জীবনযাত্রা বদলের সঙ্গে নানা অসুখ বাসা বাঁধছে শরীরে। খাবার থেকে শরীরে তৈরি হয় ইউরিক অ্যাসিড। তা কিডনি পরিশ্রুত করে শরীরে বাইরে বের করে দেয়। শরীরে ইউরিক অ্যাসিড বাড়লে তা নিয়ন্ত্রণ করা জরুরি। নইলে নানা ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে। উচ্চ ইউরিক অ্যাসিডের কারণে যে লক্ষণগুলি দেখা দেয় তা হল অস্থিমজ্জা-হাড়ে ব্যথা, হাড় ফুলে যাওয়া, পায়ের পাতায় তীব্র ব্যথা। অতিরিক্ত পিউরিনযুক্ত খাবার গ্রহণের ফলে শরীরে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা বাড়তে থাকে। হাই ইউরিক অ্যাসিডের কারণে অস্টিওপোরোসিস, কিডনি এবং ওজনবৃদ্ধির মতো সমস্যা হতে পারে। সেই সমস্যার উপশমের জন্য ওষুধ না খেয়ে হাতে কাছের সবজি খেয়েই করতে পারেন।
শরীরে ইউরিক অ্যাসিড তৈরি হলে কিডনি পরিশ্রুত করে সহজেই বাইরে বের করে দেয়। কিডনি ইউরিক অ্যাসিড পরিশ্রুত করতে অক্ষম হলে স্ফটিক আকারে অস্থিমজ্জায় জমা হতে শুরু করে। কিডনি শরীরের একটি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ। যা শরীর থেকে ক্ষতিকারক ও বর্জ্য পদার্থ বের করে দেয়। শরীরের এই অপরিহার্য অঙ্গটির কাজ হল শরীরে জল,খনিজ এবং রাসায়নিকের ভারসাম্য বজায় রাখা। কিডনি সুস্থ থাকলে সহজেই ইউরিক অ্যাসিড দূর করতে সক্ষম হয়।
এমন সবজিও রয়েছে যার রস ইউরিক অ্যাসিড নিয়ন্ত্রণে খুবই কার্যকর। টমেটো এমন একটি সবজি যা ইউরিক অ্যাসিড রোগীদের জন্য উপকারী। টমেটো একটি পুষ্টিসমৃদ্ধ সবজি যা রান্নায় ব্যবহার করা হয়। টমেটোতে পটাশিয়াম, ভিটামিন সি, কমপ্লেক্স বি, ভিটামিন কে এবং কোলিনের মতো অনেক উপাদান রয়েছে, যা হার্টের জন্য উপকারী।
আরও পড়ুন- ওষুধ ছাড়াও হাই প্রেসার কন্ট্রোল সম্ভব? রান্নাঘরের ৫ জিনিসে
ভিটামিন সি এবং ফাইবার ইউরিক অ্যাসিড নিয়ন্ত্রণে সহায়ক- ইউরিক অ্যাসিড নিয়ন্ত্রণে খাবারে ফাইবার এবং ভিটামিন সি খাওয়া উচিত। এই দুই উপাদান থাকে টমেটোয়। ফলে তা ইউরিক অ্যাসিড নিয়ন্ত্রণে কার্যকর। লাল টমেটোর রস কীভাবে ইউরিক অ্যাসিড নিয়ন্ত্রণ করে এবং কীভাবে তা খাবেন?
টমেটোতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি থাকে যা ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে। ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবার শরীরে জমে থাকা টক্সিন দূর করে। টমেটোতে উপস্থিত অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি গুণ প্রদাহ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। শুধু তাই নয়, এতে থাকা অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট গাঁটে ব্যথার চিকিৎসায় কার্যকর।
কীভাবে খাবেন টমেটো?
টমেটোর রস তৈরি করতে প্রথমে টমেটোগুলো ভালো করে ধুয়ে ছোট ছোট টুকরো করে কেটে নিন। সেগুলি মিক্সারে দিয়ে অল্প পরিমাণ চিনি,বিট নুন, গোলমরিচের গুঁড়ো, পুদিনা পাতা এবং এক থেকে দেড় গ্লাস জল মিশ্রণ করে নিন। তার পর ছেঁকে গ্লাসে ঢালুন। প্রতিদিন এই রস পান করলে নিয়ন্ত্রণে থাকবে ইউরিক অ্যাসিড।