রক্তে ইউরিক অ্যাসিডের বৃদ্ধিকে হাইপারইউরিসেমিয়া বলে। কমবয়সিদের মধ্যেও বেড়েছে এই অসুখ। কিডনি শরীরের অতিরিক্ত ইউরিক অ্যাসিড অপসারণ করতে অক্ষম হলে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা বেড়ে যায়। কিডনি ইউরিক অ্যাসিড অপসারণ করতে অক্ষম হওয়ার কারণগুলির মধ্যে অন্যতম- অতিরিক্ত খাওয়া, অতিরিক্ত ওজন, ডায়াবেটিস এবং অতিরিক্ত অ্যালকোহল পান করা।
ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা বৃদ্ধি (High uric acid level Causes) একাধিক রোগের ঝুঁকিও বাড়িয়ে দেয়। এসব অসুখের মধ্যে রয়েছে গাঁটে ব্যথা, হৃদরোগ, কিডনি সংক্রান্ত সমস্যা। পুরুষদের শরীরে ৩.৪-৭.০ মিলিগ্রাম ইউরিক অ্যাসিড, মহিলাদের ২.৪-৬.০ মিলিগ্রাম থাকলে কোনও ঝুঁকি নেই। তার বেশি হলেই সমস্যা। ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা বেশি হলে নিয়ন্ত্রণও করা যায়। প্রাকৃতিক উপায়ে তা নিয়ন্ত্রণ করুন।
আপেল ভিনেগার- আপেল সিডার ভিনেগার একটি প্রাকৃতিক ক্লিনজার ও ডিটক্সিফায়ার। যা শরীর থেকে ইউরিক অ্যাসিড পরিষ্কার করতে সাহায্য করে। এতে থাকা উপাদান ইউরিক অ্যাসিড ভাঙতে কার্যকর। এর জন্য এক গ্লাস জলে ১ চা চামচ আপেল ভিনেগার গুলে নিন। এই মিশ্রণটি দিনে ২-৩ বার পান করুন। ইউরিক অ্যাসিড নিয়ন্ত্রণে না আসা পর্যন্ত নিয়মিত খান।
লেবু- লেবু শরীরের ক্ষারীয় প্রভাব বাড়িয়ে ইউরিক অ্যাসিড কমাতে সাহায্য করে। এছাড়াও এতে উপস্থিত ভিটামিন সি ইউরিক অ্যাসিডের ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করতে পারে। এক গ্লাস গরম জলে লেবুর রস মিশিয়ে সকালে খালি পেটে খান। এক সপ্তাহ খেলে সঙ্গে সঙ্গে প্রভাব দেখতে শুরু করবেন।
অলিভ অয়েল- অলিভ অয়েল ইউরিক অ্যাসিড কমাতে পারে। আসলে,ভিটামিন ই ছাড়াও এতে ভিটামিন কে,আয়রন, ওমেগা ৩, ফ্যাটি অ্যাসিড এবং অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট রয়েছে। যা ইউরিক অ্যাসিড কমাতে কার্যকর। রান্নায় ঘি বা সর্ষের তেলের পরিবর্তে অলিভ অয়েল ব্যবহার করুন।
বেকিং সোডা- ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে বেকিং সোডা খুবই উপকারী। এর পাশাপাশি এটি গাঁটে ব্যথা দূর করতেও সহায়ক। এটি ক্ষারীয় স্তর বজায় রাখে। যা ইউরিক অ্যাসিডকে দ্রবীভূত করে। এক গ্লাস জলে এক বা আধ চা চামচ বেকিং সোডা মিশিয়ে দিনে ২-৪ ঘন্টা অন্তর পান করুন। এটা একটানা দু'সপ্তাহ খেলে উপকার পাবেন।
ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার- শরীরে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা বেড়ে যাওয়ার আর একটি বড় কারণ প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার! যে ব্যক্তি উচ্চ প্রোটিনযুক্ত খাবার খান তাঁর শরীরে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা দ্রুত বৃদ্ধি পায়। সেজন্য যাঁদের ইউরিক অ্যাসিডের সমস্যা আছে তাঁরা খাবারে প্রোটিনের পরিমাণ কমিয়ে ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া শুরু করা উচিত। মরসুমী ফল, শাক সবজি এবং শুকনো ফল থেকে ফাইবার পেতে পারেন। বিশেষ করে আমন্ড, খেজুর ও আখরোট খান। শরীরে ফাইবারের জোগান দেবে।