও ভিটামিনের ঘাটতি বা অসুখ থাকলে বলে দিতে পারে জিভ। শরীরে ভিটামিন বি-১২-এর ঘাটতি থাকলে প্রভাবিত হয় জিভের রং। খাবারের স্বাদ যেমন বোঝায় জিভ তেমন শরীরের ভাল-মন্দও বুঝতে সাহায্য করে জিভের রং। জিভের গঠন বা রঙের পরিবর্তন অসুস্থতার লক্ষণ। জিভের স্বাভাবিক লাল রং বদলে গেলে বিবিধ সমস্যার লক্ষণ হতে পারে। জিভের উপর সাদাটে আস্তরণ পড়লে তা হতে পারে বিপদের সংকেত। 

ভিটামিন বি-১২ অত্যন্ত দরকারি। তা মানুষের মস্তিষ্ক এবং স্নায়ুতন্ত্রকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। মহিলাদের গর্ভাবস্থাকেও প্রভাবিত করে। মহিলাদের রক্তস্বল্পতা হ্রাস করে। কীভাবে জিভ দেখে বুঝবেন শরীরে রক্ত নেই- 

লাল পুরু আবরণ এবং শুষ্ক জিভ- মোটা লাল আবরণ এবং একটি শুষ্ক জিভ বি-১২ ঘাটতির লক্ষণ। একে গ্লসাইটিস বলে। এ কারণে জিভ পুরু এবং অদ্ভুত অনুভূতি শুরু হয়। কখনও কখনও ফুলেও যেতে পারে। 

সাদা জিভ- সাদা জিভ কখনও কখনও ভিটামিন বি -১২-এর অভাবের কারণে হতে পারে। একে বলা হয় জিওগ্রাফিক টাং। জিভে সাদা স্তর জমে। জিভের রং হলুদও হয়ে যেতে পারে। জিভে দাগও দেখা যায়।

জিভের আলসার- মুখের আলসার ভিটামিন বি-১২-এর অভাবের গুরুত্বপূর্ণ উপসর্গ হতে পারে। কখনও কখনও জিভে এবং মুখে ছোট ফোস্কা দেখা দিতে পারে। এই অসুখে ভিটামিন বি-১২ সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া উচিত। যেমন- মাটন, মাছ, দুধ, পনির, ডিম এবং ড্রাইফ্রুটস। 

বিবর্ণ জিভ- হলুদ জিভ মানে অ্যানিমিক। শরীরে আয়রনের অভাব হলে এবং মুখের কোষগুলি পর্যাপ্ত পরিমাণে অক্সিজেন না পেলে জিভের গোলাপি রং ফ্যাকাশে হয়ে যায়। অক্সিজেন রক্তের মাধ্যমে কোষে পৌঁছয়।  এক্ষেত্রে আয়রন সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া উচিত।

Advertisement

এছাড়া সিফিলিসের মতো যৌন রোগের ইঙ্গিতও দেয় জিভ। 

১। লিউকোপ্লাকিয়া- জিভের খুব সাধারণ অসুখ লিউকোপ্লাকিয়া। জিভ বা মুখগহ্বরের ত্বকের কোষের অত্যধিক বৃদ্ধির কারণে এই অসুখ হতে পারে। এই কোষগুলি কেরাটিন নামের একটি প্রোটিনের সঙ্গে মিশে জিভের উপর তৈরি করে সাদা আস্তরণ। নিজে থেকে সেরে যায়। তবে কখনও কখনও তা পরিণত হতে পারে ক্যানসারে। 

২। ওরাল থ্রাশ- মুখের ভিতরে থাকে ক্যান্ডিডা ইস্ট নামের এক প্রকার ছত্রাক। এই ছত্রাক মাত্রাতিরিক্ত বেড়ে গেলেও জিভে দেখা দেয় সাদাটে আস্তরণ। একে বলে ওরাল থ্রাশ। এটি দুর্বল ইমিউনিটির লক্ষণ। তাই এই সমস্যা হলে ইমিউনিটি বাড়ানোর খাবার খেতে হবে। 

৩। সিফিলিস- যৌন রোগ সিফিলিস। জিভে সাদা রঙের আস্তরণ এই অসুখের লক্ষণ। অসুরক্ষিত যৌন মিলনে এই ব্যাকটেরিয়া ছড়ায়। ঠিক সময়ে চিকিৎসা না করালে তা বড়সড় সমস্যা তৈরি করে। 

আরও পড়ুন- গ্রামবাংলার এই সবজির তেতো চা, হু হু করে গলায় কোলেস্টেরল

Advertisement